২০২০ সালে চীনের বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ ৩.৩ শতাংশ বেড়েছে
2021-01-22 16:09:06

জানুয়ারি ২২: চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালে চীনের বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ ছিল ১৩২.৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বিদেশি অ-আর্থিক সরাসরি বিনিয়োগ ছিল ১১০.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গেল বছর চীনের বৈদেশিক বিনিয়োগ সহযোগিতা স্থিতিশীল ছিল এবং বৈদেশিক বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধিও অর্জিত হয়েছে। একই সময়ে, চীনের পরিষেবা আউটসোর্সিং শিল্প দ্রুত ও স্বাস্থ্যকরভাবে বিকশিত হয়েছে এবং অফশোর পরিষেবা আউটসোর্সিংয়ের মূল্যমান প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাও ফেং সম্প্রতি ‘২০২০ সালে চীনের বহিরাগত বিনিয়োগের উপাত্ত’ প্রকাশ করার সময় বলেন, গত এক বছরে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলির সাথে চীনের বিনিয়োগের সহযোগিতা অবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়েছে। তিনি বলেন,

“২০২০ সালে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ সহযোগিতার আওতায়  ৫৮টি দেশে চীনের অ-আর্থিক সরাসরি বিনিয়োগ ছিল ১৭.৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮.৩ শতাংশ বেশি। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলির সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন প্রকল্পচুক্তির মূল্য ছিল ১৪১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসময় ৯১.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের টার্নওভারও হয়েছে।”

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পদ তদারকি ও প্রশাসন কমিশনের তথ্য-উপাত্ত থেকেও প্রমাণিত হয় যে, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে কেন্দ্রীয় উদ্যোগে স্থাপিত বিভিন্ন দেশের  প্রকল্পগুলির কাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে, মহামারী নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রকল্পগুলির কাজ খানিকটা ধীরে হলেও সামনে এগিয়েছে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কোনোটিতেই কোনো প্রকল্প বন্ধ হয়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণালয়ের উপ-পরিচালক পাই মিংও মনে করেন যে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ মহামারীর সময়েও সমান তালে এগিয়েছে।

তিনি বলেন, “মহামারীর কারণে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে এবং পুরো বিশ্বের বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে।  অথচ চীনের বিনিয়োগ পরিস্থিতি ছিল স্থিতিশীল। বিশেষত, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি মনে করি, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ থেকে সকল পক্ষই লাভবান হয়েছে ও হচ্ছে।”

বিগত এক বছরে ইজারা ও ব্যবসায়িক পরিষেবা, পাইকারি ও খুচরা বিক্রি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পেশাদার প্রযুক্তিগত পরিষেবা, এবং বিদ্যুত উত্পাদন ও সরবরাহ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বৈদেশিক প্রকল্পের জন্য স্বাক্ষরিত বিভিন্ন প্রকল্পের ৮০ শতাংশ অবকাঠামো খাতসংশ্লিষ্ট।

২০২০ সালে চীনের পরিষেবা আউটসোর্সিংয়ের উপাত্তও একই দিনে প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালে চীনের পরিষেবা আউটসোর্সিং শিল্প দ্রুত ও স্বাস্থ্যকরভাবে বিকশিত হয় এবং ‘চীনা পরিষেবা’ ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়তে থাকে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাও ফেং বলেন,

“২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের পরিষেবা আউটসোর্সিংয়ের মূল্যমান ছিল ১৫৫.০৬ বিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলো কর্তৃক গৃহীত অফশোর আউটসোর্সিংয়ের মূল্যমান ছিল ১৩৬.০৬ বিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি।” (জিনিয়া/আলিম/শুয়েই)