পয়লা নভেম্বর আমরা ছান ইয়া থেকে দ্রুতগতির ট্রেনে চড়ে যাই হাইনানের অন্য একটি শহর ওয়াননিংয়ে। আসলে ছান ইয়া থেকে ওয়াননিং এবং পরে ওয়াননিং থেকে হাই খৌ যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল হাইনানে চক্রাকারে নির্মিতব্য দ্রুতগতির রেলওয়ে নিজেদের চোখে দেখা।
আগেই বলেছি, হাই নান একটি দ্বীপ। এটি চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। গোটা দ্বীপের প্রান্ত ঘেষে তৈরি হচ্ছে অনেকটা ওভাল আকৃতির দ্রুতগতির রেলওয়ে। হাই নানের রাজধানী ও সর্ব উত্তরের শহর হাই খৌ থেকে শুরুর হয়েছে এর যাত্রা। পরিকল্পিত এ রুট শেষ হয়েছে হাইনানের সর্ব দক্ষিণের শহর ছান ইয়ায় গিয়ে। হা খৌ থেকে ছান ইয়া পর্যন্ত আসলে তৈরি হচ্ছে দু'টি রুট। অনেকটা অর্ধ বৃত্তাকার রুট দু'টির একটি হাইনানের পূর্বাঞ্চলে এবং অন্যটি পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এ দুটি রুট মিলেই তৈরি হচ্ছে ওভাল আকৃতির রেলপথ। পূর্ব দিকের রুটটি চালু হয়েছে ২০১০ সালের শেষ নাগাদ। হাই খৌ থেকে এ রুটে ওয়েন ছাং,ছুং হাই, ওয়ান নিং, লিং সুই অতিক্রম করে ছান ইয়া পৌঁছায় দ্রুতগতির ট্রেন। ফিরে আসে একই পথ ধরে। আমরা ফিরতি ট্রেনেই এসেছি ওয়াননিং। এ রুটে ছান ইয়া থেকে হাই খৌর দূরত্ব ৩০৮ কিলোমিটার। সময় লাগে ২ ঘন্টা। রুটে বর্তমানে ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার বা তারচে বেশি গতিতে ট্রেন চলে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চালু হবে পশ্চিম রুট এবং তখন এ রিং রুটটি সম্পূর্ণ হবে।
পশ্চিম রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৩৪৫ কিলোমিটার। এ রুটে হাই খৌ ও ছান ইয়ার মধ্যে থাকবে ইয়াং পু, ছাং চিয়াং, তুং ফাং, লে তুং ও ইয়া ছেং—এই পাচঁটি স্টেশন।
হাই খৌ ও ছান ইয়া হাইনান প্রদেশের সবচে উন্নত দু'শহর। এ দু'শহরের পূর্বাঞ্চলের ওপর দ্রুতগতির ট্রেনের ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যেই লক্ষণীয়। গোটা রিংটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে হাই নানের পশ্চিমাঞ্চলও আরও উন্নত হবে বলে আশা করা যায়। হাই নানে এই দ্রুতগতির রেলপথ প্রদেশটির পর্যটনশিল্পকেও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, হাই নানই বিশ্বের প্রথম দ্বীপ যেখানে দ্রুতগতির ট্রেনের বৃত্তাকার বা ওভাল আকৃতির লাইন তৈরি সম্পূর্ণ হতে যাচ্ছে।
আগেই বলেছি, পয়লা নভেম্বরআমরা দ্রুতগতির ট্রেনে চড়ে ছান ইয়াথেকেওয়াননিংশহরে যাই।ট্রেনেআমি আমার সহকর্মী আলিমের সঙ্গে কথা বলি দ্রুতগতির ট্রেন সম্পর্কে। আলিম আমাকে জানান তার অভিজ্ঞতার কথা, অনুভূতির কথা। এখনশুনুনআমাদের সেই কথপোকথনের রেকডিং।(শিশির/আলিম)