পেইচিং পৌর প্রেস, পাবলিকেশন, রেডিও, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ব্যুরোর একজন কর্মকর্তা বিয়েন চিয়েন কুও পেইচিংকে একটি উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বলেন, '২০১৫ সাল হলো চীনের চলচ্চিত্রের দ্রুত উন্নয়নের একটি বর্ষ। পেইচিংকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বলা যায়, পেইচিংয়ে চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়ন অনেক শক্তিশালী। সারা পেইচিং শহরে সিনেমা হলের সংখ্যা ১৭৫টিতে দাঁড়িয়ে গেছে। পর্দার সংখ্যা ১০০৫টি। গড়ে ২১ হাজার লোক একটি পর্দা অধিকার করে। মাথাপিছু পর্দার সংখ্যা সারা চীনে প্রথম স্থান অধিকার করে।'
ব্রিটেনের 'দ্যা ইকোনোমিস্ট' পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের চলচ্চিত্র বাজারের মূল্য ২০১৭ সালে ৬০ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি ছাড়িয়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের প্রথম স্থান অধিকার করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইন হোং বলেন, চীনা জনগণের চীনের চলচ্চিত্রের বাজার ও ডোমেস্টিক চলচ্চিত্রের দ্রুত উন্নয়ন নিয়ে আনন্দ বোধ করার পাশাপাশি চলচ্চিত্রশিল্পের কিছু সমস্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত্।
তিনি বলেন, 'শিল্পায়নের প্রথম পর্যায়ে চলচ্চিত্র বাজারের ৩০ বা ৪০ শতাংশ গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই শিল্প অবশ্যই বড় তবে শক্তিশালী নয়। এই উন্নয়ন অনেক দ্রুত তবে স্থিতিশীল নয়। এতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। উন্নয়নে দেখা দেওয়া সমস্যা উন্নয়নের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত্। আমরা আশা করি, চীনের চলচ্চিত্র আরো সমৃদ্ধ এবং আরো বৈচিত্র্যময় হবে।'