‘হপ্তানামা’: দাভোস ফোরামে বহুপক্ষবাদের পক্ষে প্রেসিডেন্ট সি’র ভাষণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মূল্যবান দিকনির্দেশিকা
2021-01-29 18:36:44

প্রথমে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের গত এক সপ্তাহের কর্ম তত্পরতা তুলে ধরছি...

 

গত ১৯ জানুয়ারি চীনা প্রেসিডেন্ট পুনরায় বেইজিং অলিম্পিক গেমসের চাংজিয়াখৌ ভেন্যু পরিদর্শন করেন। এবার তিনি ট্রেনে সেখানে পৌঁছান। চার বছর আগে তিনি সেখানে পৌঁছেছিলেন বিমানে। কারণ, ইতোমধ্যেই বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত হয়েছে বেইজিং-চাংজিয়াখৌ রেলপথ। আগে এই পথটি ছিল না। পরিদর্শনকালে সি চিন পিং ভেন্যুর প্রশংসা করেন। ২৪তম শীতকালীন অলিম্পিক গেমস ২০২২ সালের ৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত হবে। বেইজিং ও চাংজিয়াখৌ শহর যৌথভাবে আয়োজন করবে এবারের শীতকালীন অলিম্পিক গেমস। মঙ্গলবার বিকালে সি চিন পিং বেইজিং-চাংজিয়াখৌ রেলপথের থাইজিছেং স্টেশনও পরিদর্শন করেন। বেইজিং-চাংজিয়াখৌ রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রেলপথটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। বেইজিং থেকে থাইজিছেংয়ে অবস্থিত শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের প্রধান ভেন্যুতে পৌঁছাতে ট্রেনে এখন মাত্র এক ঘন্টা সময় লাগে। তা ছাড়া তিনি জাতীয় স্কি জাম্প স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শীতকালীন ক্রীড়ায় উন্নয়নের জন্যও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের পথে এগুতে হবে। এক্ষেত্রে একদিকে নিজস্ব উদ্ভাবনে অবিচল থাকতে হবে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অগ্রসর প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে।

অন্য আরেক স্টেডিয়াম পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, শীতকালীন অলিম্পিক গেমস এখনও এক বছর দূরে আছে।  এরই মধ্যে সব স্টেডিয়াম ও দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। কোনো কোনো ইভেন্টে চীনা খেলোয়াড়রা শূন্য থেকে শুরু করে অনেক উন্নতি করেছে। এসবই প্রশংসাযোগ্য।

 

গত ২১ জানুয়ারি লাওসের ক্ষমতাসীন গণবিপ্লব পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় থোংলুন সিসোলিথকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, লাওসের গণবিপ্লব পার্টির একাদশ কংগ্রেসের সাফল্য দেশটির উন্নয়ন-প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমরেড থোংলুনকে কেন্দ্র করে লাওসের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি দেশটিকে ঐক্যবদ্ধ করে বিভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, চীন ও লাওস হলো পাহাড় ও নদী দ্বারা সংযুক্ত পরস্পরের সুপ্রতিবেশী। কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব এবং সমাজতান্ত্রিক দিক্‌নির্দেশনায় অনড় থাকা হলো চীন-লাওস সম্পর্কের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। বর্তমানে চীন-লাওস সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময়ে রয়েছে। চীন লাওসের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ ও কৌশলগত বিনিময় বাড়াতে এবং দেশ-প্রশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রক্রিয়া গভীরতর করতে ইচ্ছুক।

 

