আপন আলোয় --- পর্ব ৩
2021-02-12 20:19:05

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের খবরাখবর, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভাবান-সৃষ্টিশীল তরুণদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সাজানো আমাদের এ অনুষ্ঠান। খ্যাতিমানদের কৃতি মানুষ হয়ে ওঠার অনুপ্রেররণা, সৃষ্টিশীল তরুণদের স্বপ্ন, তাদের জীবনের আনন্দ-বেদনার গল্প নিয়েই ‘আপন আলোয়’।

আপন আলোয় এ পর্বে আমাদের অতিথি এবারের রাষ্ট্রীয় একুশে পদকের জন্য মনোনীত বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যজন, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় আমরা শুনবো তার বর্ণাঢ্য জীবনে গল্প।

তবে তার আগে আপনাদের জানাবো বাংলাদেশ ও চীনের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর। প্রথমেই প্রতিবেদন নিয়ে আসছেন তানজিদ বসুনিয়া।

২১ গুণী ব্যক্তি পাচ্ছেন একুশে পদক

আপন আলোয় --- পর্ব ৩_fororder_wenhua

 বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২১ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ বছর একুশে পদক প্রাপ্তদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার)। তিনি ছাড়াও মরণোত্তর পদক পেয়েছেন মরহুম শামছুল হক এবং মরহুম আফসার উদ্দিন। শিল্পকলা বিভাগের মধ্যে সঙ্গীতে বেগম পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় পদক পাচ্ছেন। আলোকচিত্রে একুশে পদক পাচ্ছেন পাভেল রহমান।

আর মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন গোলাম হাসনায়েন, ফজলুল রহমান খান ফারুক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)। এ ছাড়াও সাংবাদিকতায় অজয় দাসগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান। ভাষা এবং সাহিত্যে এই সম্মাননা পাচ্ছেন কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী এবং গোলাম মুরশিদ।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার।

সিএমজির গালা নাইট

আপন আলোয় --- পর্ব ৩_fororder_wenhua1

জাঁকজমকপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'স্প্রিং গালা' বা বসন্ত উৎসব। অডিও ভিজ্যুয়ালে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সৃজনশীলতা আর প্রযুক্তির মিশেলে বিশাল আকৃতির মঞ্চসহ নানা চমকে ভরপুর ছিল এবারের আয়োজন।

বর্ষবরণের ব্লকবাস্টার এ শো এবারও অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল অনুষ্ঠান আয়োজক চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজি। তার প্রমাণ পাওয়া গেল চীনের চান্দ্রনববর্ষকে কেন্দ্র করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের বিশাল আকৃতির ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মঞ্চে ধারণ করা হয়েছে এবারের অনুষ্ঠান।

পুরো প্রযোজনায় দারুণ সমন্বয় ঘটানো হয়েছে অত্যাধুনিক ফাইভ জি, এইট কে হাইডেফিনেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল রেকর্ড সংখ্যক নাচ, গান, কমেডি শোসহ অনেক কিছু। বৃষবর্ষের প্রথম ক্ষণকে স্বাগত জানান আয়োজকরা। কঠোর অনুশীলন আর মহড়ার পর মনোরোম পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিকে স্বার্থক করেছেন কলা-কুশলীরা।

প্রতিবারের মত চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন-সিসিটিভি সরাসরি সম্প্রচার করে এবারের আয়োজন। উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান প্রদর্শনের জন্য ১০টির বেশি শহরে বসানো হয় এইট কে রেজুলেশনের জায়ান্ট স্ক্রিন বা বিশালাকৃতির পর্দা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া, জাপানসহ বিশ্বের ১৭০ দেশের প্রায় ৬শ'য়ের বেশি প্রচারমাধ্যমে একযোগে প্রচারিত হয় এই বর্ণাঢ্য আয়োজন। গালা আয়োজনের ডেপুটি চিফ ডিরেক্টর সিয়া ইয়ু জানান, ঐতিহ্যের সঙ্গে গেল বছরের অর্জন ও সংগ্রামের নানা আবহ ফুটিয়ে তোলা হয় এবারের অয়োজনে।

চীনের বসন্ত উত্সব: সংস্কৃতির বর্ণিল প্রকাশ

আপন আলোয় --- পর্ব ৩_fororder_wenhua2

চীনের নিজস্ব সংস্কৃতির সবচেয়ে বর্ণাঢ্য প্রকাশ দেখা যায় চাইনিজ নিউইয়ার বা বসন্ত উত্সবে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে চীনের পাঁচ হাজার বছরে সংস্কৃতি।

