নোবেল পুরস্কার, সুইডেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ আলফ্রেড নোবেলের নামে প্রবর্তিত হয়েছে, এ কথা আমরা সবাই জানি। প্রতি বছর পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিত্সা, সাহিত্য ও শান্তিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯০১ সালে প্রথমবার এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রথমে বিতরণ করা হয়েছে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, শরীরবৃত্ত বা চিকিত্সা—এ তিনটি পুরস্কার। চীনের নোবেলবিজয়ী চিকিত্সাবিজ্ঞানী থু ইয়ো ইয়ো সুইডেনের রাজার হাত থেকে পদক ও সনদ গ্রহণ করেন। তিনিই প্রথম চীনা বিজ্ঞানী যিনি চিকিত্সায় নোবেল পেলেন।
থু ইয়ো ইয়ো এবং আইরিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম ক্যাম্পবেল ও জাপানী বিজ্ঞানী Satoshi ōmura একসাথে ভাগাভাগি করেন ২০১৫ সালের নোবেল চিকিত্সা পুরস্কার। নোবেল শরীরবৃত্ত বা চিকিত্সা পুরস্কারের বিচারক হান্স ফার্থ বার্গ স্বাগত ভাষণে তিন জন বিজ্ঞানীর অবদানের কথা বলেন। তিনি বলেন, তিনজন বিজয়ীর আবিষ্কার বিশ্ব ও মানব জাতির জন্য অমূল্য। তিনি বলেন,"আপনাদের আবিষ্কার চিকিত্সা-ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। একদিকে আপনাদের নতুন চিকিত্সা-পদ্ধতি রোগীদের সুস্থ করে তুলছে এবং অন্যদিকে সমাজকে করছে সমৃদ্ধ। আপনাদের আবিষ্কারের প্রভাব দেখা যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও দেখা যাবে।"
থু ইয়ো ইয়ো ১২ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বলেন, বিভিন্ন মহল চীনা ঐতিহ্যিক ওষুধ ও চিকিত্সাব্যবস্থার ওপর নিরন্তর দৃষ্টি রাখবেন বলে আশা করেন তিনি। এদিন সুইডেনে চীনা দূতাবাস থু ইয়ো ইয়োর জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। তবে ৮৪ বছর বয়সী থু ইয়ো ইয়ো শারীরিক অবস্থার কারণে সেখান উপস্থিত হতে পারেননি। তবে পরিবারের মাধ্যমে সবাইকে তিনি তার শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, আর্টেমিশিনিন নিয়ে আমি নোবেল পুরস্কার পেয়েছি। এই সুযোগে চীনা ঐতিহ্যিক ওষুধ ও চিকিত্সা-ব্যবস্থা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে উন্নত মানের বৈজ্ঞানিক যোগাযোগ বাড়বে এবং চীনা ঐতিহ্যিক ওষুধ ও চিকিত্সা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক মহলের জানাশোনা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি।
তিনি বিশ্বাস করেন, আর্টেমিশিনিন এবং ঐতিহ্যিক ওষুধ ও চিকিত্সা-ব্যবস্থা মানবজাতির কল্যাণে বড় অবদান রাখবে।
দ্বিতীয় বিশ্ব ইন্টারনেট মেলা ১৬-১৮ ডিসেম্বর চীনের চে চিয়াং প্রদেশের উ চেন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন এবং ভাষণ দেবেন। তা ছাড়া, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ ও কাজাখস্তানের প্রধানমন্ত্রী করিম মাসিমভসহ ২ হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি অতিথি এবার মেলায় উপস্থিত হবেন।
উদ্বোধনী ও সমাপনি অনুষ্ঠান ছাড়া, মেলা চলাকালে ২২টি আলোচ্য বিষয়ে ১০টি ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। ইন্টারনেট সংস্কৃতি প্রচার, ইন্টারনেট উদ্ভাবন উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতি সহযোগিতা, ইন্টারনেট প্রযুক্তি মানদন্ড এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনাসহ নানা হট ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন অংশগ্রহণকারীরা। বিশেষ করে, মেলা চলাকালে আয়োজিত হবে 'ইন্টারনেটের আলো' নামে একটি প্রদর্শনী এবং এখানে স্থান পাবে ইন্টারনেটসম্পর্কিত দেশি-বিদেশি সবশেষ প্রযুক্তি। চীনের ইন্টারনেট ইনফরমেশন অফিসের উপ-পরিচালক রেন সিয়ান লিয়াং বলেন,
"এবার প্রদর্শনীতে দেখা যাবে বিশ্বব্যাপী এগিয়ে থাকা নানা প্রযুক্তি যেমন পাইতুর চালকবিহীন গাড়ি, ভলভোর সর্বশেষ স্মার্ট আন্তঃযোগাযোগ গাড়ি, নকিয়ার ভার্চুয়াল বাস্তবতা ইমেজিং প্ল্যাটফর্ম, লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম মোবাইল ইন্টারনেট কোম্পানি কর্তৃক ২০১৬ রিও অলিম্পিক গেসমের জন্য প্রস্তুত দ্রুত ও নিরাপদ ওয়াইফাই প্ল্যাটফর্ম, চীনা টেলিকমের ৫জি প্রযুক্তি, ইত্যাদি।"
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইন্টারনেটের সাহায্যে সারা বিশ্ব একটি বিশ্বগ্রামে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেট মানবজাতির নতুন বাসস্থান। এ বাসস্থানে কেউ একা বাস করতে পারে না। সবাইকে একসঙ্গে বাস করতে এবং বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।