আমার কন্ঠে ২০২০ সালের চীন
2021-01-04 10:31:16

বন্ধুরা, সম্প্রতি আমরা ফেসবুকে চীনের দারিদ্র্যবিমোচন সম্পর্কিত একটি জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছি। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ করবো। মাসে পুরস্কার লাভকারীদের নাম ঘোষণা করবো। তারপর পুরস্কার পাঠাবো। আশা করি, আপনারা পুরস্কার লাভ করবেন।

বন্ধু, আজ ২ জানুয়ারী। গত বছর ২০২০ সালে মানবজাতির খুবই কঠিন সময় কেটেছে। কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা যৌথভাবে মহামারী প্রতিরোধের সহযোগিতা চালিয়েছে। ২০২০ সাল তাড়াতাড়ি শেষ হবে। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারী এখনো গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। চলতি বছরে চীনাদের ভয়, দুঃখ, ও উদ্বেগে সময় কেটেছে। চীনা মানুষ পারস্পরিক সহায়তা ও সহযোগিতার সুফল গভীরভাবে অনুভব করেন। বছরের শুরুর দিক ছিল  চীনা মানুষের সবচেয়ে কঠিন সময়। প্রতিবেশী জাপান তখন ব্যাপকভাবে  মহামারী প্রতিরোধকসামগ্রী পাঠায়। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বিশেষ বিমানে বেইজিংয়ে এসে চীনা জনগণের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি হলেন মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম চীন সফরকারী বিদেশী নেতা। পাকিস্তানের সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে ধারা পাস করা হয়েছে যে, চীনকে মহামারী প্রতিরোধে সমর্থন করা হবে। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গোটা পাকিস্তানের সমগ্র চিকিত্সাব্যবস্থা সচল করে চীনকে সহায়তা করার কথা বলেন। ইরানের 'তেহরান টাইমস’-এ প্রকাশিত সম্পাদকীয়ে বলা হয় যে, মহামারীর সম্মুখীন হয়ে আমরা সবাই চীনা মানুষ। চীনও বিভিন্ন দেশকে মহামারী প্রতিরোধে সহায়তা করেছে। ১০ ডিসেম্বর রাতে চীনের কোভিড-১৯ মহামারী টিকা মিশরের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। মিশর আফ্রিকার প্রথম দেশ যে কোভিড-১৯ মহামারী টিকা পেয়েছে। ২২ মার্চ চীনের মহামারী প্রতিরোধের সামগ্রী ইথিওপিয়ায় পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত চীন ১৫০টিরও বেশি দেশ ও ৯টি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে এবং ৩৪টি দেশে ৩৬টি চিকিত্সা কর্মী গ্রুপ পাঠিয়েছে।

৭.৮ কোটি মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়া এবং ১৭.৩ লাখ মানুষের এই মহামারীতে মৃত্যু! এক বছর আগেও  কে ভাবতে পেরেছিলো যে, করোনা ভাইরাস মানবজাতির জন্য ওপর এমন মারাত্মক আঘাত হানবে; যন্ত্রণার কারণ হবে? বস্তুত, বিগত এক বছরে মহামারীর কবল থেকে মানুষের জীবন বাঁচনো ছিল প্রায় প্রতিটি দেশের জন্য মূল্য চ্যালেঞ্জ।

বিশ্বে সবার আগে মহামারীতে আক্রান্ত হয় চীন। আবার চীনই সবার আগে মহামারীর বিস্তার রোধে সক্ষম হয়, একে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে সফল হয়। শুধু তা-ই নয়, মহামারীর ধকল কাটিয়ে চীন অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করেছে এবং দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যমাত্রাও যথাসময়ে অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে: চীন কেন এক্ষেত্রে সফল হয়েছে? মূল কারণ হলো, সারা দেশের মানুষের সংহতি। আর সারা দেশের মানুষের সংহতির কারণ হচ্ছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সবসময় জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্থানে রেখে আসছে এবং কঠিন সময়ে জনগণের ওপর নির্ভর করে আসছে। চলতি বছরেও ‘সবার আগে জনগণ’ই ছিল সিপিসি তথা চীনের সরকারের মূল শ্লোগান।

