আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে কণ্ঠশিল্পী ‘ছেন হুইলিন’ এর পরিচয় করিয়ে দেবো। আসলে তিনি ‘কেলি ছেন’ নামেই সমধিক খ্যাত।
কেলি ছেন ১৯৭২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হচ্ছেন হংকংয়ের সংগীত শিল্পী ও অভিনেত্রী। তিনি নিউইয়র্কের পার্সন স্কুল অফ ডিজাইন থেকে স্নাতক হন। গ্রাফিক ডিজাইন ছিল তাঁর লেখাপড়ার মূল বিষয়।
১৯৯৫ সালে কেলি তাঁর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত তাঁর অ্যালবামে ‘নোটবই’ গানটি তাঁর প্রধান গানগুলোর অন্যতম। তাহলে আজকের প্রথম গান, কেলি’র ‘নোটবই’ শোনাবো আপনাদের।
প্রিয় বন্ধুরা, কেমন লেগেছে গানটি? নিশ্চয় আপনাদের ভালো লাগার কথা। আসলে এই গানটি তাঁর ‘আমাকে ভালোবাসো কি না?’ নামের অ্যালবামের একটি গান। একই অ্যালবামের অন্য একটি গান ‘আর্কটিক তুষার’ ও খুবই জনপ্রিয়। তাহলে এখনই আমরা শোনবো ‘আর্কটিক তুষার’ গানটি।
বন্ধুরা, কেলি একজন কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। ২০০৮ সালে তিনি ‘সম্রাজ্ঞী ও যোদ্ধা’ চলচ্চিত্রে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন। একই সঙ্গে তিনি চলচ্চিত্রটির থিম সংও গেয়েছেন। গানের নাম ‘স্বপ্নের সঙ্গে উড়ে যায়’।
বন্ধুরা, ‘আশা’ হচ্ছে কেলি’র গাওয়া আরেকটি তুমুল জনপ্রিয় গান। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি নাটক ‘দ্য গ্রেট জাং-জিউম’র চীনা ভাষার সংস্করণের থিম সং। গানটির ক্যান্টোনিজ ও ম্যান্ডারিন দু’টো সংস্করণ আছে। দু’টো সংস্করণ ২০০৫ সালে প্রকাশিত তাঁর দু’টো অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। আজকে আমি আপনাদের শোনাবো কেলি’র ‘আশা’ গানের ক্যান্টোনিজ সংস্করণ।
প্রিয় বন্ধুরা, কেলি’র গাওয়া অনেক গানই ভালোবাসা সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে কিছু ইংরেজি গান। এখন আমরা এক সঙ্গে তাঁর একটি ইংরেজি গান শুনবো, কেমন? গানের নাম ‘লাভার্স কন্সার্টো’।
প্রিয় বন্ধুরা, ভালোবাসা তো কেলি’র গানের প্রধান বিষয়। তাঁর গাওয়া ইংরেজী গান আমার খুবই ভালো লাগে। সেজন্য কেলি’র আরেকটি ইংরেজী গান শোনাতে চাচ্ছি আপনাদের। গানের নাম ‘লাভ প্যারাডাইজ’ অর্থাৎ ‘ভালোবাসার স্বর্গ’।