ফেব্রুয়ারি ৭: যদি ‘স্বার্থ’ ছিল সাবেক মার্কিন সরকারের মূল শব্দ, তাহলে ‘মূল্যবোধ’ হচ্ছে নয়া মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ শব্দ।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ক্রিয়াকলাপ থেকে এটা স্পষ্ট যে, নয়া প্রশাসন মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করে নিতে চাচ্ছে। অন্যভাবে বললে, মার্কিন প্রশাসন সমমনাদের নিয়ে একটি ‘গণতন্ত্র জোট’ গড়ে তুলতে চায়।
তথাকথিত ‘গণতন্ত্র জোট’ বা গণতান্ত্রিক লীগ কোনো নতুন ধারণা নয়। ২০০৮ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমকর্তা ডেভিড গর্ডন প্রথম ‘গণতান্ত্রিক দেশগুলো জোট’ গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন। যুক্তরাষ্ট্র সেই পুরাতন ধারণাই নতুন করে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে।
কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-র সদস্যদেশগুলো দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল শুক্রবার বলেন, যদিও ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিষয়ে মতৈক্য আছে, তবুও ইউরোপ একটি স্বাধীন ‘চীননীতি’ অনুসরণ করতে চায়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্খোঁ বৃহস্পতিবার বলেন, যদিও ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অভিন্ন মূল্যবোধ রয়েছে, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ইউরোপ চীনেদর বিরোধিতা করবে না।
আসলে এর আগে বাইডেন নিজেই চীনের সঙ্গে সহযোগিতা চালানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। চীনে মেক্সিকোর সাবেক রাষ্ট্রদূত জর্জে গুজার্ডো সম্প্রতি বলেন, কোনো দেশ বিশ্বের একমাত্র প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বড় দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ হাত ছাড়া করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা জোট গড়ে তুলবে কেন? যুক্তরাষ্ট্র একটি অবিশ্বস্ত অংশীদার। (ছাই/আলিম)