বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে নারী কন্ঠশিল্পী আই জিংয়ের পরিচয় দেবো এবং তাঁর গান শোনাবো। তিনি ১৯৬৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে লিয়াওনিং প্রদেশের শেনইয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন লোকসংগীত শিল্পী, অভিনেত্রী। ১৯৯২ সালে তিনি নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘সেদিন’ শীর্ষক গান। গানটিতে বলা হয়েছে: সেদিন, তোমার একটি লম্বা চিঠি পেয়েছি। চিঠির কথা কতো নীরস! সেদিন আমি কলম নিয়েছি হাতে, কিন্তু কিভাবে তোমার চিঠির উত্তর লিখবো জানি না। সেদিন আমি আগের পত্রিকা পড়েছি। কতো লম্বা দ্বিধার বয়স! সেদিন আমি একটি কথা লিখেছি, যা এখন আমি বুঝি না কেন এ কথা লিখেছি। আমরা নিজেকেও বুঝি না।
চলুন, আমরা গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই জিংয়ের কন্ঠে ‘সেদিন’ শীর্ষক গান। ১৯৯৪ সালে তিনি নিজের দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি বেইজিংয়ে একক কনসার্ট আয়োজন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অ্যালবাম রেকর্ডিংয়ের কাজ করেন। ২০০০ সালে তিনি ছবি আঁকা শিক্ষা শুরু করেন। ২০০২ সালে তিনি নিজের স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সালে তিনি নিজের পঞ্চম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘স্বপ্ন কিনা?’ শীর্ষক গান। গানটি ২০০৩ সালে রিলিজ হয়। গানটিতে বলা হয়েছে: সুপরিচিত ঋতু ও সুপরিচিত সংগীত। সংগীতটি শুনে হঠাত্ চোখ অশ্রুসজল হয়। সুপরিচিত শহর ও সুপরিচিত সড়ক, হঠাত্ নিজের পথ হারিয়ে গেছে। এটি স্বপ্ন কিনা? আমি জানি না।
আচ্ছা, আমরা গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই জিংয়ের কন্ঠে ‘স্বপ্ন কিনা?’ শীর্ষক গান। ২০০৪ সালে তিনি নিজের প্রথম বই ‘আই ভ্রমণের পথ’ প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পী হিসেবে শিল্পপ্রদর্শনীতে অংশ নেন। ২০০৮ সালে তিনি বেইজিংয়ে নিজের প্রথম শিল্পপ্রদর্শনী আয়োজন করেন। ২০০৯ সালে তিনি নিউইয়র্কে নিজের প্রথম শিল্পপ্রদর্শনী আয়োজন করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘আমার ১৯৯৭’ শীর্ষক গান। গানটি ১৯৯২ সালে রিলিজ হয়। চীনের হংকং ১৯৯৭ সালে মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছে। এর আগে হংকংয়ের বাসিন্দাদের মামৃভূমিতে ফিরে যাওয়া অনেক কঠিন ছিল। হংকং ও মামৃভূমি’র আত্মীয়স্বজনরা পুনর্মিলিত হতে চান। আই জিং এ অনুভুতি দিয়ে গানটি লিখেছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই জিংয়ের কন্ঠে ‘আমার ১৯৯৭’ শীর্ষক গান। ২০১২ সালে তিনি চীনের জাতীয় যাদুঘরে আই জিং বহুমুখী শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। ২০১৩ সালে তিনি ভাস্কর্য শিক্ষা শুরু করেন। ২০১৭ সালে তিনি মার্কিন হিরশোর জাদুঘরএর বিশ্বের ৩২ জন শীর্ষ মহিলা শিল্পীর একজন হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘স্যিনথিয়ানইয়ৌ’ শীর্ষক গান। স্যিনথিয়ানইয়ৌ হলো চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চমে এক ধরণের লোকসংগীতের নাম। গানটি প্রথমে গেয়েছেন চীনের বিখ্যাত্ নারী কন্ঠশিল্পী ছেং লিন। আই জিং পুনরায় গানটি গেয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা আই জিংয়ের কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই জিংয়ের কন্ঠে ‘স্যিনথিয়ানইয়ৌ’ শীর্ষক গান। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘নানির মতো নারী’ শীর্ষক গান। গানটি ২০১৮ সালে রিলিজ হয়। আই জিং নিজে গানটির কথা লিখেছেন। গানটিতে তাঁর নানির ভালবাসার কথা লেখা হয়েছে। গানটিতে বলা হয়েছে: নারী, নারীর এ জীবন। নারী কার জন্য বেঁচে থাকে? নারী, নারীর এ জীবন। নারী তার স্বামীর জন্য বেঁচে থাকে, তার সন্তানের জন্য বেঁচে থাকে। নারী বয়স্ক হলে আর সুন্দর থাকে না। নারী, নারীর এ জীবন, কার জন্য বেঁচে থাকে? গানটিতে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় লোকসংগীতের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন আই জিংয়ের কন্ঠে কন্ঠে ‘নানির মতো নারী’ শীর্ষক গান। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে আরেকটি গান। গানটি ২০১৮ সালে রিলিজ হয়। গানটিতে বলা হয়েছে: আকাশে একটি পাখি উড়ছে। সে নিজের বাসায় ফিরে যাওয়ার পথ হারিয়েছে। কেউ তার কন্ঠে গান শুনেছে। কেউ তাকে বুঝেছে। আকাশে একটি পাখি উড়ছে, কিন্তু থাকার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান।(ছাই/আলিম/রুবী)