জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আচরণ হাস্যকর: সিআরআই সম্পাদকীয়
2020-12-15 20:23:50

ডিসেম্বর ১৫: বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেজার দ্বীপটি দুমাস ধরে আগুনে পুড়তে ছিল। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও বন্যায় কাবু করে ফেলেছ দেশটির পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের। অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিস্থিতি চরম হয়ে উঠলেও, দেশটির শীর্ষ নেতারা এ ব্যাপারে এখনও নিষক্রিয়ই রয়ে গেছেন।

 

ফলে গত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জলবায়ু উচ্চাকাংক্ষা শীর্ষ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি।  গাডির্য়ান পত্রিকার খবরে বলা হয়, যেসব দেশ আগামী দশ বছরে গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এ খাতে আর্থিক সহয়তা দেয়, কেবল সেসব দেশের নতারাই শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আর অস্ট্রেলিয়া স্পষ্টতই সে অবস্থানে নেই। আজ (মঙ্গলবার) চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

 

 

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, গত ৫ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ ২০০৫ সালের তুলনায় ২৬-২৮ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে গত বছর পর্যন্ত দেশটির উপাত্ত অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া আগামী ২০৩০ সালে ২০০৫ সালের তুলনায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ কেবল ১৬ শতাংশ কম হবে। যা দেশটির প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কিছু বেশি।

 

পরিতাপের বিষয় হলো, এ মাসে যখন অস্ট্রেলিয়ানরা পবর্তাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, তখন স্কট মরিসন হাওয়াই দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। এবারের জলবায়ু উচ্চকাংক্ষা শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পূর্বে বিভিন্ন পক্ষ অস্ট্রেলিয়ার নিগর্মনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন করলে, মরিসন সরাসরি কোন উত্তর দিতে পারেন নি। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু অস্ট্রেলিয়ার জনগণের নিকট জবাবদিহি করি। আমার সরকার কেবল অস্ট্রেলিয়ার জনগণের নিকট দায়বদ্ধ’।

তাঁর এমন বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

 

(রুবি/এনাম/শিশির)