একে নববর্ষ বা ‘নিয়ান চিয়ে’ বলা হয়। নববর্ষ উৎসবের অনেক নাম। কেউ বলে কুয়ো নিয়েন, কেউ বলে সিননিয়েন, আবার কেউ বলে নংলি সিননিয়েন, কেউ বলে ছুন চিয়ে বা বসন্ত উৎসব। বসন্ত উৎসব চীনের সবচেয়ে বড় উৎসব। এ সময় চীনারা সব ঘরমুখী হয়। নববর্ষের আগের সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে ডিনার করে। এটা পারিবারিক পুনর্মিলনের অনুষ্ঠান।

অনেকেই জানেন চীনের বছর হলো চান্দ্র বছর। আর ওদের একেকটা বছর একেকটা রাশির প্রতীক। ১২ বছর পর পর রাশিগুলো ঘুরে ঘুরে আসে। এ বছর বৃষবর্ষ। একটু জেনে নেই নববর্ষের পিছনের পৌরাণিক গল্পটি।

চীনা উপকথা অনুযায়ী নিয়ান হলো এক পৌরাণিক জন্তু। সে খুবই ভয়ানক। নববর্ষের প্রথম দিনে নিয়ান গ্রামে এসে পশুপাল, শস্য খেয়ে ফেলতো। নিয়ান গ্রামবাসী বিশেষ করে শিশুদেরও খেয়ে ফেলতো। এ জন্য গ্রামবাসী নিয়ানের জন্য খাদ্য তৈরি করে দরজার সামনে রেখে দিত। তৈরি খাদ্য পেলে নিয়ান আর শিশুদের খেত না। তারপর এক নববর্ষে নিয়ান গ্রামে এল। লাল কাপড় পরা একটি শিশু সে সময় তার সামনে পড়লো। নিয়ান লাল পোশাক পরা শিশুটিকে দেখে ভয়ে চিত্কার করে পালিয়ে গেল। তখন গ্রামবাসী বুঝতে পারল নিয়ান লাল রঙকে ভয় পায়। তখন থেকে চীনের মানুষ নিয়ানকে ভয় দেখানোর জন্য দরজা জানালায় মন্ত্র লেখা লাল কাগজ ঝুলিয়ে রাখে বা আঠা দিয়ে সেঁটে রাখে। লাল লণ্ঠন ঝুলানো হয়। আর নিজেরাও লাল কাপড় পরে। তাই নিয়ান আর কখনো গ্রামে আসে না। নিয়ান ও অন্যান্য অশুভ প্রেতাত্মাকে ভয় দেখিয়ে তাড়ানোর জন্য এসময় বাজি পোড়ানোর নিয়ম রয়েছে। বাজির শব্দ আর আলোতে নাকি প্রেতাত্মারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। বাজি পোড়ানো হয় প্রায় পনের দিন ধরে। নববর্ষের রাত ১২ টায় শুরু হয় মূল আতশবাজির খেলা আর শেষ দিন অর্থাত্ ১৫ দিনের দিন সন্ধ্যায় অসংখ্য বাজি পোড়ানো হয়।

নববর্ষের বিশেষ ডিনারে কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার থাকে। যেমন ডাম্পলিং, মাছ ও তৌফুর বিভিন্ন ডিশ খাওয়া হচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতীক।

নববর্ষে সন্ধ্যায় পারিবারিক ডিনারের পর সবাই একসঙ্গে বসে টিভি দেখা হলো আধুনিক চীনা সংস্কৃতি। আরও রয়েছে বিভিন্ন কবিতা বা শ্লোক লেখা লাল কাগজ দরজায় লাগানো, লাল রঙের বিশেষ নকশার ওয়াল হ্যাংগিং এবং লাল কাগজ কেটে নকশা করা। এ সময় ঐতিহ্যবাহী সিংহ নাচ, ড্রাগন নাচ হয়। আর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ মেলা বসে। 

চীনের চলচ্চিত্র: "ওল্ফ ওয়ারিয়র ২"

আপন আলোয় --- পর্ব ৩_fororder_wenhua3

বিশ্বে সর্বকালের সর্বোচ্চ আয় করা ১০০টি চলচ্চিত্রের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চীনের ওল্ফ ওয়ারিয়র সিনেমাটি। অ্যাকশন থ্রিলার ধর্মী সিনেমাটি নিয়ে হোসনে মোবারক সৌরভের প্রতিবেদন।

একজন সৈনিকের সম্মান প্রাপ্তি শুধু তার পোশাকের উপরেই নির্ভর করে না বরং তা নির্ভর করে তার দায়িত্বজ্ঞান এর উপর। পোশাক থাকুক বা না থাকুক, দায়িত্ব বজায় থাকবে, আর এটাই তার সম্মান।

বলছি চীনের বক্স অফিসে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা "ওল্ফ ওয়ারিয়র ২"এর কথা। ছবিটি ২০১৫ সালের মুক্তি প্রাপ্ত ওল্ফ ওয়ারিয়রেএর সিক্যুয়েল।

বিশ্বজুড়ে ১০০টি সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম এবং একমাত্র চীনা চলচ্চিত্র।

 সিনেমার শুরুতেই ফেঙ কে দেখা যায় নিজের জাহাজকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে। চীনা সামরিক বাহিনীর এই সৈনিক তার পুরো দক্ষতা কাজে লাগিয়ে পরাস্ত করে আফ্রিকার ডাকাতদেরকে।

একজন অমানবিক লোককে মারধরের অপরাধে ২ বছর ধরে জেল খাটার পর পরবর্তী মিশনে যান আফ্রিকার অজানা এক দেশে। কিন্তু হঠাত্ আফ্রিকায় শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।

দেশটির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিদ্রোহীরা সশস্ত্র হামলা করে।। শুরু হয় সরকারি বাহিনির সাথে চরমপন্থীদের গোলাগুলী। একের পর এক সাধারণ মানুষের লাশের স্তুপ জমা হতে লাগলো।

 ফেং ও তার সহযোগীরা আশ্রয় নিলো চীনা দূতাবাসে। এদিকে সরকারি বাহিনীকে ছাপিয়ে বিদ্রোহীরা দখলে নেয় শহরের বেশির ভাগ এলাকা। চীনা দূতাবাস গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে থাকা চীনা নাগরিকদের সরিয়ে নিতে নৌবহর প্রস্তুত করতে শুরু করে।

নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হবে জাহাজ কিন্তু একটি মেডিকেল মিশনের প্রধান ডা. চ্যন আটকা পড়েন বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়া একটি চীনা মেডিকেল ক্যাম্পে। কিন্তু তাকে উদ্ধার করা খুব জরুরি!

ফেং একা দায়িত্ব নিয়ে ছুটে যান বিদ্রোহীদের অঞ্চলে। কিন্তু তার পৌঁছানোর আগেই আমেরিকান নেতা বিগ ড্যাডির নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ভুলবসত হত্যা করেন তাকে। যদিও বিগ ড্যাডি ডাক্তার চ্যানকে জীবন্ত চেয়েছিল।

একদিকে আফ্রিকা জুড়ে লামালনা ভাইরাসের প্রকোপ অন্য দিকে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বিদ্রোহীদের হামলা। গল্পের মোড় কোন দিকে যাবে? কেন ডাক্তার চ্যান এতো গুরুত্বপূর্ণ ? আফ্রিকায় কি মিশন ছিল ফেং এর? এ সব কিছু জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে পুরো সিনেমাটি।

ইউরোপিয়ানরা কিভাবে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে আফ্রিকা কে শোষণ করছে তার একটা ছোট্ট ধারণা পাবেন এই সিনেমা থেকে। তবে আফ্রিকা সম্পর্কে পজেটিভ কিছু তথ্য দেয়া হয়েছে যেটা সচরাচর হলিউডের অনেক সিনেমায় দেখা যায় না।

২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার মূলচরিত্র লেং ফেং চরিত্রে অভিনয় করেছেন করেছেন চীনা অভিনেতা ও পরিচালক উই জিং। অভিনয়ের পাশাপাশি এই সিনেমার প্রযোজনা, চিত্রনাট্য, ও পরিচালনাও করেছেন তিনি।

আপনি যদি আধুনিক অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার পছন্দের সিনেমা হতে পারে "ওল্ফ ওয়ারিয়র ২" । আপনি চাইলে খুব সহজেই বাংলা সাবটাইটেলসহ দেখতেু পারেন সিনেমাটি।

অন্তরঙ্গ আলাপনভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়

আপন আলোয় --- পর্ব ৩_fororder_wenhua4

অন্তরঙ্গ আলাপনে নন্দিত আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন প্রথমবারের মতো আবৃত্তিতে তার রাষ্ট্রীয় একুশে পদক লাভের অনুভূতি। আবৃত্তিতে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আবৃত্তিতে অনার্স-মাস্টার্স চালু নিয়ে তার পরিকল্পনা কথা বলেছেন, শুনিয়েছেন তার আনন্দময় চীন সফরের গল্প। জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর।

প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের সমৃদ্ধ করবে। কাছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতার-সিআরই বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla আপনার মন্তব্য করতে পারেন। সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।

পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সং স্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। শুভ বিদায় …চায় চিয়েন।

গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম