সেপ্টেম্বর ৩: চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধ ও বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধজয়ের ৭০তম বার্ষিকীর স্মরণ অনুষ্ঠান আজ (বৃহস্পতিবার) পেইচিংয়ে শুরু হয়েছে।
এর আগে এ স্মরণ অনুষ্ঠান নিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেছে বিদেশি তথ্যমাধ্যম । এসব তথ্যমাধ্যমে বলা হয়েছে, এ স্মরণ অনুষ্ঠানে কেবল চীনের শক্তি প্রদর্শন করা হবে তা নয়, আরও গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হচ্ছে যুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ করা এবং শান্তি রক্ষার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও শক্তি প্রকাশ করা।
রাশিয়ার 'এন.জি' পত্রিকায় বলা হয়েছে, যুদ্ধোত্তর ৭০ বছরে বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে চীনের গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা ও ভূমিকা উপযুক্ত সম্মান পায়নি। আসলে চীনের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ যুদ্ধের কারণে জাপান ও জার্মানিকে একা একা যুদ্ধ করতে হয়েছে, তারা পরস্পরকে কৌশলগত সহযোগিতা করতে পারে নি। চীন পুরোদমে এ যুদ্ধজয়ের ৭০তম বার্ষিকীর উদযাপনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও অনেক দেশের নেতারা আমন্ত্রিত হয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান উপস্থিত থাকবেন। এ দর্শনীয় উদযাপনী অনুষ্ঠান থেকে চীনের শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় শক্তি ও নেতাদের শান্তি অন্বেষণের সদিচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে।
মার্কিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বলা হয়েছে, বিশ্ব ফ্যাসাবিদবিরোধী যুদ্ধে চীন পশ্চিমা মিত্রদের চেয়ে অনেক আগেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
কয়েক লাখ জাপানি সেনা ১৯৩৭ সাল থেকে চীনে আগ্রাসন চালায়। এবারের এ কুচকাওয়াজের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে চীনা জনগণের দেওয়া বিরাট জাতিগত উত্সর্গ আর গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অবদান প্রকাশ করা।
বিবিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এবারের কুচকাওয়াজে চীন প্রথম বারের মতো বিদেশি বাহিনীকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে যথাযথভাবে বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধজয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্ব শান্তি রক্ষার দৃঢ় অবস্থান প্রতিফলন করা।
৩ সেপ্টেম্বর আয়োজিত কুচকাওয়াজ হচ্ছে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তপ্ত আলোচ্য বিষয়। অনেক নেট ব্যবহারকারী কুচকাওয়াজের প্রশংসা করেন। চীনা জাতি হিসেবে এমন জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজের জন্য গর্ব বোধ করেন তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার 'দ্য আজু বিজনেস' পত্রিকায় বলা হয়েছে, এবারের স্মরণ অনুষ্ঠান থেকে চীনের শান্তি রক্ষা করার দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পার্ক গেউন হাই উপস্থিত থেকে চীনের সঙ্গে বিশ্ব শান্তি রক্ষার সংকল্প প্রকাশ করেছেন।
সিঙ্গাপুরের 'লিয়ানহে জাওবাও' পত্রিকায় বলা হয়েছে, এটা হচ্ছে চীনের সার্বিক রাষ্ট্রীয় শক্তি, দল, দেশ ও বাহিনী প্রশাসনের সুফলের এক মহিমান্বিত প্রদর্শন। এই প্রদর্শনীতে দেশের অভ্যন্তরীণ মতৈক্য ও সংহতির গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে।
ভারতের 'ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস'র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চীন হচ্ছে বিশ্বযুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। চীনের জাপানের আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধ মিত্রবাহিনীর জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। (ইয়ু/টুটুল)
| ||||