যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশ চীনের সিনচিয়াং সম্পর্কে প্রচুর মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে। যেমন, সাবেক মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, চীন সরকার সিনচিয়াং উইগুর জাতি ও অন্য সংখ্যালঘু জাতির উপর গণহত্যা চালিয়েছে। সিনচিয়াংয়ে তথাকথিত ‘শিক্ষা শিবিরে’ কয়েক মিলিয়ন উইঘুর জাতির মানুষ আটকে রাখা হয়েছে। সিনচিয়াংয়ের পেশাদার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। তারা চীনের সিনচিয়াংয়ের প্রশাসনিক নীতিরও সমালোচনা করছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সরাসরি হস্তক্ষেপ। যতবারই বলা হোক না কেন, মিথ্যা কখনও সত্য হতে পারে না।
সিনচিয়াং ইস্যু জাতি,ধর্ম বা মানবাধিকারের ইস্যু নয়, বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতা দমনের ইস্যু। সিনচিয়াং সম্পর্কে প্রচলিত গুজব ও মিথ্যার জবাবে চীন সব সময় সত্য বলে থাকে। অর্থাৎ সত্য দিয়ে মিথ্যাকে মোকাবিলা করে থাকে।
গত কয়েক বছরে সিনচিয়াংয়ে উইগুর জাতির লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০-২০১৮ সালে সিনচিয়াং উইগুর জাতির লোক সংখ্যা ১কোটি ১লাখ ৭১হাজার ৫০০জন থেকে বেড়ে ১কোটি ২৭লাখ ১৮হাজার ৪০০জনে উন্নীত হয়েছে। যা একই সময়ে হান জাতির লোক সংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি।
বর্তমানে সিনচিয়াংয়ে ২৫হাজারেরও বেশি মসজিদ ও ২৯হাজারেরও বেশি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব রয়েছে।
গত বছর মহামারির সময়ে সরকার প্রতিটি মসজিদে চিকিত্সক পাঠায়। মুসলমানদেরকে মাস্ক ও ওষুধ প্রদান করে। পাশাপাশি নিয়মিত মসজিদসমূহকে জীবাণুমুক্ত করে।
সিন চিয়াংয়ের নানা স্তরের লোকজন নিজের অভিজ্ঞতা ও সুখী জীবনের মধ্য দিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চীনে একটি প্রবাদ আছে, মিথ্যাচার জ্ঞানীদের সামনে থেমে যায়। আরেকটি কথা আছে যে, বাস্তবতা জানতে চাইলে নিজ চোখে দেখে নিন। আশা করি, আমরা সবাই মিথ্যাচারকে বিশ্বান করব না।