ফেব্রুয়ারি ১৯: সম্প্রতি স্পেনের ভ্যালাদোলিড শহরের মেয়র অস্কার পোন্ট সাংবাদিকদের বলেন, চীন-ইউরোপ মালাবাহী ট্রেনের কারণে তাঁদের পুরাতন শহরের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
২০২০ সালে চীন-ইউরোপ মালাবাহী ট্রেন মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ০৬বার যাতায়াত করেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৫০শতাংশ বেশি।
সম্প্রতি ইইউ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত বাণিজ্য তথ্য মতে, ২০২০ সালে প্রথম বারের মত চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে ইইউয়ের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়।
অনদিকে, ২০২০ সালে ইউরোপ-যুক্তরাস্ট্রের বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইইউ আমদানি করেছে ২০ বিলিয়নেরও বেশি ইউরো মূল্যের পণ্য। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ১৩.২শতাংশ কম। গত বছর ইইউ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পণ্য। তাও ২০১৯ সালের চেয়ে ৮.২শতাংশ কম।
ইউরোপের দেশসমূহে মহামারি প্রতিরোধ সামগ্রী ও বৈদ্যুতিক পণ্যের চাহিদা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চীনের সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানিকে উত্সাহিত করা হচ্ছে।পাশাপাশি, দ্রুত চীনের মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং অর্থনীতি ও উতপাদন পূনরুদ্ধার হয়েছে। দেশের ভোক্তাদের চাহিদাও পূনরুদ্ধার হয়েছে। এতে ইউরোপের গাড়িসহ নানা পণ্যের জন্য চীনের বাজার উন্মুক্ত হয়েছে।
চীন-ইউরোপ বাণিজ্যের সুষ্ঠু উন্নয়নে প্রামাণিত হয় যে, অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের এ যুগে সহনশীলতা এবং লাভ ও কল্যাণের অংশীদারিত্ব হচ্ছে ইতিহাসের সঠিক পথ।
বিশ্বের দুই বড় বাজার হিসেবে চীন ও ইউরোপের বাস্তব সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে। এটি মহামারী-উত্তর যুগে বৈশ্বিক অর্থনীতির পূনরুদ্ধারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেসঙ্গে উন্মুক্ত বিশ্বের অর্থনীতি নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে বলে সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়। (আকাশ/এনাম/রুবি)