চৌ ছুয়ান সিয়োং
2021-12-23 16:13:53

চৌ ছুয়ান সিয়োং ১৯৬৯ সালের ৭ জুন তাইওয়ানের থাইচৌং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মূল-ভূভাগের হুপেই প্রদেশের চিংচৌ শহরের কং আন জেলা তাঁর পূর্বপুরুষের জন্মস্থান। তিনি তাইওয়ানের একজন জনপ্রিয় পপ সংগীত শিল্পী ও সুরকার। বাবা মা’র বিবাহবিচ্ছেদের কারণে যখন তাঁর বয়স ১৬ বছর হয়, তখন থেকে তিনি নিজেই কাজ করে শিক্ষা ও অন্যান্য ফি অর্জন করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন মহলে কাজ করেছেন। তিনি ডেকোরেটর, পোর্টার ও সাঁতারের প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি ‘তাইওয়ানের ক্যাম্পাসে গানের প্রতিযোগিতায়’ অংশ নেন। এরপর তাকে একটি সংগীতদলের সদস্য হিসেবে বাছাই করা হয়। কিন্তু তিনি এ সুযোগ ছেড়ে দেন।

 

চৌ ছুয়ান সিয়োংয়ের আরও কিছু ঘটনা আমি পরে আপনাদের জানাব। তবে আজকে ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদের তাঁর একটি গান শোনাব। গানের নাম ‘হাসায়েকে’। 

 

‘হাসায়েকে’ চৌ ছুয়ানসিয়োং লিরিক্স, সংগীত ও গাওয়া একটি গান। গানটি তাঁর ১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘সিয়াও কাংয়ের রঙিন দুনিয়া’ অ্যালবামে রয়েছে। গানটি সাফল্য অর্জন করে। তিনি গানটির নাম নিজের কোম্পানির নামে দেন। বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি আপনাদের চৌ ছুয়ান সিয়োংয়ের অন্য একটি গান শোনাবো, গানের নাম ‘জিপসি প্রেমিক’ । 

 

‘নীল তুরস্ক’ গানটির সংগীত চৌ ছুয়ানসিয়োংয়ের নিজের রচনা। গানটি তাঁর ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত একই নামের অ্যালবামে রয়েছে। গানটি রচনার প্রেরণা তুরস্কের রহস্যময় ও সুন্দর গভীর চোখ থেকে এসেছে। তুর্কি স্টাইলের গানটি সৃষ্টি করার কারণ হলো- এই অ্যালবামটি তৈরি করার সময় তিনি ওই দেশে ছিলেন। যখন তাঁর চোখ নীল ও সাদা রঙে ভরে ওঠে তখন গানটির সুর প্রাকৃতিকভাবে আসে। 

 

চৌ ছুয়ানসিয়োং ও ছেন সিনরোং ‘নোটপ্যাড’ গানটি লেখেন। গানটি তাঁর ‘ট্র্যান্সফার’ অ্যালবামে আছে। এটি একটি পপ গান। গানটি চৌ ছুয়ানসিয়োংয়ের সৃজনশীল দক্ষতা প্রদর্শন করে। আসলে হংকংয়ের গায়িকা কেলি ছেনের জন্য তিনি গানটি তৈরি করেছিলেন। 

 

চৌ ছুয়ানসিয়োংয়ের ‘ট্র্যান্সফার’ অ্যালবামে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ নামে আরেকটি গান রয়েছে। গানটি চীনের মূল-ভূভাগের গায়িকা না ইংয়ের গাওয়া খুবই জনপ্রিয় ছিল। না ইং ও চৌ ছুয়ানসিয়োংয়ের নিজেদের অ্যালবামে গানটি রয়েছে। 

 

বন্ধুরা, চৌ ছুয়ানসিয়োংয়ের ‘ট্র্যান্সফার’ আসলে একটি পরিবর্তন প্রক্রিয়ার অ্যালবাম। তাঁর মানসিকতার পরিবর্তন, মর্যাদার পরিবর্তন, সংগীতের পরিবর্তন এমনকি তাঁর শারীরিক পরিবর্তনও এতে উঠে এসেছে।


(প্রেমা/তৌহিদ)