বছরের প্রথমদিকে মহামারীর আকস্মিক আঘাতের পর চীনা প্রেসিডেন্ট বার বার জোর দিয়ে বলেছেন, জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্যই কোটি মানুষের উহান শহরকে লকডাউন করা হয় এবং ৪২ হাজার চিকিত্সা-কর্মীকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উহানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে অন্যান্য অঞ্চলেও দ্রুত জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসবের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানুষের জীবন বাঁচানো।

চীনে পরিদর্শনে আসা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন পরামর্শক ব্রুস আলউয়ার্ড এসব দেখে খুব মুগ্ধ হয়ে বলেন, চীন যেন প্রতিজ্ঞা করেছে যে, যে-কোনো কিছুর বিনিময়ে মানুষের জীবন রক্ষা করতেই হবে। রাশিয়ার নেজাভিসিমায়া গাজেতায় বলা হয়, মহামারী মোকাবিলায় চীন সরকার অর্থের ওপরে মানুষের জীবনকে স্থান দিয়েছে।

মহামারী নিয়ন্ত্রণের পর ‘কর্মসংস্থান’ এবং ‘জীবনমান রক্ষা’ চীন সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে স্থান পায়। শুল্ক কমানো এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাতাব্যবস্থা চালু, ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার পর, চীনের জিডিপি তৃতীয় প্রান্তিকে আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

চীনের আরেকটি বিশেষ সাফল্য হলো, মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি, দেশে দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যও অর্জিত হয়েছে। ৮ বছরের প্রচেষ্টার পর চীনে বাকি প্রায় ১০ কোটি সম্পূর্ণ দরিদ্র মানুষের সবাই দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন।

বস্তুত, ‘চীনা জনগণের সুন্দর জীবনের প্রত্যাশা হলো আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার চালিকাশক্তি’—এই কথা বিশ্বাস করে তা বাস্তবে প্রয়োগও করে যাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি।

 

এখন আমি আপনাদেরকে সিএমজির নির্বাচিত ২০২০ সালে চীন ও বিশ্বের শীর্ষ দশ খবর বলে শোনাবো। প্রথমে শুনবেন চীনের শীর্ষ দশ খবর।

১. কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে চীনের সাফল্য লাভ।

২.চীনা কমিউনিস্ট পার্টি’র ১৯তম কেন্দ্রীয় কমিটির পঞ্চম পূর্ণাঙ্গ সম্মেলনে ১৪তম পাঁচসালা পরিকল্পনা গ্রহণ ও 'ব্লুপ্রিন্ট ২০৩৫' প্রণয়ন।

৩. নতুন যুগে চীনের দারিদ্র্যবিমোচনের কাজ সময়মত সম্পন্ন হয়েছে।

৪. চীন বিশ্বের একমাত্র দেশ যে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

৫.শেনচেন অর্থনৈতিক বিশেষ এলাকা প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী এবং ফুতং এলাকা উন্মুক্তকরণের ৩০তম বার্ষিকী পালন। চীন আরো উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ বাস্তবায়ন করবে বলে সিদ্ধান্তগ্রহণ।

৬. চীনের প্রথম সিভিল  আইন প্রকাশিত।

৭.চীনের ২৮টি প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা।

৮.চীন ও চীনা গণমুক্তি ফৌজের মার্কিন হামলা প্রতিরোধ ও কোরিয়াকে সাহায্যদানের যুদ্ধ জয় উদযাপন।

৯.বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে চীনের সাফল্য অর্জন।

১০. চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্ট্যাডিং কমিটিতে হংকং জাতীয় নিরাপত্তা আইন গৃহীত।

বিশ্বের শীর্ষ দশ খবর:

১. কোভিড-১৯ মহামারি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। একে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

২. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বহুপক্ষবাদ বজায় রাখা ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক সমাজ।

৩. বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যখন নেতিবাচক, তখন চীন একমাত্র প্রধান অর্থনীতি যার প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক।

৪. এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি দেশ আরসিইপি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আঞ্চলিক অবাধ বাণিজ্যিক সহযোগিতা বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করবে।

৫. যুক্তরাষ্ট্র ইরানের প্রতি চরম চাপ প্রয়োগ নীতি অনুসরণ করে। ফলে মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

