চীনা গায়িকা সিয়ু ফেই
2020-11-19 15:31:16

চীনা গায়িকা সিয়ু ফেই

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের চীনের একজন গায়িকার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম সিয়ু ফেই। তার নিজ রচিত মুগ্ধকর গান অনেক মানুষ খুব পছন্দ করে। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শুরুতে একসঙ্গে শুনবো সিয়ু ফেইয়ের ২০১০ সালে প্রকাশিত একটি সুন্দর গান ‘আমি উড়তে চাই’। গানটি চীনের খুব জনপ্রিয় একটি টিভি নাটক ‘একসঙ্গে উল্কাবৃষ্টি দেখার’ একটি গান। বন্ধুরা এখন গানটি শুনি। গান ১

সিয়ু ফেই ১৯৮৫ সালে চীনের চিলিন প্রদেশের সিপিং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১২ বছর বয়সে তিনি বেইজিংয়ে এসে সংগীত শিখতে শুরু করেন। পরে তিনি চীনের গণমুক্তি ফৌজ আর্টস অ্যাকাডেমির সংগীত বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়ে তিনি বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন। ২০০৬ সালে তিনি চীনা তরুণ গায়ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের রচিত গান ‘বৃষ্টি রাতের’ জন্য চিলিন প্রদেশের রানার্স-আপ হন। সে বছর তিনি তখনকার খুব জনপ্রিয় একটি সংগীত প্রতিযোগিতা ‘সুপার গার্লে’ অংশগ্রহণ করেন এবং ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিয়ু ফেই সবার কাছে পরিচিত হন। বন্ধুরা, এখন সিয়ু ফেই’র ২০০৬ সালে প্রকাশিত একটি সুন্দর গান ‘সেই বছরের গরমকাল’ শুনব।গান ২

২০০৭ সালে সিয়ু ফেই তার প্রথম অ্যালবাম ‘উড়ে যায়’ প্রকাশ করেন। তিনি অ্যালবামের অনেক গান রচনা করেছেন। গানগুলোর মাধ্যমে মানুষ তার সংগীত প্রতিভা জানতে পারে। সিয়ু ফেই সে বছরের নতুন শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পান। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র ‘ফ্লাইট লগে’ অভিনয় করেন এবং কনসার্ট আয়োজন করেছেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন সিয়ু ফেই রচিত একটি সুন্দর গান ‘যখন তোমার সঙ্গে থাকি’।গান ৩

২০০৮ সালে সিয়ু ফেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন এবং নতুন অ্যালবাম ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামে তিনি ব্যালাড সংগীতের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের জীবন এবং তরুণদের মৈত্রী ও ভালোবাসার কথা স্মরণ করেন। এই অ্যালবামের জন্য তিনি সে বছর চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকার পুরস্কার পান। বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামের একটি সুন্দর গান ‘চিলিন থেকে বেইজিংয়ে আসা’। গানটি তার সংগীতের স্বপ্ন অনুসরণের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী রচিত। গানে তরুণদের বিভ্রান্তি ও প্রাণশক্তির কথা প্রকাশিত হয়েছে। বন্ধুরা, এখন গানটি শুনুন।গান ৪

২০১০ সালে সিয়ু ফেই অ্যালবাম ‘৬ ডিগ্রি’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের গান ‘বাম দিকের শাখা’ প্রকাশের পরপরই অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বার্ষিক সবচেয়ে জনপ্রিয় গানে পরিণত হয়। গানে তিনি কোমল সুর ও শক্তিশালী কণ্ঠে তরুণদের স্বপ্ন অনুসরণের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। বন্ধুরা, এখন এই সুন্দর গানটি শুনবো।গান ৫

২০১১ সালে সিয়ু ফেই চীনের আর্ট ট্রুপে যোগ দেন এবং বিভিন্ন জায়গায় পারফরম্যান্স করে যান। ২০১৬ সালে তিনি আর্ট ট্রুপ ছেড়ে নিজের সংগীত স্টুডিও গড়ে তোলেন। বন্ধুরা, এবার আমরা শুনবো সিয়ু ফেইয়ের গান ‘বাবার কবিতা’। গানটি তিনি তার বাবার জন্য রচনা করেছেন। গানে খুব সহজ ভাষা ও সুর দিয়ে বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে। অনেক মানুষ এ গান শুনে মুগ্ধ হয়েছে।

বন্ধুরা এখন ‘বাবার কবিতা’ শুনি।  গান ৬

স্টুডিও প্রতিষ্ঠার পর সিয়ু ফেইয়ের সংগীত রচনার ধারা পরিবর্তন হয়। তিনি নারীর জীবন, অবস্থা ও চিন্তাভাবনা নিয়ে অনেক গান রচনা করেছেন। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা সিয়ু ফেইয়ের আরো একটি সুন্দর গান ‘বিদায় বোলো না’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করছেন।গান ৭