উহানের পরীক্ষাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবি উড়িয়ে দিলেন হু বিশেষজ্ঞ
2021-02-09 14:37:46

১৪ দিনের কোয়ারিন্টিন শেষ করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩জন বিজ্ঞানী নিয় গঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলটি চীনা চিকিত্সকদের সহযোগিতায় উহানে তাঁদের গবেষণা শুরু করেছেন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বিশেষজ্ঞদল হুপেই প্রদেশের কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তাঁরা চিকিত্সক ও মহামারীর শুরুর দিকে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চীনের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)বিশেষজ্ঞ দল গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৪ ঘন্টা সময় ধরে উহান ভাইরাস গবেষণালয়উহান ভাইরাস পরীক্ষাগার পরিদর্শন করেছে।  

হু বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ডেডিকোভ ওই সফর শেষে উহানের পরীক্ষাগার থেকে নভেল করোনাভাইরাস বাইরে ছড়িয়ে পড়ার দাবির সত্যতার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন।

 

তিনি বলেন, উহান পরীক্ষাগারের সরঞ্জাম অত্যন্ত পরিশীলিত, এবং সর্বোচ্চ নিরাপদ। এমন একটি জায়গা থেকে কোন কিছু বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আমি মনে করি না ‘হুয়া নান’ নামক বাজার থেকে কোভিড-১৯ রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তবে, এর অর্থ এমন নয় যে, ভাইরাসের উত্সও সেই বাজার। তিনি আরও বলেন, উহানের গবেষণালয় থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কথা অবিশ্বাস্য। গবেষণালয়ের কাজকর্ম চলে কঠোর সাবধানতার সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে গবেষণালয়ের জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।

 

উল্লেখ্য, উহানের ভাইরাস পরীক্ষাগারটি চীনেসবচেয়ে নিরাপদ জৈবিক পরীক্ষাগার অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞ দলের প্রাণিবিদ পিটার ড্যাশাক উহান পরীক্ষাগার পরিদর্শনের পর সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, “এমন কোন প্রমাণ নেই যে, করোনাভাইরাস এ পরীক্ষাগার থেকে তৈরি ও ছড়িয়েছে এবং এ বিষয় নিয়ে পরীক্ষাগারের কর্মী আন্তরিকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলটির এবারের সফর ও তাঁদের সহযোগিতার প্রতি চীনের মনোভাব তিনটি শব্দ দিয়ে বর্ণনা করেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপ-পরিচালক চেং ই সিন, তা হল ইতিবাচক, উন্মুক্ত ও সমর্থন । আমরা বিশ্বাস করি, বৈজ্ঞানিক নীতি অনুসারে কাজ করলে এ ভাইরাস সম্পর্কিত আমাদের জানাশোনা বৃদ্ধি পাবে।  এটাও একটি অবিচ্ছিন্ন উন্নতির প্রক্রিয়া। আরও বেশি বিশেষজ্ঞ আমাদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন আশা করি। ভাইরাসের প্রতি আমাদের জানাশোনা বেশি হলে, তা ভবিষ্যতে নতুন সংক্রামক রোগের নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য কাজে আসবে।”

করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করা একটি বৈজ্ঞানিক বিষয় এবং তার গবেষণায় বিশ্বের বিজ্ঞানীদের একসঙ্গে কাজ করা উচিৎ। মহামারির পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানের সঙ্গে জড়িত হবে নানা দেশ ও জায়গা। প্রয়োজন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্য আরও দেশ ও অঞ্চল পরিদর্শন করবে। চীন এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সহযোগিত করে যাবে এবং বিশ্বে করোনাভাইরাসের উৎসের অনুসন্ধান কাজে নিজের অবদান রাখবে।

শিশির/এনাম/রুবি