বন্ধুরা আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে একজন চীনা প্রবাসী কন্ঠশিল্পীর পরিচয় দেবো এবং তাঁর গান শোনাবো। তিনি হলেন আই ইউ। তিনি ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই সিছুয়ানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার বছর বয়স থেকে পিয়ানো শিক্ষা শুরু করেন। ১০ বছর বয়সে তিনি সিছুয়ান সংগীত একাডেমির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তার ১৬ বছর বয়সে তাঁর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সামর্থ্য নেই’ শীর্ষক গান। গানটি ২০১৪ সালে রিলিজ হয়। আই ইউ কন্ঠশিল্পী হ্যে লং ইউ’র সঙ্গে দ্বৈতকন্ঠে গানটি গেয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলন আই ইউ ও হ্যে লং ইউ’র কন্ঠে ‘প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সামর্থ্য নেই’ শীর্ষক গান। তিনি ১৭ বছর বয়সে মার্কিন সান ফ্রান্সিসকো আর্ট ইনস্টিটিউট’র শিল্প বিভাগে ভর্তি হন। লেখাপড়ার সময় তিনি প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে নাটক ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ ও গীতিনাট্য ‘দি সাউন্ড অব মিউজিক’-এ অভিনয় করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'প্রেম বিব্রতকর' শীর্ষক গান। চীনের বিখ্যাত্ কন্ঠশিল্পী সুন নান আই ইউ’র সঙ্গে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন তিনি। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন আই ইউ ও সুন নান’র কন্ঠে ‘প্রেম বিব্রতকর’ শীর্ষক গান। ১৯৯৬ সালে তিনি নিউইয়র্কে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রবাসী কন্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পেয়ে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। একই বছরের শেষ দিকে তিনি চীনা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ‘চীনা শৈলী’ শীর্ষক গ্রুপে অংশ নিয়ে হংকং ও ম্যাকাওতে পারফর্ম করেন। তিনি স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘স্বপ্ন হাইবারনেট করা যাক’ শীর্ষক গান। গানটি ২০০০ সালে রিলিজ হয়। গানটি তখনকার একটি খুবই জনপ্রিয় টিভি সিরিজের থিম সং। গানটিতে তিনি ও কন্ঠশিল্পী সুন নান দ্বৈত কন্ঠ দিয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই ইউ ও সুন নান’র কন্ঠে ‘স্বপ্ন হাইবারনেট করা যাক’ শীর্ষক গান। ১৯৯৮ সালে তিনি বেইজিংয়ে ফিরে এসে সংগীত নিয়ে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজের থিম সংয়ে কন্ঠ দিয়েছেন। এরপর তিনি অনেক ব্রান্ডের বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি বেইজিংয়ের একটি বিনোদন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি টিভি সিরিজে অভিনয় শুরু করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘একদিন চিরদিনে পরিণত হয়েছে’ শীর্ষক গান। গানটি ২০০২ সালে রিলিজ হয়। তিনি বিখ্যাত্ কন্ঠশিল্পী জিং গাং শান’র সঙ্গে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই ইউ ও জিং গাং শান’র কন্ঠে ‘একদিন চিরদিনে পরিণত হয়েছে’ শীর্ষক গান। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর গান চীনের বিভিন্ন সংগীত রেডিওতে সম্প্রচারিত হয়েছিল এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছিলে। ২০০০ সালের নভেম্বরে তিনি নিজের শ্রোতাসম্মেলন আয়োজন করেন। ২০০০ সালে তিনি সিসিটিভি’র জনকল্যাণমূলক বিজ্ঞাপনে অংশ নেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘আমাকে আবার ভালোবাসার সাহস নেই’ শীর্ষক গান। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই ইউ’র কন্ঠে ‘আমাকে আবার ভালোবাসার সাহস নেই’ শীর্ষক গান। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘পীচ ফুল ফোটে’ শীর্ষক গান। গানটিতে বলা হয়েছে: মেঘ দূরে গিয়ে আবার কাছে আসছে। পাখি কিছু বিশ্রাম নিয়ে আবার উড়ছে। আহা, আমার স্বপ্ন কোথায় গেছে! আকাশে পীচ ফুল উড়ছে। ফুল তার কাছে উড়ছে। ফুল পাহাড় ও নদী অতিক্রম করে আমার প্রেমিকার হৃদয়ে যাচ্ছে। কারণ, আমি তাকে হারিয়ে ফেলেছি। সে কথা আমি জানি না।
চলুন, আমরা গানটি শুনবো।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান।(ছাই/আলিম/ফেই)