দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং
2020-11-23 15:13:13

১১ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং অনলাইনে বেইজিং থেকে জি-২০ জোটের ১৫তম শীর্ষসম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেন। এতে তিনি টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে তার ধারণা তুলে ধরেছেন। তার ভিডিও বক্তৃতায় দরিদ্রতা মোকাবিলায় উন্নয়ন খাতে জোর গুরুত্ব দেন, এবং অন্যান্য দেশের সাথে অভিন্ন উন্নয়নের বৈশিষ্ট্যময় দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘ ২০৩০ সালের এজেন্ডা’ বাস্তবায়ন করা এবং দারিদ্র্যবিমোচনকে প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা। দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো নির্মাণ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ খাতের উন্নয়নের ফলাফল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও বেশি উপকৃত করতে পারে। প্রেসিডেন্ট সি বিশ্বে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া এবং জি-২০ ঋণের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য চীন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে- তার কথা বলেছেন।

 

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কার্যকর সহায়তার  মাধ্যমে সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য তার নিজস্ব সুবিধাগুলি ব্যবহার করবে, যাতে আরও ব্যাপকভাবে মানুষের কল্যাণ করা যায়।

 

চীন পূর্ব ঘোষণার ১০ বছর আগে সম্পূর্ণ দারিদ্র্য দূর করতে চলেছে। আমরা সবাই জানি যে, গত ৪০ বছরের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর, চীনে ৭০ কোটিরও বেশী মানুষ দরিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছে, যা বিশ্বের ৭০ শতাংশেরও বেশী দরিদ্রতা হ্রাসে অবদান রেখেছে। তা ছাড়া চীন নভেল করোনাভাইরাস মহামারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচনে চীনের অভিজ্ঞতা এবং দারিদ্র্যবিমোচন কৌশলের পাশাপাশি মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা বিশ্বের দরিদ্রতা হ্রাসে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং বিশ্বে সম্পদের ব্যবধান কমানো এবং জাতিসংঘের ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে বড় অবদান রেখেছে।

 

আমরা প্রায়শই অন্য প্রদেশে ভ্রমণ করি। প্রথম দুই বছর আমরা যেসব জায়গা পরিদর্শন করেছি, তা তুলনামূলক দরিদ্র ছিল, এবং এমন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি- যারা কিছুদিন আগে দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছিলেন।

 

আমি সম্প্রতি চেজিয়াং প্রদেশ তাইজহুতে গিয়েছিলাম। মিডিয়া রিপোর্টার হিসাবে আমি সুস্পষ্টভাবে পার্থক্য অনুভব করেছি। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের উচ্চ-মানের কমলা ব্যবসায় নিযুক্ত ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আয় মাসে ১০ হাজার ইউয়ানের বেশি। তাদের অনেকের নিজস্ব কারখানা রয়েছে, উচ্চ প্রযুক্তির রোপণ-কৌশল রয়েছে এবং তাদের নিজস্ব কমলা ব্র্যান্ড রয়েছে; যা বিদেশেও রফতানি হয়।

 

জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই