নভেম্বর ২৮: শনিবার ‘বিশ্ব ডিজিটাল বাণিজ্য সম্মেলন, ২০২০’ চীনের উহান শহরে শুরু হয়েছে। ইহান শহরের পৌর সরকার জানায়, এবারের সম্মেলন হলো কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণের পর আয়োজিত বৃহত্তম, সবচেয়ে ব্যাপক, সবচেয়ে বহির্মুখী আর্থ-বাণিজ্যিক সম্মেলন। চীনে নিযুক্ত ৩৭টি দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, বিশ্বের ৫০০ শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের ২০টি এবং বিশ্বের অন্যান্য ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে।
সম্মেলনে একাদশ চীনের উহান (হানখৌ উত্তরাঞ্চল) পণ্য বাণিজ্যিক সম্মেলন আয়োজিত হবে। এতে বিভিন্ন পণ্য, খাদ্য, কৃষিপণ্য, পরিষেবা সরঞ্জাম, বাল্ক পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, হার্ডওয়্যার ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং গাড়ি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
উহানে বিনিয়োগের অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল বাণিজ্য উন্নয়নের সুযোগ বেশি। চীনা জাতীয় শিল্প ও বাণিজ্য ফেডারেশন বরাবরই হুপেই প্রদেশ ও উহান শহর উন্নয়নে সমর্থন দিয়ে আসছে। চীনা জাতীয় শিল্প ও বাণিজ্য ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান লু নান এ কথা বলেছেন।
আমরা জানি, পণ্য ও মূলধনের পর ডিজিটাল পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পদ। ডিজিটাল বাণিজ্য বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির নতুন ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে। বর্তমান উহান দ্রুতভাবে ডিজিটাল বাণিজ্য উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে। ২০১৯ সালে উহানের ডিজিটাল অর্থনীতি ছিল শহরের জিডিপির ৪০ শতাংশ।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ডিজিটাল বাণিজ্য উন্নত করতে হবে। এটি মহামারীর প্রভাব হ্রাস ও অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সাহায্য করছে।
আসলে মহামারী বিশ্বের অর্থনীতির ডিজিটাইজিংকে ত্বরান্বিত করেছে।
প্যারিসের শান্তি ফোরামের চেয়ারম্যান ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক পাস্কাল ল্যামি এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, আসলে কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বের ডিজিটাইজিংয়ের প্রক্রিয়া দ্রুততর করেছে। এর ফলে মহামারীর মধ্যেও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাণিজ্য মানুষকে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।
উহান সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন ধারণাও পাওয়া যাচ্ছে।
ডিজিটাইজিং সমাজ এখন বাস্তবতা। এটি সবসময় গভীরভাবে মানুষের কাজ, জীবন ও ব্যবসায়কে প্রভাবিত করে চলেছে। এ অবস্থায় উহান ডিজিটাল শিল্প উন্নয়ন যুগের প্রবণতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
আমরা জানি, চীনে যতক্ষণ একটি স্মার্ট ফোন রয়েছে ততক্ষণ শহরে বা গ্রামে একই আর্থিক মানের পরিষেবা পাওয়া যায়। ডিজিটাল প্রযুক্তি আর্থিক খাতে এনেছে একটি বিশাল পরিবর্তন। ভবিষ্যতে ডিজিটাল অর্থনীতি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন উপাত্তের অভিন্ন উপভোগ, যোগাযোগ ও সংযুক্তি ত্বরান্বিত করছে। তখন এক দেশের চিকিত্সক অন্য দেশের রোগীকে চিকিত্সাসেবা দিতে পারবে সহজে। তেমনি, এক দেশের শিক্ষক অন্য দেশের শিক্ষার্থীকে শেখাতে পারবেন অনায়াসে। (ছাই/আলিম)