ফেব্রুয়ারি ১৩: বসন্ত উত্সব চীনাদের জন্য সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রতি বছর সবাই সাধারণত জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে আতীয়-স্বজনদের সাথে এ উত্সব পালন করে থাকেন। কিন্তু এ বছর কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য, চীন সরকার সবাইকে যে যেখানে আছে, সেখানে উতসবটি উদযাপন করার আহ্বান জানায়। সরকারের আহ্বানে সারা দিয়ে, অনেক চীনা এবার তাঁদের নিজ কর্মস্থল বা যে যেখানে আছেন, সেখানেই উত্সব পালন করছেন। তবে, ‘জন্মস্থান থেকে দূরে’ উত্সব উদযাপন করলেও, এতে আনন্দ বা ভালোবাসার কোন ঘাটতি দেখা যায় নি।
আনলাইনে ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে পরিবারের সবাই একসাথে একে অপরকে চীনা নববর্ষের সুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আইনলাইনে কেনাকাটা করে পার্সেল ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরের অতীয়-স্বজনদের নববর্ষের উপহার পাঠিয়েছেন অনেকেই। ডিজিটাল পদ্ধতি এ বছরের বসন্ত উতসবকে অসাধারণ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে তোলেছে। তাছাড়া, মহামারি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাকেও হার মানিয়েছে।
যে যেখানে রয়েছে, সেখানে বসন্ত উতসব উদযাপন করার জন্য সব সেবা সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চীন সরকার। যাতে স্থানীয়ভাবে বসন্ত উতসব উতযাপন করতে জনগণের কোন অসুবিধা না হয়।
চীনের চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর ষাঁড় বর্ষ। চীনের সংস্কৃতিতে ষাঁড় পরিশ্রম, শক্তি, অধ্যবসায়, ও ত্যাগের প্রতীক। এসব বৈশিষ্ট্য চলতি বছরে চীনা জাতি কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
যদি কারো মনে ঘরের ঠাই থাকে, ঘর থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও একসাথে থাকা যায়। স্থানীয়ভাবে বসন্ত উতসব উদযাবন করেও, চীনাদের মন আরও কাছাকাছি এসেছে। এতে যৌথভাবে সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করার প্রত্যয় গড়ে ওঠেছে বলে সিআরআই-এর এক সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়। (আকাশ/এনাম/রুবি)