ব্যবসাপাতি ---20201224 প্রথম পর্ব
2020-12-24 16:14:48

বিশ্বব্যবস্থা সচল রাখতে অর্থনীতি, ক্ষুধা-দারিদ্র্য দূর করে সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে অর্থনীতি। অর্থনীতি হয়ে উঠছে রাজনীতির হাতিয়ার, কূটনীতির মূলমন্ত্র আর স্বকিয়তার রক্ষাকবচ। এই অর্থনীতির নানা সমাচার নিয়ে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সাপ্তাহিক আয়োজন ব্যবসাপাতি।

‘ব্যবসাপাতি’র আজকের আয়োজনে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি, ‘সাজিদ রাজু’। দেশ-বিদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে আপনাদের জন্য থাকছে বিশেষ প্রতিবেদন। প্রতি পর্বেই থাকছে অর্থ-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত অতিথির সাক্ষাতকার।

আজ আমাদের অনুষ্ঠানের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘করোনাকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি’। গেল এক বছরে করোনাকালীন অর্থনীতির ওঠা-নামা ও নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলবো আমরা। জানাবো বিশ্বের নানা প্রান্তের বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর, তুলে ধরবো অর্থনীতির নানা সমীকরণ।

এই অনুষ্ঠান আপনারা শুনতে পাবেন ঢাকায় এফএম ১০২ এবং চট্টগ্রামে এফএম ৯০ মেগাহার্টজ-এ

করোনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার খবরের আগে জানাবো ‘বিশ্ব অর্থনীতি কতোটা প্রভাবিত হয়েছে তার কিছু খবর।

**‘বৈষম্য কমানোর প্রতিশ্রতি সূচক’

কভিড-১৯ মোকাবিলায় কোন দেশ কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তার নানা দিক নিয়ে নতুন ‘বৈষম্য কমানোর প্রতিশ্রতি সূচক’ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে অক্সফাম ও ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল –ডিএফআই। অক্সফামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সূচকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্যে বরাদ্দ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির দুর্বলতা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নের নানা দিক। 

সূচক অনুযায়ী, ১৫৮টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে নরওয়ে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেমেছে ২৬ এ। এসব সূচকে সর্বনিম্নে স্থান পায় আফ্রিকার দেশ সুদান।

 

ওক্সফাম জানিয়েছে, বিশ্বের ১৫৮টি দেশের মধ্যে মাত্র ২৬টি দেশ মহামারি মোকাবিলার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করেছে।

 

সূচকে দেখা যায়, জি-৭ ভুক্ত উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবার নিচে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমজীবিদের শুধুমাত্র একবার সাময়িক সহায়তা দেওয়া হয়। এই মহামারিতে আমেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় অক্সফামের ওই পর্যালোচনায়।

 

সূচক অনুযায়ী, এই তালিকায় ১০০ এর মধ্যে না থাকলেও সূচকে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। অক্সফামের ওই ইকডেক্সে ১১৩ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।

 

**করোনায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অর্থনীতি।

 

করোনায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অর্থনীতি। জাতিসংঘের ভবিষতবাণী, করোনায় ভারতের ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। খোদ সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, ভারতে জিডিপি কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ।

 

গেল এপ্রিল মাসে ভারতীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, উৎপাদনের হার সব’চে বেশি কমেছে নির্মাণখাতে। করোনাকালে এখাতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০শতাংশ, ট্রেড ও হোটেল খাতে ৪৭ শতাংশ, শিল্পে ৩৮ শতাংশ এবং খনিখাতে কমেছে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। দেশটির জাতীয় রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ধারণা করছে, মহামারির কারণে অন্তত ৪০ শতাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

 

দেশটির বিশ্লেষকরা বলছেন, এরই মধ্যে দক্ষতা, প্রতিযোগিতা কিংবা উদপাদনশীলতার মত সূচকে পিছিয়ে পড়ছে ভারত। তারা বলছেন, করোনা মহামারিতে ব্যয় হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও সঞ্চয়ের বিপুল অর্থ। ফলে দেশেটির প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদনশীলতা আশংকাজনকহারে হ্রাস পেয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভারতে ২০০৩ সালে শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা ৩ শতাংশ থেকে যেখানে ২০১০ সালে প্রায় ৭ শতাংশে উঠে এসেছিলো, গেল বছর তা কমে আবার ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

করোনা সংকট ভারতের অর্থনীতির উপর যে আঘাত হেনেছে তা ১৯৯৬ সালের পর সর্বোচ্চ ধাক্কা বলে ধরা হচ্ছে।

 

**২০২১ সালের অর্থনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীন

 

২০২১ সালের অর্থনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীন। অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির ধারাবাহিকতা, স্থিতিশীলতা ও স্থায়ীত্ব বজায় রাখা, একচেটিয়াত্ব-বিরোধী প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং অর্থনীতির সার্বিক উন্মুক্তকরণ আরও বেগবান করা।

 

সম্প্রতি চীনের রাজধানী পেইচিং এ অনুষ্ঠিত বার্ষিক নীতিনির্ধারণী ফোরাম - কেন্দ্রীয় অর্থনেতিক কার্যক্রম সম্মেলনে এসব অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়।

 

সম্মেলনে আটটি ক্ষেত্রে ২০২১ সালের করণীয় ঠিক করা হয়, যেগুলোর মধ্যে আছে কৌশলগত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে চীনের প্রতিযোগিতাশীলতা জোরদার করা এবং শিল্প ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে  আরও স্বাধীন করা।

সম্মেলনে বিদায়ী ২০২০ সালের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন, বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং আগামী বছরের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

 

সম্মেলনের পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীন আগামী বছর সক্রিয় আর্থিক নীতি ও বিচক্ষণ মুদ্রানীতি বজায় রাখবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবে।

 

**প্রতিবেদন**

করোনায় নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পরও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল উপজীব্য হয়ে উঠেছে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো। কতোটা অগ্রগতি হয়েছে সরকারের উন্নয়নের প্রতীক অগ্রাধীকার প্রকল্পগুলোর? সেব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন আমাদের সহকর্মী আজহার লিমন।

ব্যবসাপাতি ---20201224 প্রথম পর্ব_fororder_1

 “চলতি মাসের ১০ তারিখ পদ্মা সেতুতে যখন শেষ স্প্যানটি যুক্ত হচ্ছিলো, তখন বাংলাদেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছুঁই ছুঁই। করোনা মহামারির শঙ্কা কিংবা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, সব বাঁধা পেরিয়ে সংযুক্ত হয় স্বপ্নের এ সেতুর দুইপাশ। ছয় দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটারের এ সেতুকে ঘিরে এখন অপেক্ষা যানবাহনের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেওয়ার।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক বলছেন, পুরোপুরি ঠিক একটি তারিখের ওপরই তারা নির্ভর করছেন না। আর বিকল্পে যে তারিখগুলো রাখা হয়েছে,  তাও বাংলাদেশের বিশেষ ও জাতীয়  দিবসকেন্দ্রিক।

ব্যবসাপাতি ---20201224 প্রথম পর্ব

পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম

করোনা অতিমারির মধ্যে অনেকটা নিরবেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের আরেক অগ্রাধীকার প্রকল্প, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও পূর্ণগতিতে আবার শুরু হয়েছে বিশেষায়িত এ সড়কের নির্মাণ কাজ। বিমানবন্দর থেকে শুরু হওয়া এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণযজ্ঞ চোখে পড়বে বসুন্ধরা ডিওএইচএস, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলসহ নগরীর বিভিন্ন জায়গায়। প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আক্তার  জানান, করোনার ধাক্কা সামলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা কাজ শেষ করতে চান।

শহরের ভেতরে সব’চে বেশি চোখে পড়ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি-৬ এর অগ্রগতি। এ লাইনের ডিপো এলাকা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার উড়ালপথ নির্মাণ কাজ শেষ, ঐ অংশে এখন চলছে স্টেশন নির্মাণের কাজ। এ প্রকল্পের দ্বিতীয় ভাগ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোম্পানী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে এ প্রকল্পও চালু করা হবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে।

ব্যবসাপাতি ---20201224 প্রথম পর্ব

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক

দেশের ফার্স্ট ট্রাক প্রকল্প কর্ণফুলি টানেল ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে পুরোদমেই। তাই করোনা মহামারির এ সময়েও যে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে ভালোভাবেই এগোচ্ছে তা বলাই যায়।“

**সাক্ষাত্কার**

যে কোন অভিঘাতেরই প্রভাব থাকে, থাকে উত্তরণের উপায়। সময়ের আবর্তনে অনেক পরিস্থিতির সঙ্গেই মানুষকে খাপখাওয়াতে হয়, নিতে হয় বিশেষ ব্যবস্থা। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে নেয়া পদক্ষেপগুলো কতোটা পর্যাপ্ত? যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা কতোটা কার্যকর হয়েছে? এরই মধ্যে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কি করণীয়? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে সিআরআই বাংলা।

আমাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা -বিআইডিএস এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ।

ব্যবসাপাতি ---20201224 প্রথম পর্ব_fororder_4

করোনাসহ বৈশ্বিক নানা সংকট আমাদের ভয় দেখিয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের। ক্ষুধামুক্ত হওয়ার নিরন্তর সংগ্রামে আশা জাগিয়েছে নানা দেশের নানা উদ্যোগ। এমনই এক আশা সঞ্চারি প্রকল্প চীনের ‘বোনা ভিলা’। প্রিয় পাঠক, আপনাদের এবার জানাবো সেই বোনা ভিলার গল্প।

