পেইচিং অলিম্পিক গেমস ২০০৮'এ বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা মোট ৪৩টি বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে দেন। পেইচিং ক্রীড়াবিদদের সুখ স্থানে পরিনত হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আবাম ছালাউদ্দিন আপনাদেরকে এ সম্পর্কে কিছু কথা জানাবো।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির ক্রীড়া বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২৫ আগষ্ট পর্যন্ত পেইচিং অলিম্পিক গেমসে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা মোট ৪৩টি বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে দেন। এটি হল অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসের বিস্ময়। কিন্তু এই বিস্ময়ের মধ্যে বৃহত্তম বিস্ময় মার্কিন সাঁতার ক্রীড়াবিদ মাইকেল ফেলপস সৃষ্টি করেন। তিনি পেইচিং অলিম্পিক গেমসে ৮টি স্বর্ণপদক লাভ করেন ও বহুবারের মত বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে দেন। ফেলপস সাংবাদিকের কাছে বলেন, ৮ হল চীনা মানুষের সুখ সংখ্যা এবং পেইচিং হল তিনি ইতিহাস সৃষ্টির সুখ স্থান। তিনি আরো বলেন, 'আমি চীনে অনেক বেশি খুশি সময় কেটেছি। আমি বিশ্বাস করি পেইচিংয়ে সংঘটিত সবগুলো বিষয় আমি সারা জীবনে ভুলে যাবো না। '
চীনের জাতীয় সাঁতার কেন্দ্র ওয়াটার কিউব আসলে একটি বিস্ময় সৃষ্টি স্থান। ওয়াটার কিউব অনেক সুন্দর ও ভেতরে আধুনিক স্থাপনার সহায়তায় বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা এবারের অলিম্পিক গেমসে সাফল্য লাভ করেন। মার্কিন সাঁতার ক্রীড়াবিদ ডারা টোরেস মনে করেন, ওয়াটার কিউবের সাঁতার পুল দর্শক আসনের মাঝখানে রয়েছে। সেজন্য ৫০মিটার লেন দেখতে একটু ছোট। এ ফলে ক্রীড়াবিদরা আরো আস্থাশীল ছিল। এটি হল বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা অনেক বেশি নতুন বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টির একটি কারণ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ওয়াটার কিউবের সাঁতার পুলের পানি অনেক গভীর। ওয়াটার কিউবের কাছে পানি সঞ্চলন স্থাপনা অনেক আধুনিক। ওয়াটার কিউব অনেক সুন্দর। আমি ওয়াটার কিউবের ডিজাইনারদেরকে শ্রোদ্ধার করি। তাঁরা বেশি ভালভাবে করেছেন।'
1 2 |