রোববারের আলাপন’: মহামারির প্রেক্ষাপটে চীন হলো নির্ভরতার প্রতীক
2020-12-25 17:39:09

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, আশা করি আপনারা ভালো আছেন। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন  ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু আকাশ এবং...।

বন্ধুরা, আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান এন্ড্র পারসন সম্প্রতি সিনহুয়া বার্তা সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, টোকিও প্যারালিম্পিক গেমসের আয়োজনে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে, সব অনিশ্চয়তাকেই ইতিবাচকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। পাশাপাশি ২০২২ সালের বেইজিং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমসের প্রস্তুতির ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন তিনি। 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, মহামারি ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে চীন হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র নির্ভরতার প্রতীক। 

বন্ধুরা, এক বছর পর, টোকিও প্যারালিম্পিক গেমসের উদ্ভোধন হবে। একে সামনে রেখে কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা টোকিও অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটির সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রেখে আসছি, এবং কিছু মৌলিক নীতির প্রতি আমরা মতৈক্যে পৌঁছেছি।” 

তিনি বলেন, “এর মধ্যে একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে, কেবল প্রতিযোগিতার পরিবেশে ও প্রতিযোগিদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই প্রতিযোগিতা চলতে পারে”।

তিনি জানান, কিছু প্যারালিম্পিক গেমসের খেলোয়াড়গণ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে প্রতিযোগিতার প্রতিরোধক মান হচ্ছে, সবার আক্রান্ত না হওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামনে বিভিন্ন ধরনের অনিশ্চিয়তা রয়েছে। এসব মোকাবিলার একমাত্র উপায় হচ্ছে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করা। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী টোকিও প্যারালিম্পিক গেমস ২০২১ সাল ২৪ অগাস্ট শুরু হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তার ৬ মাস পর, ২০২২ সালের ৪ মার্চ বেইজিং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমস শুরু হবে। 

তিনি বলেন, দুটো প্যারালিম্পিক গেমস এতো স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আয়োজন করা হবে একটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। তবে, দুটি আসরই প্যারালিম্পিক খেলা-ধুলা উৎসাহিত করার জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা বয়ে আনবে। 

তিনি বলেন, “আমাদের খুব সুভাগ্য যে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটির সাথে সহযোগিতা করতে পারছি। তার আগে ২০০৮ সালে বেইজিয়ে একটি অসাধারণ গ্রীষ্মলীন প্যারালিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। 
কমিটির চেয়ারম্যান জানান, “মহামারির মুখে আমাদের একটি নির্ভরশীল অংশীদার প্রয়োজন। চীন হচ্ছে এ ধরনের একটি অংশীদার। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির সাথে আমাদের সম্পর্ক উভয় পক্ষের আত্ববিশ্বাস বাড়াবে। আমাদের সহযোগিতাও ফলপ্রসূ হবে। তাই আমরা বিশ্বাস করি, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রক্রিয়ায় আমরা সুযোগও খুঁজে পাব এবং কাজে লাগাতে পারব”। 

চীনের শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, “ চীনের শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি সঠিকভাবেই চলছে।তারও একটা সমৃদ্ধ লক্ষ্য রয়েছে। চীন সম্ভবত ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বিস্ময়কর শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি চীন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে, তাহলে তা অবশ্যই তারা বাস্তবায়ন করে”।

কমিটির চেয়ারম্যান চীনের প্রতিবন্ধী খেলাধুলার উন্নয়নের উপর উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন, “চীনের সব অঞ্চলে প্রতিবন্ধী খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তা ছাড়া, খেলাধুলার সুষ্ঠু সরঞ্জামও রয়েছে। আমি আগে বেইজিংয়ে অবস্থিত চীন প্রতিবন্ধী খেলাধুলা প্রশাসন কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছি। এটা আমাকে খুব বিমোহিত করেছে। প্রতিবন্ধীরা শুধু ওখানে খেলাধুলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তা নয়, বরং ওখানেও তাঁরা শিক্ষা ও অন্যান্য প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন। এ কৌশল ফলপ্রসূ হয়েছে”। 

তিনি বলেন, “প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলাধুলা কেবল স্বর্ণ, রৌপ্য, বা দস্তার পদক জয় করা নয়, বরং সামাজিক বড় পরিসরে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে। প্যারালিম্পিক গেসম তাঁদেরকে এ জগতে বয়ে আনার ঐতিহ্য বলে আমরা মনে করি।”

আকাশ: ভাই, আমি ২০১০ সালের কুয়াং চৌ এশিয়া গেমস ও এশিয়া প্যারাগেমস একজন সাংবাদিক হিসেবে কাভার করেছি। তখন প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের ক্রীড়াকৌশল, বিশেষ করে তাঁদের চেতনা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছে। ভাই, আপনি কী বলেন?

আকাশ: ভাই, এখন ২০২০ সালের শেষ দিকে আছি আমরা, এ বছর আমাদের মানবজাতি মহামারিতে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে, সেসঙ্গে অনেকে তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। এটা অত্যন্ত কষ্টকর ও দুঃখজনক। এখন বিশ্বের কয়েকটি দেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আশা করি, আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা অচিরেই এ মহামারিকে জয় করতে পারব। 

ভাই ,আপনি কী বলেন?