আমাদের সাংবাদিক অন্যতম একটি চিকিত্সা দলের সঙ্গে উন ছুয়ান জেলার ইয়ান মেন গ্রামের চিকিত্সা কেন্দ্রে গিয়েছেন। রাজধানীর প্রথম শ্রেণীর চিকিত্সক এখানে গিয়ে দাতব্য চিকিত্সা সেবা দেবে, এই খবর শুনে স্থানীয় লোকজন অনেক খুশি হয়েছেন এবং অনেক সকাল থেকেই চিকিত্সা কেন্দ্রে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করতে থাকেন। তাঁরা এমন অনুষ্ঠানকে খুব সমর্থন করেন। ইয়ান মেন গ্রামের ৫৮ বছর বয়সী অধিবাসী চৌ খাই চেনের মেরুদণ্ডের সমস্যা আছে। তিনি বেইজিংয়ের চিকিত্সকের দাতব্য চিকিত্সা পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি বলেন:
খুশি, অবশ্যই অনেক খুশি। রাজধানীর শীর্ষ চিকিত্সক এখানে এসেছেন, আমরা অনেক অনেক খুশি। আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনারা অনেক দূর থেকে এখানে এসেছেন শুধুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। আমি অন্য জেলার হাসপাতালে গিয়েছিলাম এর আগে, কিন্তু ভালো ওষুধ পাইনি। এবার বেইজিংয়ের চিকিত্সকরা ওষুধ নিয়ে এসেছেন, আমরা অনেক আনন্দিত।
দশ বছরে সমাজের বিভিন্ন পক্ষ উন ছুয়ান জনগণকে যে সাহায্য দিয়েছে, আসলে উন ছুয়ান জনগণ তা সব মনে রেখেছেন। তাঁরা এমন ভালোবাসার প্রতিদান দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছেন। হুয়াং সুয়ে ফাং উন ছুয়ান জেলার ইং সিউ থানার নাগরিক। ইং সিউ থানা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হিসেবে সবচেয়ে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর বাড়িঘর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে সমাজের বিভিন্ন মহলের সাহায্যে তিনি এবং পরিবারের সবাই নতুন বাড়িতে থাকতে পারছেন এবং নতুন জীবনের সূচনা করেছেন। এখন তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সেবা দলে যোগ দিয়েছেন এবং পর্যটকদের বিভিন্ন সেবা দেন। এর উদ্দেশ্য হল সারা দেশের জনগণের সাহায্যের প্রতিদান দেওয়া। তিনি বলেন:
জীবনযাপনের মান অনেক উন্নত হয়েছে। আমার মন সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে বেড়িয়ে এসেছে। এখন জীবন অনেক সুখী, দেশের নীতি এত ভালো! তাই আমি কিছু দাতব্য কাজ করতে চাই। আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ৫,৬ বছর ধরে কাজ করেছি। এক দিকে নিজের ছেলে মেয়ের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি, অন্যদিকে দেশ ও সমাজের সাহায্যের প্রতিদান দিতে পারি।