চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের গল্প
2020-12-01 09:03:32

চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের গল্প

২০২০ সাল হলো চীনের সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলার ও দেশকে সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্যমুক্ত করার কার্যক্রমের শেষ বছর। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-এর নেতৃত্বে ও চীনা জনগণের পরিশ্রমে চীনের বিভিন্ন খাতে ইতোমধ্যেই বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। আজকের আসরের শুরুতে আমি আপনাদেরকে চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচনের ও উন্নয়নের গল্প শোনাবো।

আগে থানাটি দরিদ্র ছিল। থানাটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থান সহায়তা করে। বর্তমানে থানাটি দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। থানাটি জনকল্যাণমূলক খাতেও উন্নতি করছে। থানাটির দরিদ্র বাসিন্দা চৌ ইউ সরকার ও অন্যদের সহায়তায় দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছেন। এরপর তিনি জনকল্যাণমূলক কাজ করা শুরু করেন।

চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের গল্প

চৌ ইউ নিজে একটি বিবাহ কোম্পানি খুলেছেন। তিনি কোম্পানির সাধারণ ম্যানেজার হিসেবে বিবাহের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে ব্যস্ত থাকেন। এখনকার শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসপূর্ণ চৌ ইউকে দেখে আপনারা বিশ্বাস করবেন না যে, কয়েক বছর আগে তিনি ছিলেন স্থানীয় একজন দরিদ্র বাসিন্দা। তাঁর বাবা ও মা গুরুতর রোগে মারা গেছেন। তিনি বাবা ও মায়ের চিকিত্সার জন্য প্রচুর ধার নিয়েছিলেন। স্থানীয় আনইউয়ান জাতীয় বন পার্কের উপপরিচালক ওয়াং চিন হলেন চৌ ইউ’র স্থির-পয়েন্ট সহায়তা কর্মী। তিনি বলেন,

চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের গল্প

‘আমরা তথা সহায়তাকর্মীরা প্রতি সপ্তাহে দরিদ্র পরিবার পরিদর্শন করি। আমরা দরিদ্র পরিবারের যেকোন কঠিন সমাধান করার চেষ্টা করি। এ ছাড়াও আমরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিই।’

স্বাস্থ্য-দারিদ্র্যবিমোচন ব্যবস্থায় চৌ ইউ’র বাবা-মা’র চিকিত্সার খরচ অর্ধেক কমেছে। এটি চৌ ইউ’র সমস্যা সমাধান করেছে। চৌ ইউ বলেন, ‘আমি সমাজের ভালবাসা অনুভব করতে পারি। কর্মীরা আমার বাবা-মাকে অনেক সহায়তা করেছেন।’

চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের গল্প

যখন চৌ ইউ জন্মস্থানে ফিরে আসেন, তখন তাঁর গ্রামের প্রথম সম্পাদক লি ছাই ফেং তাঁর জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ঋণের আবেদন করেন। ২০১৮ সালে চৌ ইউ একটি বিবাহ কোম্পানি খোলেন।  প্রথম দিকে তাঁকে অনেক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি তাঁর কর্মীদেরকে নিয়ে বাইরে পরিদর্শন, বাজার উন্নয়ন, ও প্রচারের কাজ করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

‘আমরা কোনো নিশ্রাম না নিয়ে টানা ৬০ ঘন্টা কাজ করেছি। আমরা বুঝেছিলাম যে, পরিস্থিতি সুবিধাজনক না হলে আমাদের ব্যবসা দ্রুত উন্নত হবে না। এখন আমি নিজের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ন করেছি। আগে আমি তা বিশ্বাস করতাম না।’

চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের গল্প

২০১৮ সালে চৌ ইউ’র পরিবার দারিদ্র্যমুক্ত হয়। এরপর তিনি ‘গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সহায়তা’, ‘নার্সিং হোমে সহায়তা’ ও ‘বাইরে কর্মরত পিতামাতার শিশুদেরকে সহায়তা’ ইত্যাদি স্বেচ্ছাসেবামূলক ক্রিয়াকলাপে অংশ নেন। এ ছাড়াও তিনি দরিদ্র বাসিন্দাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন। চৌ ইউ বলেন, তিনি প্রেম প্রচার করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি চেষ্টা করতে থাকবো।’

বন্ধুরা, শুনছিলেন চিয়াংস্যি প্রদেশের ফিংস্যিয়াং থানার বাসিন্দাদের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের গল্প। এখন আমি আপনাদেরকে সিনচিয়াংয়ের বিখ্যাত খাবার ‘নান’ সম্পর্কে বলব।