৬. ‘প্যারিস চুক্তি’ স্বাক্ষরের পঞ্চম বার্ষিকী পালিত হয় এ বছর। চীন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখে বৃহত্তর দেশের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

৭. আফ্রিকায় অবাধ অঞ্চল চালু হবে, আফ্রিকার একীকরণ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

৮. জাতিগত বিরোধ, দলীয় কোন্দল, ও ধনী-দরিদ্র বৈষম্য যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ব্যবস্থার ভাঙ্গন তীব্রতর করছে।

৯. আরও বেশি দেশ চন্দ্র এবং মঙ্গল অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে। ফলে মানবজাতি মহাকাশ অনুসন্ধানের নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে।

১০. নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চলে সংঘর্ষ ও শান্তি চুক্তি সই ও বাস্তবায়ন। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধের অবসান।

.........

চীনের ষষ্ঠ শিল্প পুরস্কার লাভকারীদের নামতালিকা রোববার প্রকাশিত হয়েছে। ১৬টি প্রতিষ্ঠান ও ১৪টি পরিকল্পনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। পুরস্কারটি চীনের শিল্প ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার বলে পরিচিত।

এবারের পুরস্কার লাভকারীদের নামতালিকা থেকে বুঝা যায়, 'ফ্রন্টিয়ার' 'উচ্চমানের যুগান্তকারী' হলো তাদের অভিন্ন বৈশিষ্ট্য। যেমন, থাইইউয়ান ইস্পাত গোষ্ঠী স্টেইনলেস স্টিল যথার্থ স্ট্রিপ কোম্পানি ১০ বছরেরও বেশি সময়ের মাধ্যমে ৭ শতাধিক বারেরও বেশি সময় ব্যর্থ হওয়ার পর এ ধরণের যথার্থতা ও শীর্ষ পর্যায়ের মৌলিক উপাদানের উত্পাদনের সমস্যা সমাধান করেছে। এটি হলো চীনের ইস্পাত শিল্পের যুগান্তকারী অগ্রগতি।

চিয়াংসু প্রদেশের থিয়াননেং ব্যাটারি কোম্পানির উত্পাদিত সীসা কার্বন ব্যাটারি ঐতিহ্যগত ব্যাটারির শর্ট ক্রুজ রেঞ্জের প্রযুক্তিগত বাধা দূর করেছে। এর ফলে  এ ধরণের পণ্যের জন্য চীনের বিদেশ-নির্ভরতা শেষ হয়েছে। এ ধরণের ব্যাটারি হাইব্রিড গাড়ীতে ব্যবহৃত হলে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ গ্যাস নির্গমন হ্রাস হবে। আইফ্লাইটেক (IFLYTEK) কোম্পানির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মের কন্ঠ সনান্তকরণ, বক্তৃতা স্বীকৃতি, গ্রাফিক স্বীকৃতি প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে।

চীনের শিল্প অর্থনীতি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লি ই বলেন, পুরস্কার লাভকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক শীর্ষ পর্যায়ের প্রযুক্তি উন্নয়ন করে ডিজিটালাইজ, নেটওয়ার্ককৃত ও বুদ্ধিমান শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছে

চলতি বছর হঠাত্ কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। এটি শিল্প চেইনের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। কিন্তু চীনের শিল্প ও সরবরাহ চেইনের নিরাপত্তা সুরক্ষা করা সম্ভব  হয়েছে।

আইহুই প্রদেশের হুয়ামাও টেক্সটাইল কোম্পানির নিজের গবেষণা ও নির্মাণে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তির কারখানা চীনের নিজের উত্পাদিত টেক্সটাইল পণ্যের মান অনেক উন্নত হয়েছে।

 

চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) ২০২০ সালে চীন ও বিশ্বের বিজ্ঞানের জগতের শীর্ষ ১০টি করে খবর নির্বাচন করেছে।