গত ২২ জানুয়ারি  চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দেশটির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি  দুর্নীতি মোকাবিলাকে ক্ষমতাসীন পার্টির সর্বোচ্চ চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন। কারণ তা এখনও নির্মূল করা যায় নি। দুর্নীতি দমনের তত্পরতা দীর্ঘকাল ধরে চালালেও তা এক সময় শিথিল হয়ে আবার ফিরে আসে। তাই এ কাজ কঠিন হলেও সব সময় অব্যাহত রাখতে হবে।  যে কোন উপায়ে ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি দমন ও ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বয় করতে হবে। দুর্নীতি দমন ও সংস্কার একসাথে প্রয়োগ করা প্রয়োজন, যাতে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে তত্ত্বাবধান ব্যবস্থার সুষ্ঠু সংস্কার এবং ব্যবস্থার ত্রুটি দূরীভূত ও সুবিন্যাস্ত করা সম্ভব হয়।  দুর্নীতি দমন অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে জনণগ সততা ও সুবিচারের পরিবেশ অনুভব করতে পারে।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, সততা ও সুবিচারের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। তাই সব অপশক্তি ও তাদের আশ্রয়দাতাদের দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার মাধ্যমে একেবারে দমন করতে হবে। 

অভিন্ন সমৃদ্ধির নীতিবিধির বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে হবে এবং শিক্ষা, চিকিতসা, প্রবীণদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা, দারিদ্র্যবিমোচন, ও পরিবেশ সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। 

 

গত ২৫ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সন্ধ্যায় বেইজিংয় থেকে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বা দাভোস ফোরামে অনলাইনে অংশ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন। ভাষণে সি চিন পিং বলেন, বিশ্বে যেমন একই গাছে দুই ধরনের পাতা পাওয়া যাবে না, তেমনি পুরোপুরি একই ঐতিহাসিক ও সামাজিক ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন দেশের সামাজিক ব্যবস্থা ভালো ও মন্দের বিষয় নয়। তাকে যাচাই করতে হবে সেদেশের নিজস্ব পরিস্থিতি ও জনগণের সমর্থনের সঙ্গে মিলিয়ে। বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সামাজিক ব্যবস্থার ব্যবধান অতীত থেকেই বিদ্যমান রয়েছে। এটি মানব জাতির সভ্যতার মূল বিষয়। এমন বৈচিত্র্য না থাকলে মানব সভ্যতা টিকতে পারতো না।  

তিনি আরও বলেন, মানব জাতি যেসব বৈশ্বিক সমস্যার সম্মুখীণ হচ্ছে, কোন একটি দেশের পক্ষে এককভাবে সেসব মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সেসব মোকাবিলা করতে বৈশ্বিক তত্পরতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়ে যাওয়া। উন্নয়নশীল দেশের বৈধ উন্নয়নের অধিকার রক্ষা করা। যাতে বিভিন্ন দেশের জনগণ উন্নয়নের সমান সুযোগ ও সাফল্য লাভ করতে পারে।

 

ওই দিন  চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান থমাস বাখের  সঙ্গে এক ফোনালাপ করেছেন। ফোনালাপের সময় সি চিন পিং বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অলিম্পিক গেমস রক্ষা এবং বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবিলা করতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। চীনের ক্রীড়া জগতে কমিটির সমর্থনকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন সি চিন পিং। তিনি বলেন, চীন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টোকিও অলিম্পিক গেমস ও বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করতে যৌথ প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক। সি চিন পিং আরও বলেন, চীন সর্বপ্রথম তার দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে, যা বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন পক্ষের ব্যাপক সমর্থনে চীন এ গেমসের সাফল্য নিশ্চিত করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সেদেশের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

 অভিনন্দন বার্তায় সি চিন পিং বলেন, চীন ও ভারত একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। কোভিড-১৯ মহামারি ও শত বছরের পরিবর্তনের মুখে দু’দেশের সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়ন বজায় রাখা  উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর। চীন-ভারত সুসম্পর্ক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও তাত্পর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্ডের সাথে কাজ করে চীন-ভারত সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সি চিন পিং।

 

২.  দাভোস ফোরামে বহুপক্ষবাদের পক্ষে সি চিন পিংয়ের ভাষণ বিশ্বের বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে

‘হপ্তানামা’: দাভোস ফোরামে বহুপক্ষবাদের পক্ষে প্রেসিডেন্ট সি’র ভাষণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মূল্যবান দিকনির্দেশিকা_fororder_2021012520553423353

গত ২৫ জানুয়ারি  বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বা  দাভোস ফোরামের অনলাইন বৈঠক সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুরু হয়েছে।

