0902edu
|
চীনের যুবকদের শিক্ষাদানের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তিনি উল্লেখ করেন, যুবকদের সঙ্গে দেশের ভবিষ্যতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যুবকদের ভালোভাবে শিক্ষাদান চীনা জাতির মহান উদ্দীপনার সঙ্গে জড়িত।
এ সম্পর্কে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ান তুং মনে করেন, চীন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের সংস্থার উচিত সক্রিয়ভাবে যুবকদের শিক্ষা বিশেষ করে চিন্তাধারা ও নৈতিকতার প্রশিক্ষণে মনোযোগ দেওয়া, যুবকদের যথাযথ অধিকার রক্ষা করা, দরিদ্র পরিবার ও প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের সহায়তা দেওয়া, সক্রিয়ভাবে সুষ্ঠু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা, যাতে যুবকদের অগ্রগতি ও উন্নয়নে সমর্থন দেওয়া যায়।
গত অগাস্ট মাসের শেষ দিকে ভারতের একটি যুব প্রতিনিধিদল চীনের যুব ফেডারেশনের আমন্ত্রণে চীন সফর করেন। সফরে চীনের যুব ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হো চুন কো ভারতের যুব প্রতিনিধিদলটির প্রধান ও দেশটির যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রী রাজিব গুপ্তের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে হো চুন কো বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যে বেসরকারি আদান-প্রদান ধীরে ধীরে গভীরতর হয়েছে। ভারতের যুব প্রতিনিধিদলের এবারের চীন সফর দু'দেশের আদান-প্রদানে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। যুব প্রতিনিধিরা দেশের মেধাবী ব্যক্তি হিসেবে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দু'দেশের যুবদের মধ্যে আদান-প্রদান ও সমঝোতা জোরদার পরস্পরকে সঠিকভাবে জানা ও সমঝোতার জন্য সহায়ক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাজিব গুপ্ত বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের যুবকদের বিনিময় অনেক বেড়েছে। চলতি বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফল্যের সঙ্গে চীন সফর করেন, তা থেকে বোঝা যায় মানব দক্ষতা ও সংস্কৃতিতে দু'দেশের আদান-প্রদান আরও বেশি হবে। ভারতের পর্যটন বর্ষে আরও বেশি চীনা পর্যটকদের ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
২০০ সদস্যের ভারতীয় যুব প্রতিনিধিদলটি ৮ দিনের সফরে চীন আসেন। এসময় তারা পৃথক দলে ভাগ হয়ে পেইচিং, হাংচৌ, শাংহাই, সি'আন ও কুয়াংচৌ সফর করেন।
সম্প্রতি চীনের প্রথম পর্যায়ের সবুজ পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প পেইচিং যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিইউসি) অনুষ্ঠিত হয়।
২০২২ সালে পেইচিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের জন্য চমত্কার প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে 'সাদা মেঘ, নীল আকাশ আমার হাত থেকে বাস্তবায়ন করা হবে' এমন স্লোগান নির্ধারণ করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
চীনের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে ভাষণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান, তারা প্রতিনিধি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ ক্যাম্পের মাধ্যমে তারা পরিবেশ সংরক্ষণ খাতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানসম্মত সাফল্য ও আবর্জনার ব্যবহার প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন।
এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তাভাবনা তৈরি হয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণ শুধু স্লোগান নয়, বরং বাস্তব কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যায়-এমন জ্ঞান তারা লাভ করেন।
বন্ধুরা, এতক্ষণ আপনারা শিক্ষা সম্পর্কিত খবর শুনলেন।এখন শুনবেন চীনের জিওসাইন্সেস ইউনিভার্সিটির কিছু তথ্য।
পেইচিং ও উহান শহরের দু'টি শাখা ক্যাম্পাস নিয়ে চীনের জিওসাইন্সেস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
পেইচিং শাখা ক্যাম্পাসের আগে নাম ছিলো পেইচিং ইন্সটিটিউট অব জিওলজি (বিআইজি) এবং উহান ক্যাম্পাসের আগে নাম ছিলো উহান কলেজ অব জিওলজি (ইউসিজি)
এ বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন এবং ভূমি ও সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নির্মিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব, পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভূতাত্ত্বিক প্রকল্প প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রধান বিষয় চীনের শীর্ষ স্থান অধিকার করে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম এটি।