এছাড়া, ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে ত্রাণ-সামগ্রী পাঠানোর জন্য চীনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট পরিবহনের কর্মীরা ধারাবাহিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন দিনরাত কাজ করেন। বেশি বেশি ত্রাণ-সামগ্রী পাঠানোর জন্য তা দিনে রাতে বড়জোর ২ ঘন্টা ঘুমান। একজন পরিবহণের কর্মী বলেন" আমরা কি করতে পারি ? তাদের জন্য সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য দেয়া ছাড়া, আমি মনে করি তাদের নিত্য ব্যবহার্য্য দ্রব্যও বেশি দরকার। ভূমিকম্পের পর ,দুর্গত অঞ্চলের পরিষ্কার পানি, ঔষধ এবং খাবার খুবই জরুরি। দুর্গত অঞ্চলের সাধারণ জনগণের জন্য আমাদের বেশি কাজ করা উচিত।"
এবারের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি যথেষ্ট মর্যাদা দেয়া হয়েছে । চীন সরকার ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত তিন দিন জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ১৯ মে বেলা দুটো ২৮ মিনিটে ভেঁপু বাজার সঙ্গে সঙ্গে পথিকরা যেখানেই ছিল , সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে , শ্রমিকরা হাতের কাজ বন্ধ করে দেয় । সবাই ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতিশোকে তিন মিনিট নীরবতা পালন করেন । সেদিন সন্ধায় চীনের অনেক স্থানে মোম বাতি জ্বালিয়ে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন ।
চীনে দেশব্যাপী তিন দিনের শোক দিবস পালন চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ । এতে জনজীবনের প্রতি চীন সরকারের পুরোপুরি মনোযোগের বিষয়টি ফুটে উঠেছে । এবারের উদ্ধার ও ত্রাণকাজে চীনারা নিজের বাস্তব কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে প্রমান করেছে যে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ শুধু সরকার নয় , নাগরিকদেরও দায়িত্ব । চীনের সমাজের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকদের চেতনা ক্রমেই উন্নত হচ্ছে ।
চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও যেমন বলেছেন: ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলের জন্য একজনের ভালবাস হয়তো খুবই ছোট, তবে এটা গুণন ১৩০ কোটি দিয়ে গুণ করলে তা অবর্ণনীয় ভালবাসা। অন্যদিকে ভূমিকম্পের ব্যাপক সংকট মোকাবিলার জন্য সকল কর্মকান্ডকে ১৩০ কোটি দিয়ে ভাগ করলে সহজে তা সম্পন্ন করা সম্ভব। ভালবাসার হাত পড়িয়ে দিলে এবার ভূমিকম্পের উদ্ধার ও ত্রাণে আমরা নিশ্চয় বিজয়ী হতে পারবো।--ওয়াং হাইমান 1 2
|