আজকের ‘ঊর্মির বৈঠকখানা’-য় আমার সাথে যোগ দিচ্ছেন ডঃ এম আব্দুল্লাহ আল বাকী। বর্তমানে তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি চায়নিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস-দি ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেস (CAS-TWAS) এবং নানচিং মিউনিসিপাল গভর্নমেন্ট-এর বৃত্তি নিয়ে ইউনিভার্সিটি অফ চায়নিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর ইন্সটিটিউট অফ সয়েল সায়েন্স, নানচিং, চীন থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে ২০১৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর পিএইচডি গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘অম্ল মাটিতে ফসলের সহিষ্ণুতা’ নির্ণয়।
আপনারা নিশ্চয় অবহিত যে, কৃষকরা তাদের ফসল ফলানোর জন্য বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন, যা মাটির অম্লতাকে ত্বরান্বিত করে। তা ছাড়া, বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ মাটির দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মাটিতে মূলত অম্লতা বেশি। এই অম্ল মাটিতে গাছের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান ফসফরাস প্রয়োগ করলে সাধারনত মাটিতে তা নিবন্ধিত হয় যা মাটি ও গাছের উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে তিনি এই অঞ্চলে ফসফরাস সারের ব্যবহার কমিয়ে কিভাবে গাছের জন্য টেকসই পদ্ধতিতে বেশি সহজলভ্য করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
ডঃ বাকীর গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তো, চলুন কথা বলি তাঁর সঙ্গে।