বেইজিং অলিম্পিকের দুটো গেমসের মশালের ডিজাইন প্রকাশিত
2021-02-05 16:47:39

বেইজিং অলিম্পিকের দুটো গেমসের মশালের ডিজাইন প্রকাশিত_fororder_810a19d8bc3eb1354df27b4e9130a8dbfc1f44c0

ফেব্রুয়ারি ৫: গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে ২০২২ বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের দিন-গণনার এক বছর অনুষ্ঠান চীনের রাষ্ট্রীয় সাঁতার কেন্দ্র ওয়ার্টার কিউবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমস এবং শীত্কালীন প্রতিবন্ধী গেমসের মশালের ডিজাইন প্রকাশিত হয়েছে। 

মশাল বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের গুরুত্বপূর্ণ চেতনা এবং চীনের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। পাশাপাশি তাতে বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের সদিচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে।  

বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের মশালের রং রূপালী এবং লাল, যা দেখতে খুব প্রাণচঞ্চল। দুটি রং বরফ ও আগুনের প্রতীক। যার মানে উদ্যমী হয়ে বরফ ও তুষারের বিশ্বকে জ্বালিয়ে দেওয়া এবং বিশ্বকে উষ্ণ করা। প্রতিবন্ধী অলিম্পিক গেমসের মশালের ডিজাইন শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের মতোই। তবে তার রং রূপালী এবং সোনালী, যার অর্থ উজ্জ্বলতা ও স্বপ্ন। তাতে ‘সাহস, দৃঢ়তা, উত্সাহ ও সমতা’র মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়েছে। তাছাড়া, এ মশালের নিচে প্রতিবন্ধীদের ভাষায় লেখা হয়েছে ‘বেইজিং ২০২২ সালের প্রতিবন্ধী অলিম্পিক গেমস’। মশালটি একে অপরকে দেওয়ার সময় দু’টি মশালের মাথা যুক্ত করা যায়, যার মানে দু’ধরনের সভ্যতার বিনিময় ও মিশ্রণ।

 

বেইজিং হবে অলিম্পিক ইতিহাসে প্রথম সিটি, যেটাতে দু’বার অলিম্পিক আয়োজিত হয়। তাই এ গেমসের মশালের রূপ ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের মশালের মতো দেখা যায়। নিচ থেকে উপরে চীনের ঐতিহ্যবাহী পেপার কাটিং’র শৈলীতে তুষারের ডিজাইন করা হয়েছে।

 

মশালের ডিজাইনার লি চিয়ান ইয়ে বলেন, মশালে কোন একটি সোজা লাইন দেখা যায় নি। বাকা লাইন পরিবর্তনশীল। যার ফলে প্রাণচঞ্চল দেখতে পাচ্ছে। তা যেন উদ্ভিদের মতো অন্তহীন। তাতে চীনাদের ‘মানবজাতি ও প্রকৃতি সম্প্রীতিময় সহাবস্থানের চেতনা তুলে ধরা হয়েছে। নকশার অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে লি চিয়ান ইয়ে বলেন, একটি পাতা থেকে এ ডিজাইনের জন্ম হয়। তিনি বলেন,“আমরা সে সময় একটি পাতা দেখেছি। পাতায় যে সৌন্দর্য্য দেখা দিয়েছে, তা ঐতিহ্যবাহী শৈল্পিক ডিজাইনের মতো নয়। এ ডিজাইন খুব প্রাকৃতিক, তবে উদ্ভাবনের উপাদানও রয়েছে। আমরা আগেকার মশালের সম্পূর্ণতা ও রুদ্ধতা ভেঙে খোলা রূপে ডিজাইন করেছি। এতে ফিতার রূপে আগুণ জ্বালানো হয়। আগের মশালে শুধু আগুন দেখা যেতো। এ মশালে আগুন ঘুরেঘুরে উপরের দিকে যায়। তাছাড়া, এ আগুণ ছোট থেকে বড় করা যায়, দেখতে অনেক প্রাণচাঞ্চল্যকর। পুরো ডিজাইন আলাদা হয়ে উঠেছে।

 

মশালটিতে হাইটেকের উপাদানও রয়েছে।  আগেকার ধাতুর পরিবর্তে এবারে হালকা তবে শক্তিশালী কার্বন ফাইবার ও রজনের উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। ডিজাইনের স্কিলে অনেক উদ্ভাবন রয়েছে। কার্বন ফাইবার বিশেষজ্ঞ ও সিনোপেক সাংহাই পেট্রোকেমিক্যাল কর্পোরেশনের উপমহাব্যবস্থাপক হুয়াং ইয়াং ইয়ু বলেন,“ত্রি-মাত্রিক বয়নের পদ্ধতিতে তৈরি করেছি আমরা। এটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তিতে ডিজাইনারের যে কোনো সাইজে  যে কোনো রূপে তৈরি করা যায়।  এটি কার্বন সাইবার প্রযুক্তির উন্নতি।  দ্বিতীয়ত আমরা বিভিন্ন নকশার মডেল ব্যবহার করেছি। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের বাকা পৃষ্ঠের চাহিদা মেটাতে সম্ভব হয়েছি। তৃতীয়ত: এক বিশেষ এবং উচ্চ তাপমাত্রার সহযোগে রজন ব্যবহার করা হয়। চতুর্থত: রজনের রূপ নেওয়ার জন্য একে রূপান্তর করা হয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে রজন মশালের রূপ দেওয়া হয়, যাতে আগুণ ও উচ্চ তাপমাত্রায় সহনীয় হয়। তাছাড়া, মশালে সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। জ্বলনের পর কেবল পানি সৃষ্টি হয় কোনো কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে না।

ফেব্রয়ারি ৫, ২০২১

চায়না মিডিয়া গ্রুপ(সিএমজি) থেকে ওয়াং তান হোং রুবি