v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-16 13:00:05    
লি সু জাতির সংগীত চর্চা

cri

    দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউননান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে অবস্থিত নু চিয়াং নদীর লি সু স্বায়ত্তশাসিত বিভাগে একটি অত্যন্ত রহস্যময় ও আদিম উপত্যকা-নু চিয়াং উপত্যকা আছে । সম্প্রতি সংবাদদাতা এই উপত্যকায় গিয়ে অধিবাসীদের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন এবং স্বচক্ষে এই নদীর উপত্যকার সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখেছেন এবং লি সু জাতির আকাশ বাণীর মতো মধুর সংগীত শুনেছেন । আজ এই অনুষ্ঠানে নু চিয়াং উপত্যকার এই আকর্ষণীয় সংগীত সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলছি আমি…

    নু চিয়াং নদীর জলস্রোত খরবেগে বইতে থাকে । নদীতে নৌকা চালানো কষ্টসাধ্য । সংবাদদাতা শুধু গাড়িতে করে উপত্যকার পাহাড়ী পথ বেয়ে সামনে এগুচ্ছেন । নদীর দু'ধারে উঁচু ও খাড়া পর্বতমালা , পাহাড়ের উপর দিক নিবিড় গাছপালায় আবৃত । হঠাত্ উপত্যকার অভ্যন্তর থেকে সুন্দর গানের সুর শোনা যাচ্ছিল ।

    গানের সুরের সঙ্গে তাল রেখে সংবাদদাতা গ্রাম্য পথ বেয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন । গ্রামের মাঝ খানে একটি খ্রীস্টান ধর্মের গীর্জা আছে । সংবাদদাতা দেখলেন , গীর্জার ভেতরে লি সু জাতির পোষাক পরা গ্রামবাসীরা সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন । তাদের মধ্যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা , অল্পবয়সী আর পাঁচ ছয় বয়স্ক শিশুও আছে । গীর্জার মঞ্চের সামনে একজন অল্পবয়সী খ্রীস্টান ধর্মপ্রচারক লি সু ভাষায় খ্রীস্টান ধর্মগ্রন্থ পাঠ করছিলেন । আপনারা আকাশ বাণীর মতোযে সুর শুনলেন , তা এই গীর্জা থেকে শেনা যাচ্ছিল ।

 

    এটাই খ্রীস্টান ধর্মের উপাসনার দিন । গীর্জার মঞ্চে তিরিশ জনেরও বেশি পুরুষ ও নারী গ্রামবাসী দু'পাশে দাঁড়িয়ে আছেন । লি সু জাতির একজন প্রবীণের পরিচালনায় সকলের পরিচিত সংগীতের সুর বিটোফেনের আনন্দের প্রশংসা ধ্বনি শোনা যাচ্ছিল । কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যতিরেকে তাদের গানের সুরে একটুও একঘেয়েমি লাগে নি , বরং আরো পরিষ্কার ও স্বচ্ছ হয়েছে । এটা শুনে সবাই উত্ফুল্ল হয়ে উঠেছেন ।

    স্থানীয় ধর্ম বিষয়ক ব্যুরোর কর্মকর্তা হু স্যু ছাই জানিয়েছেন , পাই হুয়া লিন গ্রামের বেশির ভাগ লোক লি সু জাতির । ষাট সত্তর বছর আগে একজন বিদেশী ধর্মপ্রচারক এই গ্রামে এসেছিলেন । তখন থেকে গ্রামবাসীরা খ্রীস্টান ধর্মে বিশ্বাস শুরু করেছেন ।

    খ্রীস্টান ধর্ম এখানে জনপ্রিয় । কিছু দিন পর লি সু গ্রামের অধিক থেকে অধিকতর গ্রামবাসী খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী হয়েছেন । আগে পাই হুয়া লিন গ্রাম দরিদ্র ছিল । রোগের প্রকোপ প্রায়ই দেখা দিত । চিকিত্সা ও ওষুধের অভাব ছিল । বিদেশী ধর্মপ্রচারক আসার পর তিনি এই গ্রামে চিকিত্সা বিষয়ক একটি কর্মসূচী নিয়েছেন । ফলে রোগীদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে । খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী হওয়ার পর গ্রামবাসীদের জীবনধারার পরিবর্তন হয়েছে এবং তারা উত্ফুল্ল হয়ে উঠেছে ।


1 2