হপ্তানামা: সিনচিয়াং নিয়ে মিথ্যাচার খণ্ডন করেছেন নানা দেশের বিশেষজ্ঞগণ
2021-02-09 13:11:52

 

প্রথমে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের গত এক সপ্তাহের কর্ম তত্পরতা তুলে ধরছি...

গত ফেব্রুয়ারি, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং  কুই চৌ প্রদেশ পরিদর্শন শুরু করেন। বসন্ত উত্সবের আগে জনসাধারণের সঙ্গে দেখা করা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতি বছরই তিনি এ কাজটি করে থাকেন। ওই দিন বিকেলে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কুই চৌ প্রদেশের মিয়াও জাতির হুয়া উ গ্রাম পরিদর্শন করেন।

হুয়া উ গ্রাম উ নদীর তীরে অবস্থিত। উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করতে কুই চৌ প্রদেশকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সি চিন পিং। তাই এবার হুয়া উ গ্রামে গিয়ে তিনি প্রথমে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশের অবস্থা পরদির্শন করেন।

এছাড়া, প্রেসিডেন্ট সি হুয়া উ গ্রামের দারিদ্র্যবিমোচনের অবস্থা পরিদর্শন করেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর থেকে এ পর্যন্ত কুই চৌ প্রদেশে ৯২লাখ ৩০হাজার মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। প্রতি বছর ১০লাখেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যকে বিদায় জানিয়েছে।  এ প্রদেশে যারা দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন, তাঁদের সংখ্যা চীনের যে কোন প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

গত ফেব্রুয়ারি চীনের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উত্সব উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিমানবাহিনীর একটি বিভাগ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দেশের গণমুক্তি ফৌজের সকল সৈনিক ও কর্মকর্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসিডেন্ট সি কুচৌ প্রদেশে অবস্থিত বিমানবাহিনীর একটি বিভাগ পরিদর্শন করেন। তিনি প্রথমে সেখানকার মহামারী প্রতিরোধ কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের বাহিনী মহামারী প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।

বিমানবন্দরে তিনি বৈমানিকদের প্রশিক্ষণের খোঁজকখবর নেন। তিনি সৈনিক ও কর্মকর্তাদের অবস্থা নিজ চোখে পর্যবেক্ষণ করেন এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্রে অনেক সৈনিক প্রেসিডেন্টকে দেখে খুবই খুশি হন।

তারপর তিনি সৈনিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে তিনি বলেন, চলতি বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে হবে। সবশেষে তিনি সবাইকে বসন্ত উত্সবের শুভেচ্ছা জানান এবং সকলের সুন্দর ও আনন্দময় জীবন কামনা করেন।

গত ফেব্রুয়ারি চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৩৪তম আফ্রিকান ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে একটি অভিনন্দনবার্তা পাঠান। বার্তায় তিনি আফ্রিকান দেশগুলোর এবং সেসব দেশের জনগণের ঐক্য ও স্বনির্ভরতা কামনা করেন।

বার্তায় সি আরও বলেন, ২০২০ সালে চীন ও আফ্রিকা মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে। দু’পক্ষের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা অব্যাহতভাবে উন্নতও হচ্ছে। এ বছর চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের নতুন সম্মেলন সেনেগালে আয়োজিত হবে। চীন আফ্রিকার সঙ্গে কৌশলগত মতৈক্য বাড়ানো, মহামারী প্রতিরোধে সহযোগিতা জোরদার, ফোরামের বেইজিং শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য বাস্তবায়ন, এবং ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতা আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক।

গত ফেব্রুয়ারি চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং  হ্যেপেই প্রদেশের ফিংশান জেলার স্যিবাইফো থানার পেইচুয়াং গ্রামের চীনা কমিনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র সদস্যদের চিঠির উত্তর দিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন:  “সবাই ভাল আছেন তো? আপনাদের চিঠি পেয়েছি। ৭৮ বছর আগে ‘ঐক্য হলো শক্তি’ শীর্ষক গান আপনাদের এখান থেকে গাওয়া শুরু হয়। পরে গানটি চীনা জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় একটি বিপ্লবী সংগীতে পরিণত হয়। বর্তমানে আপনারা স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে লাল রঙের জিনের উত্তরাধিকার হয়েছেন। আপনারা একসঙ্গে, একই উদ্দেশ্যে পরিশ্রম করে দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। আমি এতে খুবই আনন্দিত। ঐক্য হলো শক্তি। এ শক্তি হলো লোহা, এ শক্তি হলো ইস্পাত। সিপিসি’র এক শ বছরের ইতিহাস হলো জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সুন্দর জীবনের জন্য পরিশ্রম করার ইতিহাস। স্যিবাইফো’র ক্যাডারবৃন্ধ ও নাগরিকরা এটি ভালোভাবেই বোঝেন। সার্বিকভাবে সমাজতন্ত্রিক আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে, স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে, একসঙ্গে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ জীবন গড়ে তুলতে হবে। বসন্ত উত্সব উপলক্ষে আপনাদের শুভ কামনা করি।”

২. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)’র বিশেষজ্ঞ দল গত বুধবার ৪ঘন্টা সময় ধরে উহান ভাইরাস গবেষণালয় ও উহান ভাইরাস পরীক্ষাগার পরিদর্শন করেছে। 

রাশিয়ান স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কে গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, হু বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও রুশ সেন্টপিটার্সবার্গ পাস্তুর ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ড. ডেডিকোভ ওই সফর শেষে উহানের পরীক্ষাগার থেকে নভেল করোনাভাইরাস বাইরে ছড়িয়ে পড়ার দাবির সত্যতার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “উহান পরীক্ষাগারের সরঞ্জাম অত্যন্ত পরিশীলিত,এবং সর্বোচ্চ নিরাপদ। এমন একটি জায়গা থেকে কোন কিছু বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আমি মনে করি না।”

উহানের ভাইরাস পরীক্ষাগারটি চীনের সবচেয়ে নিরাপদ জৈবিক পরীক্ষাগার। অন্য একজন বিশষেজ্ঞ বলেন,“এ পরীক্ষাগারটি আমার পরিচিত। এখান থেকে অনেক শ্রেষ্ঠ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। হয়তো, এ পরীক্ষাগারের গবেষণার ফলাফল সত্যের নিকটতম হয় বলে তাকে অনেকেই অভিযুক্ত করেন।”

৩. সিনচিয়াং নিয়ে মিথ্যাচার খণ্ডন করেছেন নানা দেশের বিশেষজ্ঞগণ

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশ চীনের সিনচিয়াং সম্পর্কে প্রচুর মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে। তারা চীনের সিনচিয়াংয়ের প্রশাসনিক নীতিরও সমালোচনা করছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সরাসরি হস্তক্ষেপ। যতবারই বলা হোক না কেন, মিথ্যা কখনও সত্য হতে পারে না।

সিনচিয়াং ইস্যু জাতি,ধর্ম বা মানবাধিকারের ইস্যু নয়, বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতা দমনের ইস্যু। সিনচিয়াং সম্পর্কে প্রচলিত গুজব ও মিথ্যার জবাবে চীন সব সময় সত্য বলে থাকে। অর্থাত্ সত্য দিয়ে মিথ্যাকে মোকাবিলা করে থাকে। এখানে কিছু মিথ্যাচার ও তার জবাব তোলে ধরা হল।

মিথ্যাচার: সাবেক মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, চীন সরকার সিনচিয়াং উইগুর জাতি ও অন্য সংখ্যালঘু জাতির উপর গণহত্যা চালিয়েছে।

সত্য জবাব: গত কয়েক বছরে সিনচিয়াংয়ে উইগুর জাতির লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০-২০১৮ সালে সিনচিয়াং উইগুর জাতির লোক সংখ্যা ১কোটি ১লাখ ৭১হাজার ৫০০জন থেকে বেড়ে ১কোটি ২৭লাখ ১৮হাজার ৪০০জনে উন্নীত হয়েছে। যা একই সময়ে হান জাতির লোক সংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি।

সিনচিয়াংয়ে চরম দারিদ্র্য নির্মূল করা হয়েছে। ২০১৪-২০১৯ সালে সিনচিয়াংয়ের জিডিপি ৯১,৯৫৯কোটি ইউয়ান থেকে বেড়ে ১,৩৫,৯৭১কোটি ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে। চীনে সব জাতির মানুষ সমান অধিকার ভোগ করে। সবার ধর্ম বিশ্বাস, শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজের জাতির ভাষা, অক্ষর ব্যবহার ও ঐতিহ্য চর্চার উত্তাধিকার রক্ষা করা হয়।

