Web bengali.cri.cn   
পূবের জানালা-১২১৬
  2015-12-16 16:47:07  cri

৯ ডিসেম্বর চীনা জাতীয় পরিষদের কার্যনির্বাহী সম্মেলনে একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামী ২ বছরে চীনের সাং হাই ও সেন চেন—এই দুই শেয়ার বিনিময় কেন্দ্রের সব স্টক আসল নামে নিবন্ধন করতে হবে। চীনা গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ সম্পর্কে নিয়ম প্রণয়ন করবে এবং জনমত গ্রহণের পর তা কার্যকর হবে।

বর্তমানে চীন সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশন নতুন স্টকের আনুমোদন দেয় এবং এটা আসলে একটি প্রশাসনিক পদ্ধতি। নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর একদিকে নতুন স্টক ছাড়া সহজতর হবে এবং অন্যদিকে গোপন লেনদেনও এড়ানো যাবে। China University of Political Science-এর অর্থনীতি বিভাগের প্রধান লিউ চি পেং বলেন,"নিবন্ধন ব্যবস্থা সার্বিকভাবে আইপিও অনুমোদন ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা পরিবর্তন করবে। নিবন্ধনব্যবস্থা চালু হওয়ার পর কোম্পানিগুলো আরও সহজে বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারবে।"

যদিও জাতীয় পরিষদের সম্মেলনে বলা হয়েছে যে, আগামী দু'বছরে এ ব্যবস্থা চালু হবে, তবে সবাই মনে করেন, এ সময়সীমার আগেই এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, স্টক ছাড়া সহজতর হলে আরও বেশি কোম্পানি বাজারে তাদের স্টক ছাড়তে উত্সাহিত হবে এবং এর ফলে বাজারে অর্থাভাব দেখা দেবে; বিনিয়োগের ঝুঁকি বাড়বে। বিভিন্ন শেয়ার বিনিময় কেন্দ্রের মধ্যে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হবে বলেও তাদের আশঙ্কা। এ সম্পর্কে স্টক বিশ্লেষক কুও সু হুয়া মনে করেন, নিবন্ধনব্যবস্থা সুষ্ঠভাবে কার্যকর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নীতি প্রণয়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন,"যে-কোম্পানি শেয়ার ছাড়তে চায় তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে এবং বিনিয়োগের ঝুঁকি মোকাবিলা নিয়ে ভাবতে হবে। আনুষঙ্গিক ব্যবস্থার সাহায্যে ভাল বাজার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।"

একই দিন চীন সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশন তার সরকারি ওয়েবসাইটে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। প্রবন্ধে বলা হয়, নিবন্ধনব্যবস্থা সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একদিনে কার্যকর করা যেতে পারে না।

চীনা রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসনের ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন উপাত্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে, চীনা রপ্তানি ও আমদানির মোট পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৮ শতাংশ কম ছিল। এসময় রপ্তানি ও আমদানি যথাক্রমে ২.২ ও ১৪.৪ শতাংশ হ্রাস পায়। উপাত্ত অনুসারে, বাণিজ্যিক অনুকূল উদ্ধৃত্ত ৩.৩৪ ট্রিলিয়ান ইউয়ান, যা ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিনিময় কেন্দ্রের পরামর্শ ও গবেষণা বিভাগের উপ-প্রধান ওয়াং চুন মনে করেন, অভ্যন্তরীণ উপাদান ছাড়া, আন্তর্জাতিক চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য কমেছে। তিনি বলেন,"আন্তর্জাতিক পরিবেশ জটিল। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাপান ও ইউরোপের অর্থনীতির পুনরুত্থান ঘটেনি। নবোত্থিত অর্থনৈতিক সত্তাগুলোর অর্থনীতিও মন্থর। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য সংরক্ষণবাদ আবারও দৃশ্যপটে হাজির হয়েছে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তৃতীয়ত, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে তেলসহ বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের দাম একটানা হ্রাস পায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। "

সাধারণ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে, অল্প সময়ে চীনা রপ্তানি ও আমদানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য চীনা অর্থ মন্ত্রণালয় ৯ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী বছর কিছু দৈনন্দিন পণ্যের শুল্ক হার কমানো হবে।

চীনা ইস্পাতশিল্প এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। চীনা ধাতুশিল্প পরিকল্পনা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এবং আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর চীনে ইস্পাতের চাহিদা ছিল ৬৬.৮ কোটি টন, যা গত বছরের তুলনায় ৪.৮ শতাংশ কম। ১৯৯৫ সালের পর এই প্রথম এ খাতে চাহিদা হ্রাস পেল।

চীনা ইস্পাত কমিটির উপ-মহাসচিব লি সিন ছুয়াং বলেন, ২০৩০ সালে চীনা ইস্পাতের চাহিদা ৫০ কোটি টনের চেয়ে কম হবে এবং এর ফলে অনেক ইস্পান কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন,"ইস্পাত শিল্পের অগোছালো উন্নয়নের প্রভাবে খারাপ বা ভাল সব কোম্পানির জন্যই সামনে দুর্দিন অপেক্ষা করছে। লোকসানি কোম্পানিগুলো বন্ধ হলে অনেক কর্মী বেকার হবেন। আমাদের সরকারের উচিত এর জন্য প্রস্তুত হওয়া।"

1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040