এ পর্বে অন্তরঙ্গ আলাপনে থাকছেন: ড. আতিউর রহমান
অন্তরঙ্গ আলাপন
রাখাল বালক থেকে সাফল্যের শীর্ষে...
ছবি: ড. আতিউর রহমান
আক্ষরিক অর্থেই ছিলেন রাখাল বালক! ঘরে ছিলো না খাবার, পরনে ছিল না কাপড়; পড়বার বই ছিল না! পালন করা গরুর দুধ বিক্রি করে জুটতো দুমুঠো খাবার। বন্ধুর বই ধার করে পড়ালেখা। স্কুলের বেতন জুগিয়েছেন মানুষের কাছে চেয়েচিন্তে!
হতদরিদ্র পরিবারের সেই অসহায় বালকটি কালক্রমে দেশের নাম করা অর্থনীতিবিদ, লেখক, রবীন্দ্রগবেষক। তিনি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিউর বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক, সেন্টার ফর এডভান্সড রিসার্চ অন আর্টস এন্ড স্যোশাল সায়েন্সের নির্বাহী কমিটির সভাপতি। দীর্ঘ দিন তিনি কাজ করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-বিআইডিএস-এ।
দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শ্রদ্ধেয় নাম- ড. আতিউর রহমান রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদে নির্বাহী সভাপতি ও ছায়ানটের সহসভাপতি। ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রেরে অন্যতম ট্রাস্টি।
অর্থনীতি তার লেখালেখির প্রধান বিষয় হলেও ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে তার গভীর আগ্রহ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ভাবনা তার গবেষণায় বরাবরই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। এ সব বিষয়ে তার ৬৫টির মতো বই রয়েছে।
অর্থনীতি, সাহিত্য ও রবীন্দ্র গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি শেলটেক পুরস্কার, চ্যানের আই আজীবন সম্মাননা, কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণস্মারক, ফিলিপাইনের গুসি শান্তি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশবিদেশে নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেস্ট সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর, সবুজ গভর্নর ও গরীবের অর্থনীতিবিদের অভিধাও রয়েছে তার ঝুলিতে।
সবশেষ রবীন্দ্র গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি এ বছর বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে শোনালেন তার রূপকথাতুল্য প্রেরণাদায়ী জীবনের গল্প।
প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের সমৃদ্ধ করবে। চীন আন্তর্জাতিক বেতার-সিআরই বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla আপনার মন্তব্য করতে পারেন। সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া