মিথ্যাচার: সিনচিয়াংয়ে ‘শিক্ষা শিবিরে’ কয়েক মিলিয়ন উইঘুর জাতির মানুষ আটক

সত্য জবাব: সিনচিয়াংয়ে কখনও এমন শিবির ছিলনা এবং এখনো নেই। আইন অনুযায়ী সিনচিয়াংয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পেশাদার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা স্কুল। এটি সন্ত্রাস ও চরমপন্থা প্রতিরোধে এক ধরনের ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখে এবং জাতিসংঘের ধারণা অনুযায়ী এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে চীন। ফলে গত ৪বছরে সিনচিয়াংয়ে কোন সন্ত্রাসী ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে নি। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা জাতীয় ভাষা, আইন ও পেশাদার প্রযুক্তি শিখেন। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে যারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলন, তারা সবাই স্নাতক হয়েছেন এবং চাকরি পেয়েছেন। স্থিতিশীল ও সুখি জীবনযাপন করছেন।মিথ্যাচার: সিনচিয়াংয়ের পেশাদার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন

সত্য জবাব: সিনচিয়াংয়ের পেশাদার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ধর্ম পালনকে সম্মান দেওয়া হয়। সকল শিক্ষার্থী নিজের রীতিনীতি পালন করতে পারেন এবং নিজের ভাষায় কথা বলতে পারেন। প্রত্যেক ধর্মবলম্বীরা তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাছাড়া, কেন্দ্রে নানা ধরনের সমৃদ্ধ হালাল খাবার প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বাড়ি ফিরতে পারেন এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জীবন-যাত্রার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। তাঁদের হোস্টেলে রেডিও, টেলিভিশন, এসিসহ নানা সুযোগসুবিধা রয়েছে। সেখানে তাদের চাকরির দক্ষতাও বাড়াতে সহায়তা করা হয়।

সিনচিয়াংস নিয়ে আরও অনেক মিথ্যাচার আছে। যেমন, বিদেশে কিছু উইঘুর সিনচিয়াংয়ে নিজের আত্মীয় ও বন্ধু নিঁখোজ  রয়েছে বলে গণমাধ্যমে তাঁদের সন্ধানে পোস্ট দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে, তাদের তথাকথিত আত্মীয়রা নিখোঁজ নয়। তারা স্বাভাবিকভাবে সিনচিয়াংয়ে বসবাস করছেন।

 সিন চিয়াং সম্পর্কে কিছু পশ্চাত্য গণমাধ্যমের মিথ্যাচার খণ্ডন করেছেন বিদেশি বিশেষজ্ঞগণ। সম্প্রতি জেনেভায় নিযুক্ত জাতিসংঘের মিশন এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের এক ভিডিও সম্মেলনে লাওসের প্রতিনিধি ২০১৯ সালে তাঁর সিনচিয়াং পরিদর্শনের অনুভূতি শেয়ার করেন। তিনি বলেন, বিশ্বে উন্নয়নের সার্বজনীন পথ নেই। সমাজের উন্নয়ন এবং মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে চীনের সরকার সত্যিই বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।

আসলে উক্ত মন্তব্য শুধুমাত্র লাওসের প্রতিনিধির একক মন্তব্য নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনচিয়াংয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আন্তর্জাতিক সমাজেরও নজর কেড়েছে।

এবারের ভিডিও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী জেনেভায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা এবং জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনেকে তাঁদের সিনচিয়াং সফরের স্মৃতিচারণ করেন। টেকসই উন্নয়ন বেগবান এবং মানবাধিকার সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার উচ্ছ্বসিত স্বীকৃতি দেন তাঁরা।

কূটনীতিকদের দেখাশোনা ও অনুভূতি থেকে আরেকবার সত্য প্রমানিত হয় যে, সিনচিয়াং ভালো জায়গা।

পাকিস্তানের প্রতিনিধি পরিষদের কূটনৈতিক কমিশনের চেয়ারম্যান মুশাহিদ হুসেন সম্প্রতি চীনের সিনহুয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, গত ২০ বছরে তিনি প্রায় ২০ বার সিনচিয়াং ভ্রমণ করেছেন। তিনি নিজে সিনচিয়াংয়ের উন্নয়ন ও পরিবর্তন, ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি, ধর্মীয় স্থান ও সমাজের চালিকাশক্তি অনুভব করেছেন।

তিনি বলেন, সিনচিয়াংয়ের সংখ্যালঘু জাতি, বিশেষ করে উইগুর জাতির লোকসংখ্যা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন জাতির নাগরিকরা সেখানে একসঙ্গে শান্তিতে জীবনযাপন করছেন এবং কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, সিনচিয়াং হলো রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। বিভিন্ন জাতির নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। ২০২০ সালে চীন কার্যকরভাবে মহামারী প্রতিরোধ করেছে এবং এসময় সিনচিয়াংয়ের অর্থনীতিতেও প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।