“ বেইজিং এর কাছের গ্রাম নানইউ। এক সময়ের দারিদ্র ক্লিষ্ট অনুন্নত গ্রাম। উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশের এ গ্রামের বাসিন্দদের দিন কাটতো অভাব অনটনে। তবে এখন দিন পাল্টেছে। বাইরের অতিথিদের অবসর যাপনের বদৌলতে বদলে গেছে এ গ্রামের চেহারা।

পর্যটনের ‘গেস্টহাউজ’ ধারণা বদলে দিয়েছে চীনের গ্রামীণ অর্থনীতি। তারই উদাহরণ নানইউ। গ্রামীণ পরিবেশে সেখানকার ঘরবাড়িতেই পর্যটকদের জন্য আয়োজন করা হয় থাকা ও খাওয়ার। অবসর কাটানোর আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয় এ গ্রাম। গেল ৫ বছর ধরেই পর্যটকরা আসছেন এখানে।

২০১৬ সালে লাইশোয়ে স্থানীয় সরকারের সহযোগিতা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বদলে যেতে থাকে গ্রামের চেহারা। গ্রামের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশে অবসর যাপনের সঙ্গে সঙ্গে আছে গ্রামীণ খাবারের সমারোহ। গ্রামের বাড়িঘরের ভেতরের ডিজাইন বদলে ফেলা হয়, আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের ছোঁয়ায় নান্দনিক হয়ে ওঠে পুরনো বাড়িগুলো। উন্নত মান ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত তৈরি করা হয় ১৫টি গুচ্ছ অতিথিশালা।

গ্রামের পাল্টে যাওয়ার শুরু এখানেই। এক রাত থাকার জন্য অতিথিদের পরিশোধ করতে হয় আড়াই হাজার ইউয়ান। তাতেও ভিড় কমেনি বরং বেড়েছে। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, ছুটির দিনে এখানে একটি কক্ষ পাওয়াই দুঃসাধ্য।

এ গ্রামেরই বাসিন্দা সাই চিংলান। ৪ নম্বর অতিথিশালার ব্যবস্থাপক। এ গ্রামে তিনি এখন পরিচিতি পেয়েছেন ‘সিস্টার চাই’ নামে। এখানে সাই এর মতো এমন ব্যবস্থাপক আছেন আরো ৩০ জন। এদের সবাই গ্রামের দরিদ্র পরিবার থেকে আসা। হাতে কলমে প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগ পান তারা। অতিথিশালার ব্যবস্থাপকের এমন চাকরিতে ভাগ্যের বদল হয়েছে সাই এর মতো বহু নারীর।

ব্যবস্থাপক সাই চিংলান জানান, কঠিন সময়ে নির্ভরতা হয়ে আসে এই বোনাভিলা প্রকল্প।

এ গ্রামে মোট বাড়িঘরের সংখ্যা ২২২টি। এর মধ্যে ১৭৬টিই ছিলো দরিদ্র। সদস্যদের বাৎসরিক আয় ছিলো ১৬০০ ইউয়ানেরও কম।

এ গ্রামে বেড়ে ওঠা দুয়ান চুনটিং ১৯৯৯ সালে গ্রাম প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এর পরই তিনি গ্রামের দারিদ্র বিমোচনের কাজ শুরু করেন। তিনি জানান, প্রায় ১ দশকের চেষ্টায় চায়না ফাউন্ডেশন পরিচালিত বোনা ভিলা প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটান তিনি।

এ প্রকল্পের লক্ষ্যই ছিলো গ্রামের লোকদের গ্রামে রেখে দারিদ্র্য বিমোচন। গ্রামীন পর্যটনকে দারিদ্র্য দূরীকরণের অন্যতম হাতিয়ার বানিয়েছে এই বোনাভিলা প্রকল্প। এমন প্রকল্প হতে পারে যে কোন দেশের জন্য দারিদ্র্য বিমোচনের প্রেরণা।“

প্রিয় পাঠক, এর মধ্য দিয়ে আয়োজনের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি আমরা।

তবে হ্যা!, যে যেখান থেকে আমাদের অনুষ্ঠান শুনছেন, আপনার পরামর্শ আমাদের সমৃদ্ধ করবে। আপনার যে কোন পরামর্শ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতার –সিআরআই বাংলা’র ফেসবুক পাতা ও ইউটিউব লিঙ্কে গিয়ে আপনার মন্তব্য করতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই। আগামী পর্বে আবারো কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত সুস্থ্য থাকুন, শুভকামনা সবাইকে।