চীনের শীর্ষ ১০টি খবর হচ্ছেঃ

১. বেইতৌ জিপিএস ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ।

২. চীনের প্রথম মঙ্গল সনাক্তকারী যান ‘থিয়ানওয়েন-১’ এর  সফল উত্ক্ষেপণ।

৩. চীনের বিজ্ঞান একাডেমির প্রাচীন মেরুদণ্ড প্রাণী ও প্রাচীন মানবজাতি গবেষণা দল ডিএনএ প্রযুক্তি দিয়ে চীনা প্রাগৈতিহাসিক লোকদের স্থানান্তর গতিশীলতা ও জাতিগত উত্স গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য লাভ করে।

৪. ‘ছাং এ্য-৫’ অনুসন্ধান যান সফলভাবে চন্দ্রের নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে পৃথীবিতে ফিরে এসেছে।

৫. চীনের ‘ফেনতৌচে’ সমুদ্রের ১০,৯০৯ মিটার গভীরে সাফল্যের সঙ্গে নিমজ্জিত হতে সক্ষম হয়েছে।

৬. চীনের বিজ্ঞান গবেষণা দল সফলভাবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রোটোটাইপ ‘জিউচাং’ তৈরি করেছেন।

৭. চীনা বিজ্ঞান একাডেমির প্রাণিবিদ্যা ইনস্টিটিউট এক ধরণের পঙ্গপালের জুড়া ফেরোমন রেণু আবিষ্কার করেছে। এটি পঙ্গপালের ঝাঁকুনির কারণ প্রকাশিত হয়।

৮. চীনের ‘হুয়ালং-১’ বিশ্বের প্রথম ফুছিং নামের পারমাণবিক শক্তি ইউনিট-৫ ব্যবহার করে সফলভাবে গ্রিডযুক্ত বিদ্যুৎ উত্পাদন করেছে।

৯. চীনের গ্যালাক্সি ছিলিন অপারেটিং সিস্টেম ভি১০’র গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য লাভ করেছে।

১০. চীন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্ভুলভাবে মাউন্ট এভারেস্টের নতুন উচ্চতা ৮৮৪৮.৮৬ মিটার নতুন করে নির্ধারণ করেছে।

 

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি খবর হচ্ছেঃ

১. বহু দেশের বিজ্ঞান গবেষণা দল জরুরীভাবে কোভিড-১৯ মহামারী টিকা গবেষণা ও তৈরী করে।

২.চীন ও বিদেশী বিজ্ঞান গবেষণা দল প্রথম বারের মতো প্রমাণ করেছে যে, পালসারগুলি দ্রুত রেডিও স্টোর্মের অন্যতম উত্স।

৩. মার্কিন বিজ্ঞান গবেষণা দল প্রথম বারের মতো ঘরের মধ্যে অতিরিক্ত তাপপরিবহন উপলব্ধি করেছে।

৪. চীনের ‘ছাং এ্য-৫’ অনুসন্ধান যান সফলভাবে চন্দ্র থেকে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে পৃথীবিতে ফিরে এসেছে।

৫. ২০২০ সাল বিশ্ব জলবায়ু গবেষণা ও পরিকল্পনা বিভাগ ২.৬ থেকে ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে জলবায়ু সংবেদনশীল অঞ্চল নির্ধারণ করে।

৬. সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘আল-আমাল’, চীনের ‘থিয়ানওয়েন-১’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘পার্সেভেরান্স’ নামের মঙ্গলযান পৃথকভাবে উত্ক্ষেপিত হয়েছে।

৭. মার্কিন মহাকাশ অনুসন্ধান প্রযুক্তি কোম্পানি প্রথম বারের মতো বাণিজ্যিক মনুষ্যবাহী মহাকাশ ফ্লাইট উড্ডয়ন করেছে।

৮. চীনের বিজ্ঞান গবেষণা দল জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি দিয়ে প্রথম বারের মতো বংশগত রক্তের রোগগুলি সফলভাবে নিরাময় করেছে।

৯. জাপানের ‘হায়াবুসা-২’ গ্রহাণু যান সফলভাবে অবতরণ করে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথীবিতে ফিরে আসছে।

১০. চীনের বিজ্ঞান গবেষণা দল সফলভাবে বিশ্বের প্রথম মানব সেল অ্যাটলাস তৈরী করেছে।

প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের এ অনুষ্ঠান আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান।

আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি, ই-মেইল অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে।  আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com..cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। ‘মুক্তার কথা’ অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।

আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (মুক্তা/আলিম/রুবী)