ডিসেম্বর ৩০: গত ২২ সেপ্টেম্বর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘প্যারিস চুক্তি’-এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের অবদান জোরদার করার ঘোষণা দেন।
তিনি ২০৩০ সালের আগে চীনের কার্বন নিঃসরণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং ২০৬০ সালের আগে চীনকে বেকটি কার্বন নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে রুপান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন। এটি ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিকুল পরিস্থিতির শিকার মানুষদের জন্য ২০২০ সালের সবচেয়ে উষ্ণ খবর।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন প্রথম বারের মতো কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নের সময়-সীমার ঘোষণা দিলো। এটি বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার গুতরুপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আমরা জানি, চীনের অর্থনীতি এখনও তার প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চীনা অর্থনীতি কার্বন নির্গমন থেকে এখনও সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয় নি। তাই চীনা প্রেসিডেন্টের এমন প্রতিশ্রুতি জলবায়ু মোকাবিলায় চীনের সংকল্প প্রকাশিত হয়েছে।
গত পাঁচ বছরে চীনের পরিবেশের মান এবং পরিবেশ সুরক্ষা সেবা বিকাশের সর্বাধিক উন্নতি হয়েছে। প্যারিস চুক্তি সইকারী ও রক্ষাকারী হিসেবে চীন নিজের সবুজ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা ছাড়াও বিশ্বে নিম্ন কার্বন ও পরিস্কার কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছে। এ পর্যন্ত চীন বিশ্বের এক শতাধিকেরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে জ্বালানি সম্পদ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উত্পাদন শক্তি, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির সহযোগিতা চালিয়ে আসছে।
জাতিসংঘ, জি-টুয়েন্টি, এপেক ও ব্রিক্সসহ বিভিন্ন বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার আওতায় জ্বালানি সম্পদের সহযোগিতায় অংশ নিয়েছে চীন। (ছাই/এনাম/ওয়াং হাইমান)