ডিসেম্বর ২৫: যুক্তরাষ্ট্রের সিনচিয়াং-বিষয়ক বিলের জবাবে আজ (শনিবার) সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাতে সিনচিয়াংয়ে কোন ধরনের জবরদস্তি শ্রম নেই বলে আবারো সাফ জানানো হয়।
সম্মেলনে সিনচিয়াংয়ের তুলা সংগ্রহ শিল্পের জনৈক কর্মচারী জানান, ১৩.৩৪ হেক্টর জমির তুলা যন্ত্রের মাধ্যমে একদিনে সংগ্রহ করা যায়। তাতে আয় হয় প্রায় তিন লাখ ইউয়ান। সিনচিয়াং নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক জানান, তাঁর ৩৯ জন ছাত্রছাত্রী এ বছর স্নাতক হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪জন তাদের জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, বাকি পাঁচজন সিভিল সার্বেন্ট হয়েছেন।
বাস্তবতা প্রমাণ করে, কথিত “সিনচিয়াংয়ে জবরদস্তি শ্রমের” অভিযোগ একেবারে মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না। যুক্তরাষ্ট্র সিনচিয়াংয়ের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট এবং চীনের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব করছে।
সিনচিয়াংয়ে কর্মসংস্থানের অবস্থা ও পরিবেশ কেমন, তা আসলে স্থানীয় জনগণ ভালো বলতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র বলতে পারে না। ২০১৮ সালের শেষ দিক থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের ২১০০ জনেরও বেশি লোক সিনচিয়াং সফর করেছেন। তাঁরা সিনচিয়াংয়ের প্রকৃত অবস্থা স্বচক্ষে দেখেছেন। সিনচিয়াংয়ের কর্মসংস্থানের সংশ্লিষ্ট নীতি ও ফলাফলের প্রসংশা করেছেন তাঁরা। আর এটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মতৈক্য। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কথিত বিল পরিবর্তন করতে পারবে না।
(আকাশ/এনাম/রুবি)