আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি এনাম এবং আকাশ।
আকাশ: বন্ধুরা, ২০২১ সাল প্রায় চলে গেছে। আমরা এখন ২০২২ সালকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছি। আজকের অনুষ্ঠান হচ্ছে চলতি বছরের ‘রোববারের আলাপনের’সর্বশেষ পর্ব। তাই আজ আমরা আপনাদের সবার সুখী জীবন কামনা করছি এবং সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
এনাম: হ্যাঁ। বন্ধুরা, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি দেখা দিয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আশা করি, আপনারা মহামারী প্রতিরোধ নীতিমালা মেনে চলবেন। নিজে সুস্থ থাকবেন এবং পরিবারকেও সুস্থ রাখবেন।
সংগীত...
আচ্ছা, আকাশ ভাই আমরা এখন বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে ফিরে আসি, কেমন?
আকাশ: জ্বী। আমরা এখন বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে একটি সাক্ষাতকার আমাদের শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
বন্ধুরা, চীনের শীতকালীন গেমসের সাবেক এক বিখ্যাত খেলোয়াড় লি নি না সম্প্রতি সিএমজিকে একটি বিশেষ সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি গ্রিসে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের জন্য অলিম্পিক প্রদীপ সংগ্রহ ও স্থানান্তর কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “গ্রিসে গিয়ে অলিম্পিক প্রদীপকে নিজ হাতে ধারন করে মাতৃভূমিতে নিয়ে আসার সুযোগ একেবারেই বিরল অভিজ্ঞতা। তা আমার জন্য একটি মর্যাদা এবং গর্ব। খেলোয়াড় হিসেবে, খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট লোক হিসেবে, আমার সারা জীবন এটি মনে থাকবে।”
২০০২ সালের যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে লি নি না প্রথম অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তার অলিম্পিক যাত্রা শুরু করেন। সেই অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “অলিম্পিক গেমসের সময় সবাই অলিম্পিক গ্রামে বসবাস করেন। বিভিন্ন দেশের লোককে সেখানে দেখা যায়। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানা যায়। খেলার সময় শ্রোতাদের হর্ষধ্বনি ও হাততালি পাওয়া যায়। আমি মনে করি, এসব হচ্ছে সবার জন্য অলিম্পিক চেতনা।
বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, অলিম্পিকের মতো বড় গেমসের মাধ্যমে বিশ্ববাসী চীনকে দেখতে পারবেন, এবং চীনের বরফ ও তুষার খেলাধুলার উন্নয়নকে দেখতে পারবেন। এটি চীনের বরফ ও তুষার খেলাধুলার উন্নয়নকে প্রমোট করবে। পাশাপাশি, আমরা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, চীনে ৩০ কোটি মানুষ বরফ ও তুষার খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবে।”
সাক্ষাতকারে তিনি বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজন নিয়ে তার নিজের প্রতাশা ব্যক্ত করে বলেন, “ আশা করি, আমরা একটি অতুলনীয় শীতকালীন অলিম্পিক আসরের আয়োজন করব। তাতে বিশ্ববাসী একটি জমকালো শীতকালীন খেলাধুলার মহাসম্মেলন দেখতে পাবে।”
আকাশ: ভাই, আপনি কী বলেন?
এনাম: ....
আকাশ: বন্ধুরা, অনুষ্ঠান শেষে আপনাদেরকে চীনের শরীরচর্চা-সংক্রান্ত একটি চলচ্চিত্রের গান শোনাবো। গানটির নাম হচ্ছে: ‘জাম্প’।
আশা করি, নতুন বছরে আপনারা আপনাদের পরিবার নিয়ে সুস্থ, আনন্দিত এবং খুশি থাকবেন।
এনাম: বন্ধুরা, গানের কথাগুলো এ রকম:
হ্যান্ডস্ট্যান্ড করে বিশ্বকে দেখি, যাতে চোখের পানি না ঝরে
পৃথিবী আকাশ হয়ে যায়,
পৃথিবী উল্টো হয়ে যায়,
কিন্তু আসলে বিশ্ব পরিবর্তন হয়নি।
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি
দিগন্ত বরাবর
সর্বাত্বক প্রচেষ্টায় সামনে এগিয়ে যাও
এই পৃথিবীতে কোন জিনিস থাকতে পারে?
প্রচেষ্টার ঘাম এবং পরিশ্রম
এখন কি এটার কোনো পরিবর্তন আছে?
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি,
দিগন্ত বরাবর
সর্বাত্বক প্রচেষ্টায় অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে যাও
জাম্প
সুন্দর ঘূর্ণায়মান বিশ্ব
জোর দিয়ে জাম্প
যা-ই ঘটুক না কেন
জাম্প
উষ্ণ রক্ত ব্যবহার করে নীল আকাশে উড়তে
জাম্প
তারপর আমরা পৃথিবীকে আকাশে পরিবর্তন করতে পারবো।