তিনি বলেন "এখানে আসার পথ খুবই কষ্টকর। সারা পথের অবস্থা আমি খুব ভালোভাবেই জানতে পেরেছি। কারণ আমি অগ্রণী দলটির একজন সদস্য হিসেবে ঐ পথে চলে এসেছি। কিন্তু আমাদের জেনারেল এমন একজন মিনিয়ার নেতা ও বয়স্ক লোক। তবে তিনি এখানে আসতে পারেন । আমার কাছে তা সত্যিই অভাবনীয়। এতো কষ্টকর পথে আমাদের তরুনদেরও বারো-তেরো ঘন্টা লেগেছে। অবশেষে সবাই পুরোপুরিভাবে নিজেদের জীবনের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়েছি।"
এ দুর্বল অবস্থায় জেনারেল সু ইয়ুং তাদের সৈন্য পরিচালনা করে ধ্বংস স্তুপের নীচ থেকে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন এবং বিমান, জলপথ এবং স্থলপথসহ তিনটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে পরিবহনের পথ চালু করেছেন । তারা প্রত্যেকটি দুগর্ত গ্রামে গিয়ে সেখানকার আহতদেরকে স্থানান্তর করেছেন। তাদের ধ্বংস স্তুপ পরিষ্কার করেছেন এ রোগ নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণের তত্পরতা চালিয়েছেন এবং দুর্গত অঞ্চলের সাধারণ জনগণের পুনর্বাসন করেছেন । দুর্গত অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য জেনারেল সু ইয়ুং নিজের তাঁবু দিয়ে একটি অস্থায়ী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
এবারের ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে জেনারেল সু ইয়ুং -এর দৃঢ়তার সাথে সিদ্ধান্ত নেয়া, সাফল্যের সঙ্গে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করা এবং সুষ্ঠুভাবে উদ্ধার কাজের উদ্যোগ নেয়া তার সুচিন্তিত বিবেচনা এবং লেখাপড়ায় মন দেয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি চীনের সর্বোচ্চ সামরিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান--চীনা গণ মুক্তি ফৌজের প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তখন তিনি বই পড়তে এবং সংশ্লিষ্ট জ্ঞান-বিজ্ঞান বিদ্যাগত শিক্ষার ওপর গবেষণা করতে ভালবাসতেন । চীনের নতুন পর্যায়ের একজন উচ্চপদস্থ সেনাপতি হিসেবে সু ইয়ুং বিশ্বের সামরিক উন্নয়নের অবস্থার ওপরও গুরুত্ব দেন। বইপত্র পড়া ছাড়াও তিনি আরও বিদেশী সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পছন্দ করেন। তিনি বলেন:" ২০০৪ সালে আমি জার্মান, ফ্রান্স, গ্রিস এবং সুইজারল্যান্ডে গিয়ে সেখানকারের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি । এ সব আমার মনে প্রগাঢ় ছাপ ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা পাকিস্তান এবং ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছি। এর মধ্যে আমাদের দু'পক্ষের বেশ কিছু আদান-প্রদান করেছি।"
সু ইয়ুংয় এবং তাঁর সৈন্যরা এবারের ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 1 2
|