দেহঘড়ি-৪
2021-02-12 19:59:47

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে রয়েছে স্বাস্থ্যখাতের একটি সুখবর, স্বাস্থ্য বুলেটিন, খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আয়োজন ‘কী খাবো কী খাবো না’, প্রাকৃতিকভাবে রোগপ্রতিরোধ ও রোগমুক্তি নিয়ে কথন ‘ভাল থাকার আছে উপায়’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং ‘মৌসুমী হেলথ টিপস’।

## সুখবর

দেশের বিভাগে হবে ক্যান্সার হাসপাতাল

দেহঘড়ি-৪_fororder_shengwu

ক্যান্সারের কাছে এখনো অসহায় পুরো বিশ্ব। প্রতিবছর ১ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এই মরণব্যাধি। বাংলাদেশেও করুণ ক্যান্সারের চিত্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ১৫ লাখ, আর মৃতের তালিকায় প্রতিবছর যুক্ত হচ্ছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। অর্থাৎ ভয়ানক এই রোগে বাংলাদেশে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছেন ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ।

 বাংলাদেশের অন্তত চার হাজার মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ক্যান্সারে। এত রোগীর সামাল দেওয়ার জন্য দেশটির রয়েছে একটি মাত্র সরকারি হাসপাতাল যার অবস্থান রাজধানীতে। প্রতিদিন সেখানে ভীড় করছেন হাজারো ক্যান্সার রোগী, যাদের অধিকাংশকেই ফিরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসা না পেয়ে।

দেশের ১৫ লাখ ক্যান্সার রোগীর জন্য সম্প্রতি একটি সুখবর দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে নির্মিত হবে ৮টি বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে কার্যক্রমও।

স্বাস্থ্যবিদরা মনে করছেন, হাসপাতালগুলো প্রস্তুত হলে দেশের জটিল রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে। পাশাপাশি চাপ কমবে রাজধানীর হাসপাতালুগলোর ওপরও।

## হেল্‌থ বুলেটিন

বাংলাদেশে করোনার টিকা নিয়েছেন সাড়ে লাখ মানুষ

বাংলাদেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের গণটিকাদান কার্যক্রম। গেল ৭ ফেব্রুয়ারি শুরুর দিনেই টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। সবাইকে উৎসাহিত করতে এরইমধ্যে টিকা নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দেশের ১ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম, চলছে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। দেশব্যাপী এ গণটিকাদান কার্যক্রমে কাজ করছেন ৪০ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। প্রথম দিন টিকা নেওয়া ব্যক্তিকে বলে দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের তারিখ। কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

তবে, টিকার জন্য নিবন্ধন করতে এখনো প্রস্তুত হয়নি সুরক্ষা অ্যাপ। ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করার সময় জটিলতায় পড়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে প্রায় ৩০০ জনের।

কমেছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, শনাক্তের হার

বাংলাদেশে দিন দিন কমছে করোনাভাইরাসে শনাক্তের হার এবং মৃতের সংখ্যা। গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় করেনা শনাক্তের হার ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত মঙ্গল ও বুধবার এ হার ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। করোনা শনাক্তের হার কমার পাশাপাশি ধীরে ধীরে কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ৩ দিনে করোনায় দেশে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়, যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম।

দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃ্ত্যুর হার কমে যাওয়ার স্পষ্ট প্রভাব পড়েছে করোনার বিশ্ব তালিকায়। গত মঙ্গলবার বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকা থেকে আরও একধাপ পেছায় বাংলাদেশ। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে এখন ৩২ নম্বরের অবস্থান করছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৩ জন মানুষের। আর এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৩৯ জনের।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় এক নম্বরে রয়েছে দেশটি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। সর্বাধিক মৃতের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। আর ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের তালিকায় অবস্থান করছে দুই নম্বরে।

##কি খাবো, কি খাবো না

উষ্ণ পানির যত উপকারিতা

দেহঘড়ি-৪_fororder_shengwu1

পানির অপর নাম জীবন। সুস্বাস্থ্যের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা কতটা, তা আমরা সবাই জানি। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ শরীরের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান খুব দরকারি। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা, শরীরকে সচল রাখা, ত্বক ও চুলকে ঠিক রাখা, কিডনির যত্ন নেওয়ার জন্য পানি অপরিহার্য উপাদান।

