অক্টোবর ৮: বাংলাদেশের সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আগামী ১২ অক্টোবর সৌদি আরব যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের ৩ কর্মকর্তা ।
ওই তিন কর্মকর্তা হলেন, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।
গতকাল (বুধবার) পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছরের ৮ জুলাই শিশু রাজনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করে আসামি কামরুলসহ বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনকে আগেই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তবে ঘটনার দুই দিন পর মামলার প্রধান আসামি কামরুল জেদ্দায় পালিয়ে যান। সামাজিক মাধ্যমে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশে দেন।
সৌদিতে কামরুল আটকের পরপরই বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে।
এরপর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রিয়াদ এনসিবির সহযোগিতা চেয়ে রেড নোটিস ইস্যুর জন্য অনুরোধ জানায় পুলিশ সদর দফতর। পাশাপাশি পুলিশ সদর দফতরের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যম হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দি বিনিময়ের জন্য অনুরোধ করেন সৌদি কর্তৃপক্ষকে।
এআইজি (এনসিবি) মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সার্বিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। এর প্রেক্ষিতে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ আসামি কামরুলকে ফেরত দিতে সম্মত হয়। (টুটুল)
| ||||