 

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ভাষণ দেন। এতে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় চীনা প্রস্তাবসমূহ উত্থাপন করেন প্রেসিডেন্ট সি।

 

ভাষণে সি চিন পিং বর্তমানে বিশ্বমুখী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির সমন্বয়, আদর্শিক পক্ষপাত, বিভিন্ন দেশের মধ্যকার উন্নয়নের ব্যবধান, এবং কোভিড-১৯ মহামারিসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করেন।

 

সে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সি চিন পিং বহুপক্ষবাদ রক্ষা এবং মানব জাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গড়ে তোলার চীনা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। একই সঙ্গে সি চিন পিং বলেন, চীন সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গড়ে তোলার সময় আন্তর্জাতিক কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধক সহযোগিতায় ইতিবাচক অবদান রাখবে। অর্থনীতির বিশ্বায়নকে অধিক উন্মুক্ত, সহণশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ ও স্বার্থক করে তোলতেও কাজ করবে চীন। ঠিক এভাবেই প্রেসিডেন্ট সি’র ভাষণের মূল্যায়ন করা হয়েছে সিআরআই-এর এক সম্পাদকীয়তে।

 

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণ আন্তর্জাতিক সমাজেরও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক একাডেমীর উধ্বর্তন গবেষক এই সুন হো বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বহুপক্ষবাদের গুরুত্ব অনুভব করছি আমরা। ঠিক সে বিষয়টিই সি চিন পিং তাঁর ভাষণে তোলে ধরেন। বিশ্বের কিছু খুব কঠিন বিষয় রয়েছে, সে সব সমাধানে বহুপক্ষবাদ এবং মানব জাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠনের বিকল্প নেই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক।”

 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক হুই রাইডের বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির লড়াইয়ে জয়ী হতে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে চাইলে বহুপক্ষবাদ সম্প্রসারণ ও ভ্যাকসিন গবেষণা, কর্মসংস্থান ও ব্যাংকিংসহ নানা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। আর এসব বিষয়ই খুব গুরুত্বসহকারে ফুটে উঠেছে চীনা প্রেসিডেন্টের ভাষণে।

 

রাশিয়া-চীন গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক সের্গেই সানাকোয়েভ বলেন, দাভোস ফোরামে সি চিন পিংয়ের দেওয়া ‘বহুপক্ষবাদের মশালের আলোকে মানব জাতির অগ্রযাত্রা উজ্জ্বল করা’ শিরোনামের ভাষণ খুবই তাত্পর্যপূর্ণ, যা কোভিড-১৯ মহামারি-উত্তর যুগে বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য দিক-নির্দেশনা  প্রদান করেছে।

তিনি বলেন,  “চীনা প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাষণে অন্য দেশের উপর নিজের দেশের চেতনা ও মূল্যবোধ চাপিয়ে না-দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে আমি একমত পোষণ করি।”

 

তিনি বলেন, বিশ্ব বৈচিত্রময়। বৈচিত্র্য আমাদের উন্নয়নের উত্স। এ বৈচিত্র্য আরও সমৃদ্ধ হলে তা হবে  উন্নয়নের ভালো পথ। আধিপাত্যবাদী তত্পরতা চালানো যাবে না।

 

তিনি আরও বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত ২০১৭ সালে দাভোস ফোরামে বিভিন্ন দেশের প্রতি মানব জাতির অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বরাবরই এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এবারের ভাষণে তিনি আবারও এ বিষয়ে জোর দেওয়ার পাশিপাশি শান্তি, উন্নয়ন, সমতা, ন্যায্যতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা ভিত্তিক অভিন্ন মূল্যবোধে অবিচল থাকার দাবি জানালেন।

 

জাপানের বিশেষজ্ঞ মুরাতা তাদাইউশ বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর ভাষণে উন্নয়নশীল দেশের কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ কাজের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন, তাতে চীনের উত্থাপিত ‘মানব জাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব’ ফুটে উঠেছে।  

রুবি/এনাম