রোববারের আলাপন-201108
2020-11-05 17:15:06

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আলিম এবং শিয়েনান আকাশ।

সম্প্রতি বেইজিংয়ে আয়োজিত চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের মুখপাত্র চীনের দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রম ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের দারিদ্র্যবিমোচনে চীনের অবদান ৭০ শতাংশেরও বেশি।

মুখপাত্র চাও লি চিয়ান বলেন, বিশ্বে চীনের দারিদ্র্যবিমোচনের ইতিবাচক তাৎপর্য রয়েছে। প্রথমত, চীন বিশ্বের দারিদ্র্যবিমোচন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে অবদান রেখেছে। দারিদ্র্যবিমোচন হল মানবজাতির অভিন্ন চ্যালেঞ্জ, যা জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’-এর অন্যতম লক্ষ্য। বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন বরাবরই দারিদ্র্যবিমোচনকে দেশ পরিচালনার নীতির শীর্ষ স্থানে রেখেছে। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হওয়ার পর বিগত ৪০ বছরে চীনে ৭০ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। বিশ্বের দারিদ্র্যবিমোচনে চীনের অবদান ৭০ শতাংশের বেশি। চলতি বছর হল চীনে সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলার শেষ বছর এবং দারিদ্র্যমুক্তকরণ কার্যক্রমের শেষ বছর। চীন এক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের ১০ বছর আগেই সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ করেছে।

দ্বিতীয়ত, চীন বিশ্বের দারিদ্র্যবিমোচন কাজে সাহায্য করছে। চীন সবসময় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা দেয়। চীন অব্যাহতভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' এবং ‘এজেন্ডা ২০৩০’ কর্মসূচির সংযোগ বাড়াচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, 'এক অঞ্চল, এক পথ' ৭৬ লাখেরও বেশি মানুষকে চরম দরিদ্রতা থেকে এবং ৩.২ কোটি মানুষকে মধ্যম পর্যায়ের দরিদ্রতা থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এদিকে চীনে নিযুক্ত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি ছু সি শি সিএমজি-কে দেয়া একটি স্বাক্ষাৎকারে বলেন, চীন হচ্ছে দারিদ্যবিমোচনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ। উন্নয়নশীল দেশগুলো চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে। তিনি বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই,  বিশ্বের সব উন্নয়নশীল দেশের জন্য দারিদ্যবিমোচনের খাতে চীন একটি  উদাহরণস্বরূপ। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর, অব্যাহত প্রচেষ্টার মাধ্যমে চীনে ৮০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দারিদ্যমুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়, তা বৈশ্বিক দারিদ্যবিমোচনের জন্য একটি অবদান। বলা যায় যে, চীনের অসাধারণ সুফল অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও অনুপ্রাণিত করেছে।”