সম্প্রতি মার্কিন তথ্যমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, মার্কিন B-২৫ বোমারু বিমান ১০ ডিসেম্বর ভোরে ভুল করে চীনা দ্বীপগুলোর আকাশসীমায় প্রবেশ করে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, B-২৫ বোমারু বিমানটি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত রুট থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি তদন্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেছে যে, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তারা ভুল করেছে। আর এ ধরনের ঘটনা যাতে না-ঘটে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
তবে চীনা নৌবাহিনী সামরিক শিক্ষা গবেষণালয়ের গবেষক চুও রি পিং মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের 'ভুল' করার কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি বলেন, "বোমারু বিমানের রুট পূর্বেই ঠিক করা ছিল এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে এ ধরনের 'ভুল করা'অসম্ভব। মার্কিন কৌশলগত উদ্দেশ্য স্পষ্ট। আর তা হল, চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাবকে কমিয়ে দেওয়া এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব কমানো।"
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিষয়ক ব্যুরো বলেছে, চীনা বাহিনী সবসময় ঘনিষ্ঠ নজরদারি এবং অত্যন্ত সতর্কতায় থাকে এবং এ ক্ষেত্রে মার্কিন জঙ্গি বিমানকে সতর্ক করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না-ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানির বিরুদ্ধে চীনা বাহিনী প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
সম্প্রতি চীনের প্রধান তিনটা নৌবহর দক্ষিণ চীনা সাগরে একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। পেই হাই নৌবহর, নান হাই নৌবহরের সাবমেরিন, গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ার ও গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট নিয়ে গঠিত লাল দল এবং তুং হাই নৌবহরের নীল দল মহড়ায় অংশ নেয়। মহড়ায় এন্টি সাবমেরিন, এয়ার ডিফেন্স, তথ্যযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ মহড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন বাহিনীর যুদ্ধশক্তি পরীক্ষা করা যায়। চীনা সামরিক পক্ষ জানায়, এটি ছিল নিয়মিত একটি মহড়া।
মহড়ায় অংশগ্রহণকারী চীনা নৌবাহিনীর সান ইয়া প্রশিক্ষণ ঘাঁটির সেনাপতি ইয়াও চুন পিয়াও বলেন, "এ মহড়া চীনা নৌবাহিনীর বার্ষিক প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। গভীর সমুদ্রে জটিল আবহাওয়ায় যুদ্ধ করার শক্তি পরীক্ষা ছিল এবার মহড়ার গুত্বপূর্ণ একটি উদ্দেশ্য।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে চীনের তৈরি একটি জঙ্গি বিমানের ছবি প্রকাশিত হয়। এ জঙ্গি বিমানে একটি Electronic pods যোগ করা হয়েছে। অনেকেই ভেবেছেন এ বিমান চিয়ান-১৬ জঙ্গি বিমানের আদলে তৈরি নতুন বিশেষ Electronic জঙ্গি বিমান। সামরিক বিশেষজ্ঞ লি চিয়ে এ প্রসঙ্গে বলেন, "Electronic pods-এর সাহায্যে বিমানটি শত্রুপক্ষের ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে পারবে এবং বিমানের সাথে সংশ্লিষ্ট রাডার শত্রুবিমানের দূরত্ব ও শক্তি অনুমান করতে পারে।"(শিশির)