জানুয়ারি ১৬: চার বছর আগে, তখনকার রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মানে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ওয়াশিংটনের ‘ময়লা’ পরিষ্কার করার কথা সদম্ভে ঘোষণা করেছিলেন। চার বছর পর ওয়াশিংটন পরিষ্কার হয়নি, বরং আরও বেশি নোংরা হয়েছে। বস্তুত, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মার্কিন রাজনীতির পতনের অনুঘটক হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনসিক্রেটস নামক প্রতিষ্ঠানের হিসেব অনুসারে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গোটা যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর লবিস্ট নিবন্ধিত হয়েছে ১০ সহস্রাধিক করে। তদবিরের রাজনীতিতে কয়েকটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর স্বার্থকেই অধিকাংশ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বার্থের ওপরে স্থান দেওয়া হয় সেখানে। সরকার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের স্বার্থ ও মতামতকে প্রায়শই সম্মান করে না।
ওপেনসিক্রেটস আরও বলছে, ২০২০ সালে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে সুপার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কমিশনের সংখ্যা ছিল ২২৭৬টি। আর কমিশনগুলোর অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৩.১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট প্রদপ্রার্থীরা বেশিরভাগ শক্তিশালী সংস্থা থেকে প্রচুর অর্থ ডোনেশান হিসেবে পেয়ে থাকেন। সেজন্য মার্কিন রাজনীতিবিদদের বিনিময়ে তাদের সেবা করতে হয়।
ওয়াল স্ট্রিট ফিনান্সিয়াল গ্রুপের সাথে বর্তমান মার্কিন সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুনুচিন গোল্ডম্যান শ্যাস ও সরোস ফান্ড ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। হোয়াইট হাউসের অর্থনীতি উপদেষ্টা গ্যারি কোহন গোল্ডম্যান শ্যাসের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বস্তুত, মার্কিন রাজনীতির সঙ্গে স্বার্থান্বেষীদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কেউ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থের রাজনীতির প্রকৃতি পরিবর্তন করতে পারবেন বলে মনে হয় না। (ছাই/আলিম/স্বর্ণা)