যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা রোববার এক কোটি ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে ১০ লাখ মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ৯ নভেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটির মাইলফলক অতিক্রম করে। এর মাত্র ছয় দিন পর স্থানীয় সময় রবিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট এক কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ৪৬ জনে দাঁড়ায়।
এদিকে দেশটিতে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২ লাখ ৪৬ হাজার ১০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিকে থেকে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মাকিন ফরেন পলিসি ম্যাগজিনের ওয়েবসাইটে গত ১৩ নভেম্বর এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ দুর্যোগের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। অথচ ট্রাম্প প্রশাসন কোভিড-১৯ প্রতিরোধকাজের ওপর যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না। প্রশাসন ব্যস্ত আছে রাজনীতি ও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে।
নিবন্ধে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার মহামারির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। দেশটির কাইসার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশান দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ম্যাপিং করে আসছে। ম্যাপে গুরুতর আক্রান্ত অঞ্চলকে লাল রঙে রঞ্জিত করা হয়। তাদের সর্বশেষ ম্যাপে সারা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৪৯টিই লাল রঙ ধারণ করেছে। এর আগে বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ কিছু কিছু অঞ্চলে দেখা যায়। আর এখন দেশের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি গুরুতর।
ওয়াশিংটন পোস্টের একজন সাংবাদিক কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন সরকার কোভিড-১৯ প্রকোপ মোকাবিলার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
শিগগিরি মনোযোগ দিয়ে যৌথভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করতে যাওয়া মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করার একমাত্র উপায়।
(রুবি/আলিম)