ডিসেম্বর ১৬: সম্প্রতি বৃটেন ও অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের তথমাধ্যমে একটি হাস্যকর সংবাদ প্রচার হয়েছে। এতে বলা হয় যে, সিপিসির সদস্যারা ইতোমধ্যে বৃটেনসহ পশ্চিমা দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ‘অনুপ্রবেশ’ করেছে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সবার আগে ভীতিকর সংকেত প্রদান করেছে। তবে, তারা এটিও স্বীকার করেছেন যে, পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগোলোতে সিপিসির সদস্যদের গোয়েন্দা কার্যক্রমে জড়িত থাকার কোন প্রমাণ তাদের হাতে নেই।
এটি অত্যন্ত্য হাস্যকর যে, একদিকে তারা নিজেরাই কোন প্রমাণ না থাকার কথা বলছে, অন্যদিকে তারাই আবার চীন বিরোধী প্রচারনা চালাচ্ছে। এটি আসলে তাদের বুদ্ধিহীনতা ও লজ্জাহীনতার পরিচায়ক এবং ‘চীনা হুমকি তত্ত্বের’ অপপ্রচার বৈ আর কিছুই নয়।
আমরা জানি যে, সিপিসির নেতৃত্বে চীন তার নিজস্ব বৈশিষ্টের সমাজতন্ত্রের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলছে।সিপিসি জনকল্যাণের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এবং বিশ্ব শান্তি ও মানব জাতির অগ্রগতির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।বর্তমানে চীনে মোট ৯ কোটি ২০লাখ সিপিসি সদস্য রয়েছে। তাঁরা সামাজের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁরা হচ্ছেন চীনের জনগণের প্রতিনিধি। সিপিসি সদস্যদেরকে অপবাদ দেওয়া মানে গোটা চীনের জনগণের বিরোধীতা করা। যে কোন শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ অবশ্যই দৃঢ়ভাবে এর বিরোধীতা করবে। কিছু পশ্চিমাদেশের তথ্যমাধ্যম ও অপরাজনীতিকের উচিৎ শীগ্রই তাদের ভাঁড়ের অভিনয় বন্ধ করা। নইলে তারা কেবল নিজেদের আরও লজ্জিত করবে। সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে এমনটিই বলা হয়।
(আকাশ/এনাম/রুবি)