সাধারণত আমরা স্বাভাবিক তাপমাত্রার বা ঠাণ্ডা পানি পান করে থাকি। তবে গরম পানি পান করা যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা আমরা অনেকেই জানি না। ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে উষ্ণ পানি পানে রয়েছে নানা উপকারিতা। চীন, জাপানসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মানুষ নিয়মিত গরম পানি পান করে। চীনা মানুষেরাতো স্বাভাবিক তাপমাত্রার বা ঠাণ্ডা পানি কখনো পানই করে না; শীত-গ্রীষ্ম থেকে শুরু করে সকল মৌসুমেই তারা উষ্ণ পানি পান করে।

জানিয়ে দিচ্ছি উষ্ণ পানি পানের কী কী উপকারিতা রয়েছে:

১. শরীর ও মস্তিষ্কের ওপর চাপ কমায় উষ্ণ পানি। সারাদিন কাজ করে আমাদের যে ক্লান্তিবোধ আসে, তা দূর হয় উষ্ণ পানি পানে।

২. উষ্ণ পানি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শরীরকে রক্ষা করে। শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে না।

৩. শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমায় গরম পানি পান। গরম পানি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না।

৪. খুশকি কমাতে উষ্ণ পানি বেশ কার্যকর। সারাদিন ধরে গরম পানি পান করলে নানা কারণে মাথার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। ফলে খুশকি দ্রুত কমে যায়।

৫. পিরিয়ডের সময় মেনস্ট্রয়াল ক্র্যাম্প কমাতে গরম পানি পানের কোনও বিকল্প নেই। গরম পানি পান পেটের পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে ব্যথা কমতে সময় লাগে না।

৬. গরম পানি পানে ত্বক টান টান হয়ে ওঠে এবং বলিরেখাও হ্রাস পায়। ফলে ত্বকে বয়সের কোনো ছাপ পড়ে না।

৭. উষ্ণ পানি পান চুলের কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে চুল পড়া কমে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

৮. উষ্ণ পানি খাওয়ামাত্র শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করায় ঘামের মাধ্যমে টক্সিন বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে শরীর সহজেই বিষমুক্ত হয়।

৯. একলাসিয়া শরীরে খাবারকে আটকে রাখার প্রবণতা বাড়ায়। কিন্তু গরম পানি একলাসিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

কিভাবে গরম পানি পান করবেন…

সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে ২ গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে। প্রথম দিকে একসাথে ২ গ্লাস পানি পান করতে অসুবিধা হতে পারে আপনার। সেক্ষেত্রে প্রথম এক গ্লাস দিয়ে শুরু করুন এবং তার একটু একটু বাড়িয়ে এক সময় দুই গ্লাস খাওয়া শুরু করুন। এর পর দিতে যতবার আপনার পানি পানের প্রয়োজন হয়, উষ্ণ পানি পান করুন। রাতে শোবার আগে আরেক গ্লাস উষ্ণ পানি পান করুন।

## ভাল থাকার আছে উপায়

বাতের ব্যাথা থেকেও মুক্তি মেলে

দেহঘড়ি-৪_fororder_shengwu2

Image result for arthritisবিশ্বে প্রতিদিনই বাতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। জীবনযাত্রার পদ্ধতি, খাদ্যাভ্যাস ও বয়স এ রোগের জন্য দায়ী। অধিক মাত্রায় মাছ-মাংস গ্রহণ, মদ্যপান, দৈনন্দিন জীবনে অলসতা, বয়সজনিত হাড়ের দুর্বলতা এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে এ রোগ হয়। প্রথমে এটি পায়ের আঙ্গুলে, পরে আস্তে আস্তে হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন সন্ধিতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বাত আক্রান্তস্থানে খুব গরম অনুভুত হয় এবং অসহনীয় ব্যাথার সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিস, স্থুলতা, কিডনির রোগ ও রক্তস্বল্পতা বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

প্রতিরোধই বাতের সমস্যা উপশমের উত্তম উপায়। রোগ দেখা দিলে ওষুধের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া যায় বটে, তবে ভাল ফল পাওয়া যায় জীবনযাপনের কতগুলো পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে।

জানিয়ে দিচ্ছি কীভাবে বাতের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।

