আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা কথা বলি সেইসব নারীর সঙ্গে যারা তাদের জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন, অথবা সাফল্য পেতে চান। আমাদের জীবনেও আমরা স্পর্শ করতে চাই সাফল্যের সোনালি ভুবন।
**সাক্ষাৎকার:উইমেন অনটারপ্রেনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আওয়াল
অনুষ্ঠানে কথা বলছেন নাসরিন ফাতেমা আওয়াল
সিআরআই এর ক্যামেরায় নাসরিন ফাতেমা আওয়াল
**চীনের বিখ্যাত নারী:বিখ্যাত লেখক থিয়ে নিং
চীনা লেখিকা থিয়ে নিং
থিয়ে নিংয়ের একটি বই
থিয়ে নিং চীনের একজন জনপ্রিয় নারী লেখক এবং ২০০৬ সাল থেকে চায়না রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। এই পদে তিনিই প্রথম নারী। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য। তার লেখা জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আহ, সিয়াংসুয়ে ‘দ্য রেড শার্ট উইদআউট বাটনস’, ‘জুনস বিগ টপিক’, হুইট স্ট্র স্ট্যাক, কটন স্ট্যাক, হাও লং ইজ ফর এভার’ ইত্যাদি।
থিয়ে নিং ১৯৫৭ সালে বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্রামের জনগণের জীবন সম্পর্কে জানতে কিছুকাল গ্রামেও বসবাস করেছেন। ১৯৭৫ সাল থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৮২ সালে তার লেখা ছোট গল্প ‘আহ সিয়াংসুয়ে’ জাতীয় পুরস্কার পায়। ১৯৮৪ সালে তার উপন্যাস ‘বোতামহীন লাল শার্ট’ এবং ছোটগল্প ‘জুনের বড় বিষয়’ জাতীয় পুরস্কার জয় করে। ১৯৮৬ সালে তার ছোট উপন্যাস হুইট স্ট্র স্ট্যাক পুরস্কার জয় করে। তিনি ২০০০ এবং ২০০২ সালে লাওশে সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
থিয়ে নিং প্রধানত সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনার কথা তার গল্প ও উপন্যাসে তুলে ধরেন। তার ভাষা কাব্যময় এবং গতিশীল। থিয়ে নিংয়ের সাহিত্যকর্ম আধুনিক চীনের জনজীবনের প্রতীক। তার সাহিত্য সাধনা তরুণ লেখকদের জন্য প্রেরণাস্বরূপ।
** জীবন সংগ্রামে নারী: ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের কথা
করোনা মহামারি যেমন অনেকের জীবনে সংকট নিয়ে এসেছে তেমনি অনেকে এই সংকটকালেও খুঁজে নিয়েছেন জীবিকার নতুন পথ। অনেক নারী ঘরে বসে ই-কমার্সের মাধ্যমে উপার্জন করছেন যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ, তৈরি করেছেন নতুন কর্মসংস্থান। এই নতুন যুগের ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমাদের আজকের প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন করেছেন তানজিদ বসুনিয়া।
**ইতিহাসের পাতায় বাঙালি নারী: বাংলার কবি চন্দ্রাবতী
চন্দ্রাবতী ছিলেন মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি এবং নারী সাহিত্যিকদের মধ্যে অগ্রগণ্য। বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাতুয়ার বা পাটোয়ারি গ্রামে আনুমানিক ১৫৫০ সালে তার জন্ম। তার বাবাও ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি। চন্দ্রাবতীর লেখা কাব্যগুলোর মধ্যে মলুয়া এবং দস্যু কেনারামের পালা জনপ্রিয়তা পায়। তিনি রামায়ণের নিজস্ব ভাষ্য রচনা করেন। লৌকিক, মানবিক ও কিছু নিজস্ব উপাদান সংযোগের ফলে এর আবেদন স্বতন্ত্র।রামায়ণকে তিনি বর্ণনা করেন অনেকটা নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে। চন্দ্রাবতীর নিজের জীবন ছিল বেদনাবিধুর। শৈশবের সঙ্গী জয়চন্দ্রের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু তার আগেই এক সুন্দরী মেয়ের জন্য জয়চন্দ্র তাকে ত্যাগ করে যান। অপমানিত চন্দ্রাবতী কাব্য রচনা ও দেবআরাধনায় জীবন ব্যয় করার প্রতিজ্ঞা করেন। একসময় অনুতপ্ত জয়চন্দ্র ফিরে আসলেও তিনি তাকে গ্রহণ করেননি। অভিমানে জয়চন্দ্র ফুলেশ্বরী নদীর জলে প্রাণত্যাগ করেন। জয়চন্দ্রের মৃত্যুতে শোকার্ত চন্দ্রাবতী নিজেও মৃত্যুবরণ করেন।
ময়মনসিংহগীতিকার অন্যতম প্রধান কবি চন্দ্রাবতীর লেখা কাব্য আজও গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পাঠ করা হয়।
কবি চন্দ্রাবতীর ছবি
কিশোরগঞ্জে কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ি ও মন্দির
পাঠকের প্রতি
সৈয়দপুর, পীরগাছা, রংপুর থেকে আমাদের ইমেইল পাঠিয়েছেন, এটিএম আতাউর রহমান রঞ্জু সভাপতি, আলোকিত মানুষ চাই, আন্তর্জাতিক শ্রোতা ক্লাব। তিনি জানিয়েছেন, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠান তাঁর ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু। আমাদের অনুষ্ঠান আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে আমরাও খুব আনন্দিত। আশাকরি ভবিষ্যতেও আমাদের অনুষ্ঠান আপনার ভালো লাগবে।
প্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা। অনুষ্ঠানটি কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন, ঢাকায় এফ এম ১০২ এবং চট্টগ্রামে এফ এম ৯০ মেগাহার্টজে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ হলো www.facebook.com/CRIbangla এবং www.facebook.com/CMGbangla এবংআমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। www.youtube.com/CMGbangla.
আজ এ পর্যন্তই। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়েন।
অনুষ্ঠান লেখা, উপস্থাপনা ও গ্রন্থনা : শান্তা মারিয়া
ছবি: হোসনে মোবারক সৌরভ