বাংলাদেশের চট্ট্রগ্রামের শ্রোতা আলমগীর হোসেন তাঁর চিঠিতে চীনের মহা প্রাচীর সম্পর্কে জানার আশা প্রকাশ করেছেন। এখন মহা প্রাচীর সম্পর্কে কিছু বণর্না করবো।
'বিশ্বের সাতটি বিম্সয়ের অন্যতম' আখ্যয়িত মহা প্রাচীর হচ্ছে বিশ্বের এমন একটি প্রাচীন কালের সামরিক প্রতিরক্ষা প্রকল্প যার নিমার্নের ইতিহাস সবচেয়ে দীর্ঘ এবং আকার সবচেয়ে বিরাট। এই সুমহান প্রাচীর চীনের ভূখনন্ডে ৭ হাজার কিলোমিটারেরও বেশী বিস্তীর্ণ হয়। ১৯৮৭ সালে মহা প্রাচীর বিশ্ব উত্তরাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। মহা প্রাচীরের নিমার্ন কাজ খৃষ্টপূর্ব নবম শতাব্দী থেকে শুরু হয়। তখন মধ্য চীনের প্রশাসন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জাতির আক্রমন প্রতিরোধ করার জন্যে দেওয়াল দিয়ে সীমান্তে নিমির্ত প্রহরা টাওয়াগুলোকে ঘেরাও করে। চীনের বসন্ত ও শরত যুগ আর যুদ্ধমান রাজ্যসমূহের যুগে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বিবরছিন্ন লড়াই হত। বড় রাজ্যগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে সীমান্তের নিকটবর্তী পাহাড়ে মহা প্রাচীর নিমার্ণ শুরু হয়। খৃষ্টপূর্ব ২২১ সালে ছিন রাজবংশের প্রথম রাজা চীনকে একীকৃত করার পর আগের ছোট ছোট রাজ্যে নিমির্ত মহা প্রাচীর সংযুক্ত হয়ে যায়। আস্তে আস্তে আঁকাবাঁকা পাহাড়গুলোতে তৈরী এই প্রাচীর উত্তর সীমান্তের প্রতিবন্ধে পরিণত হয়। যাতে উত্তর দিকের মঙ্গোলিয়ার বিস্তীর্ণ তৃণভূমির পশুপালকদের আক্রমন প্রতিরোধ করা যায়। ছিন রাজবাংশ আমলে মহা প্রাচীরের দৈর্ঘ্য ছিল ৫০০০ কিলোমিটার। ছিন রাজবংশের পর হান রাজবংশ মহা প্রাচীর আরও ১০ হাজার মিটার দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দেয় । দু' হাজারাধিক বছর ধরে চীনের বিভিন্ন সময়পূর্বের প্রশাসন ভিন্ন মাত্রায় মহা প্রাচীর নিমার্ন করে। বিভিন্ন রাজবংশের আমলে নিমির্ত প্রাচীর এক সঙ্গে সংযুক্ত হলে মোট দৈর্ঘ্য ৫০ হাজার মিটারেও বেশী হতে পারে।তার মানে এই দৈর্ঘ্য পৃথিবীকে এক রাউন্ড ঘুরতে পারে।
1 2 3
|