  • পরিমিত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধ রাখুন। তবে আপনি যদি ‘লাক্টোস ইনটলারেন্ট’ হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনার শরীরের দুগ্ধ-শর্করা গ্রহণের সক্ষমতা কমে গিয়ে থাকে, তাহলে ব্রকলি খান ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরনের জন্য।
  • মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে পানির ঘাটতি। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ গ্লাস করে পানি খান।
  • ধূমপান ও মদ্যপান হাড়ের ক্যালসিয়াম শুকিয়ে দেয়। তাই বাত থেকে বাঁচতে ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ইতোমধ্যে যদি স্বাভাবিকের তুলনায় আপনার ওজন বেশি হয়ে থাকে এখনি তা কমানোর দিকে মনোযোগী হোন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট বরাদ্দ রাখুন ব্যায়ামের জন্য। ভাল হয় যদি প্রতিদিন সকালে জগিং করতে পারেন।
  • একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকবেন না। ১৫-২০ মিনিট পর পর খানিকটা হেঁটে নিন। লিফট বা এস্কেলেটরের পরিবর্তে যথাসম্ভব সিঁড়ি ব্যবহার করুন। গাড়িতে ওঠার আগে কিংবা লম্বা জার্নির শুরুতে অন্তত ৫০০ মিটার পায়ে হেঁটে নিন।
  • যারা ব্যথা ভুগছেন তারা সপ্তাহে অন্তত ২ বার খানিকটা তেল গরম করে নিয়ে অস্থিসন্ধিতে মালিশ করুন। এছাড়া আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন গরম তুলা, কাপড় বা পানির সেঁক নিতে পারেন।
  • অ্যাসপিরিন, ডাই-ইউরেটিকস, লিভোডোপা ও সাইক্লোস্পোরিনের মতো ওষুধ অনেক সময় বাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ ধরনের ওষুধ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ি-৪_fororder_shengwu3

এ পর্বে আজ আমরা কথা বলেছি দাঁত ও মাড়ির সমস্যা নিয়ে। এমন কোনও মানুষ সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি কখনও না কখনও দাঁতের সমস্যায় ভোগেননি। দাঁতের সুস্বাস্থ্য প্রয়োজন শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়; শরীরের সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্যও এটা প্রয়োজনীয়। মুখের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও আক্রান্ত হতে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, দাঁত ও মাড়ির রোগের যোগসূত্র রয়েছে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, পাকস্থলীর সমস্যা, চোখের সমস্যা এমনকি অকালজন্মের ঝুকির সঙ্গেও। দাঁত ও মাড়ির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে  এ পর্বে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আল ওয়াহিদ।…

## মৌসুমী হেল্‌থ টিপ্‌স

শীতে চাই চোখেরও বাড়তি যত্ন

শীত আমাদের চোখকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা অনেক সময় আমরা টেরই পাইনা। এ সময় ধুলোবালি এবং শুষ্ক বাতাস বইতে থাকার কারেণে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে চোখের আর্দ্রতা ও তৈলাক্ততা কমে যায়। এটা চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর্দ্রতার ঘাটতি চোখের জ্বালা-পোড়ারও জন্য দায়ী। শীতে অনেকের চোখে খুশকি হয়। এই খুশকি থেকে চোখের সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করেন, শীতে আলাদাভাবে চোখের যত্ন নেওয়া দরকার।

জানিয়ে দিচ্ছি শীতে কীভাবে যত্ন নিবেন আপনার চোখের।

দেহঘড়ি-৪_fororder_shengwu4

  • লে চোখের শুষ্ক ভাব কাটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাবার খান। পানির পাশাপাশি গরম স্যুপ খেতে পারেন। এতে শরীর উষ্ণ থাকবে এবং চোখ শুষ্ক হবে না।
  • শীতকালে রাস্তায় বের হলে সানগ্লাস বা রোদ-চশমা ব্যবহার করুন। যদি ঠাণ্ডা হাওয়া থাকে, তাহলে অবশ্যই সানগ্লাস পরুন। এমন সানগ্লাস বেছে নিন যাতে চোখের পাশ, বাইরের দিক ঢাকা থাকে।
  • শীতকালে বেশি করে মাছের তেল খান। এর মধ্যে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শুষ্ক চোখের সমস্যা দূর করে চোখের পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • যদি বারবার শুষ্ক চোখের সমস্যা হয় তাহলে আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারে। তবে তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • সবসময় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে না থেকে মাঝে মাঝে চোখের পাতা ফেলুন। এতে চোখ পরিষ্কার ও পিচ্ছিল থাকবে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে প্রথমে ২০ বার কুসুম গরম এবং পরে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠাণ্ডা ও পরে হালকা গরম পানির ঝাপটা দিন।
  • শীতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূল পাওয়া যায়, যা চোখের জন্য ভালো। চোখের যত্নে প্রচুর পরিমাণে এসব মৌসুমি ফল ও শাকসবজি খান।
  • চোখের পাতা পরিষ্কার করুন মাঝে মাঝে। চোখের উপযোগী লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন চোখের পাতায়।
  • দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত।