বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যকসিনের প্রস্তুতি চলছে
2021-01-15 15:12:30

আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে, ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সেরামের ভ্যাকসিন দেশে যাবে বলেও জানান তিনি। চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরকারিভাবে নির্ধারিত ইপিআই কোল্ড স্টোরেজে নেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস্ কোম্পানি। এরপর ২৭ তারিখের মধ্যে জেলা পর্যায়ে এ টিকা পৌঁছাবে। আর ফেব্রুয়ারির শুরুতে টিকা পাবে দেশের মানুষ।

 

ভারত থেকে বাংলাদেশের টিকা নেওয়া এবং দেশের সব পর্যায়ে টিকা দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য গত মঙ্গলবার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের অ্যাকাউন্টে ৫০০ কোটি ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মাধ্যমে করোনার টিকার জন্য অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। প্রথম চালানের টিকা বাংলাদেশে আসার পর সিরাম ইনস্টিটিউট ব্যাংক থেকে টাকা তুলে উত্তোলন করবে বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব কথা জানিয়েছেন। এসময় টিকা বিতরণ কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। বাংলাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে। তবে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া যাবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম মাসে একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রথমেই ৫০ লাখ টিকা আসবে বলে জানা গেছে। পরবর্তী দুই মাসে আরও টিকা যাবে দেশে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করেছে, তার উত্পাদন ও বিপণনের সঙ্গ যুক্ত রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এর আগে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বাংলাদেশে সিরাম ইনস্টিটিউটে উত্পাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ তারা।

 

এদিকে, বিশ্বের সবার জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিতকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গৃহীত উদ্যোগ ‘কোভ্যাক্স’। কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বে ২০০ কোটি ডোজ নিরাপদ ও কার্যকর টিকা সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী নতুন মোড় নিয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ বিশ্বে ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।