২০২০ সালে চীনে মোট ভোগের পরিমাণ ছিল জিডিপি’র ৫৪.৩ শতাংশেরও বেশি
2021-02-06 16:35:39

২০২০ সালে চীনে মোট ভোগের পরিমাণ ছিল জিডিপি’র ৫৪.৩ শতাংশেরও বেশি_fororder_u=272748020,3956224599&fm=26&gp=0

২০২০ সালে চীনের জিডিপি দাঁড়ায় ১০১.৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে। আর সে বছর চীনে ভোগের পরিমাণ ছিল জিডিপি’র ৫৪.৩ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ২০২১ সালেও চীন অব্যাহতভাবে ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়ে ভোগ বাড়ানোর চেষ্টা করবে।  

২০২০ সালে চীনে সামাজিক খুচরা বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল রেকর্ড সৃষ্টিকারী। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই এই রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দেশীয় চাহিদা বাড়ানো ও ভোগ ত্বরান্বিত করা হবে ২০২১ সালে চীনা অর্থনীতির মূল লক্ষ্য।

রাষ্ট্রীয় পরিষদের উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রের একাডেমি কমিশনের উপ-মহাসচিব ও সামষ্টিক অর্থনীতি গবেষণা বিভাগের গবেষক চাং লি ছুন বলেন, এখনও বিশ্বে মহামারী নিয়ন্ত্রিত হয়নি এবং আরো বেশি অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা আছে। সেজন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি করতে হবে। 

জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক নিং জি চে সম্প্রতি বলেন, চীনের বর্তমান অবস্থা থেকে এটা স্পষ্ট যে, দেশটির অর্থনীতিতে ভোগের মৌলিক ভূমিকা রয়েছে এবং এই ভূমিকা আরও বাড়াতে হবে। আর এ জন্য নাগরিকদের ভোগের সামর্থ্য উন্নত করতে হবে। ভোগের পরিবেশ ও নীতিও পূর্ণাঙ্গ করতে হবে।

চীনের অর্থনৈতিক যোগাযোগ কেন্দ্রের উপ-সভাপতি ও একাডেমি কমিশনের পরিচালক ওয়াং ই মিং মনে করেন, স্বল্প-মেয়াদী প্রমোশনাল ফি নীতি ছাড়াও, স্থায়ী নীতি গড়ে তুলতে হবে।

আয় বিন্যাস নীতির সংস্কার, সামাজিক বীমার সম্পূর্ণ কাভারেজ, সামাজিক বীমার মান উন্নয়ন, গ্রামের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার  উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।

ওয়াং আরও বলেন, যদি মহামারী কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে, তাহলে ২০২১ সালে চীনের ভোগ দ্রুত বাড়বে। জনগণের বার্ষিক ব্যয় বাড়বে ১০ শতাংশ।