প্রতি দিন ৩ লাখ নান ও সুন্দর জীবনের গল্প
2020-12-21 11:04:00

প্রতি দিন ৩ লাখ নান ও সুন্দর জীবনের গল্প

নান হলো চীনের সিনচিয়াংয়ের একটি বিখ্যাত খাবার। এর সঙ্গে বাংলাদেশের নানের অনেক মিল আছে। এই সাধারণ খাবারটিকে কেন্দ্র করে সিনচিয়াংয়ে বিশেষ শিল্প গড়ে উঠেছে। সিনচিয়াংয়ের চিয়াশি জেলার নান সংস্কৃতি ও শিল্প এলাকায় বিভিন্ন ধরণের নান তৈরী করা হয়। কোন কোন ধরণের নান আমরা আগে কখনো দেখিনি। এলাকাটির দায়িত্বশীল কর্মী মা জুন বলেন, ‘আমরা ১২৬ ধরণের নান তৈরী করি। প্রতিদিন আমাদের তৈরী নানের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। আমাদের জেলায় বিক্রয় হয় প্রায় ২ লাখ, বাকি এক লাখ কুয়াংতং ও শেনসি প্রদেশে এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পাঠানো হয়।’

প্রতি দিন ৩ লাখ নান ও সুন্দর জীবনের গল্প

জানা গেছে, জিয়াশি জেলার নান সংস্কৃতি শিল্প এলাকায় নান সংস্কৃতি পরিদর্শন, উত্পাদন ও বিক্রয় অন্তর্ভুক্ত আছে। নানের উত্পাদন, তৈরীর প্রশিক্ষণ, দারিদ্র্যবিমোচন, কর্মসংস্থান ও পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে জেলাটি বাসিন্দাদের আয় বাড়িয়েছে।

প্রতি দিন ৩ লাখ নান ও সুন্দর জীবনের গল্প

পৌর সরকার কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং আহার ও বাসস্থান যোগান দেয়। মা জুন বলেন, শিল্প এলাকার ১২০০ জন কর্মীর মধ্যে ৬৯৬ জন হলেন নিবন্ধিত দরিদ্র ব্যক্তি। এ পর্যন্ত সবাই দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছেন। তাঁদের গড় মাসিক বেতন ৩৫০০ ইউয়ান আরএমবি। কর্মীদের প্রতিদিন কাজ করতে হয় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা। সেজন্য তাঁরা এখানে কাজ ছাড়াও নিজেদের কৃষিজমিতে কাজ করতে পারেন।

প্রতি দিন ৩ লাখ নান ও সুন্দর জীবনের গল্প

শিল্প এলাকায় পরিদর্শন, অভিজ্ঞতা, নান সংস্কৃতি যাদুঘর আছে। পর্যটকরা নান’র ইতিহাস জানতে পারেন এবং নান তৈরীর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। অন্য জায়গায় পাঠালে নান’র স্বাদে পরিবর্তন ঘটে। এই  সমস্যার সমাধানের জন্য শিল্প এলাকা সিনচিয়াং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও ওষুধ গবেষণা একাডিমির সঙ্গে যৌথভাবে পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করেছে।

সিনচিয়াংয়ে প্রাচীনকাল থেকে নান তৈরী হচ্ছে। জিয়াশি জেলায় নানের একটি সম্পূর্ণ শিল্প চেইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুন্দর জীবন শুরু হয়েছে।